সম্পাদকীয়
শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই, খবর শুনে আরাম!’
হ্যাঁ, অবনঠাকুর খবর শুনতেন লোকের মুখে। শুনে শুনেই নিয়ে নিতের দিন-দুনিয়ার খবর।
সাহাদের বাড়ি থেকে রোজ সকালে চলে আসতেন পুন্নবাবু। দোতলার দক্ষিণের বারান্দায় যখন তিনি এসে বসতেন, তখন বিশ্বম্ভর বেয়ারা হুঁকো এনে দিয়ে যেত। পুন্নবাবু এক হাতে নিতেন হুঁকো, অন্য হাতে ধরতেন খবরের কাগজ। তিনিই ছিলেন এই বাড়ির প্রথম খবর পড়ুয়া। তিনি একসময় ছিলেন বঙ্গবাসী কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের ডেমনস্ট্রেটর। গাছপালা সম্পর্কে দারুণ উৎসাহ ছিল তাঁর। সে সময় অবসরজীবন কাটাচ্ছিলেন। পুন্নবাবু কাগজ পড়ার পর একে একে বাড়ির অন্যরা কাগজ পড়ত। আর তখন সকালবেলাতেই সব খবর মুখে মুখে আলোচিত হতো। অবনঠাকুর ছবি আঁকা থেকে চোখ না তুলেই কাগজে ছাপা খবরগুলো জেনে ফেলতেন। নিজের আর পড়তে হতো না।
এই খবরের কাগজেই উঠল কলকাতার আকাশে প্রথম প্লেন ওড়ার খবরটি। সেই খবর পুন্নবাবুই দিয়েছিলেন অবনঠাকুরকে। তখন বাড়িজুড়ে সে কী উত্তেজনা সবার! উড়োজাহাজ তো কেউ চোখে দেখেনি আগে, দেখেছে তার ছবি। তাই উত্তেজনা না হয়ে উপায় আছে?
সেই উড়োজাহাজ উড়ে যাবে মাথার ওপর দিয়ে, সে কি সহজ কথা!
খবরটা দু-তিনবার পড়া হলো। কখন প্লেন আসবে, কোথায় গিয়ে নামবে, তা যেন সবার মুখস্থ হয়ে গেল।
তারপর যখন সময় ঘনিয়ে এল, তখন বাড়ির সবাই গিয়ে উঠল ছাদে। অপেক্ষা আর অপেক্ষা! হঠাৎ ছোট্ট বিন্দুর মতো কিছু উড়তে দেখা গেল উত্তর আকাশে। তারপর ক্রমেই বড় হতে হতে গোঁ গোঁ করতে করতে মাথার ওপর দিয়ে পালাল টু-সিটারটা।
সূত্র: মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, দক্ষিণের বারান্দা, পৃষ্ঠা ১০০-১০২
শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই, খবর শুনে আরাম!’
হ্যাঁ, অবনঠাকুর খবর শুনতেন লোকের মুখে। শুনে শুনেই নিয়ে নিতের দিন-দুনিয়ার খবর।
সাহাদের বাড়ি থেকে রোজ সকালে চলে আসতেন পুন্নবাবু। দোতলার দক্ষিণের বারান্দায় যখন তিনি এসে বসতেন, তখন বিশ্বম্ভর বেয়ারা হুঁকো এনে দিয়ে যেত। পুন্নবাবু এক হাতে নিতেন হুঁকো, অন্য হাতে ধরতেন খবরের কাগজ। তিনিই ছিলেন এই বাড়ির প্রথম খবর পড়ুয়া। তিনি একসময় ছিলেন বঙ্গবাসী কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের ডেমনস্ট্রেটর। গাছপালা সম্পর্কে দারুণ উৎসাহ ছিল তাঁর। সে সময় অবসরজীবন কাটাচ্ছিলেন। পুন্নবাবু কাগজ পড়ার পর একে একে বাড়ির অন্যরা কাগজ পড়ত। আর তখন সকালবেলাতেই সব খবর মুখে মুখে আলোচিত হতো। অবনঠাকুর ছবি আঁকা থেকে চোখ না তুলেই কাগজে ছাপা খবরগুলো জেনে ফেলতেন। নিজের আর পড়তে হতো না।
এই খবরের কাগজেই উঠল কলকাতার আকাশে প্রথম প্লেন ওড়ার খবরটি। সেই খবর পুন্নবাবুই দিয়েছিলেন অবনঠাকুরকে। তখন বাড়িজুড়ে সে কী উত্তেজনা সবার! উড়োজাহাজ তো কেউ চোখে দেখেনি আগে, দেখেছে তার ছবি। তাই উত্তেজনা না হয়ে উপায় আছে?
সেই উড়োজাহাজ উড়ে যাবে মাথার ওপর দিয়ে, সে কি সহজ কথা!
খবরটা দু-তিনবার পড়া হলো। কখন প্লেন আসবে, কোথায় গিয়ে নামবে, তা যেন সবার মুখস্থ হয়ে গেল।
তারপর যখন সময় ঘনিয়ে এল, তখন বাড়ির সবাই গিয়ে উঠল ছাদে। অপেক্ষা আর অপেক্ষা! হঠাৎ ছোট্ট বিন্দুর মতো কিছু উড়তে দেখা গেল উত্তর আকাশে। তারপর ক্রমেই বড় হতে হতে গোঁ গোঁ করতে করতে মাথার ওপর দিয়ে পালাল টু-সিটারটা।
সূত্র: মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, দক্ষিণের বারান্দা, পৃষ্ঠা ১০০-১০২
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
২ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৫ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৬ দিন আগে