সম্পাদকীয়
আলবার্ট আইনস্টাইন একাই আমূল বদলে দিয়েছেন পৃথিবীর মূল বিজ্ঞানের চিন্তাধারাকে। বিংশ শতাব্দীর সেরা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
আইনস্টাইনের জন্ম জার্মানির দানিউব নদীর তীরে উল্ম শহরে। তাঁর স্কুলজীবন শুরু হয় বাড়ির কাছের ক্যাথলিক স্কুলে। ৭০ জনের ক্লাসে আইনস্টাইন ছিলেন একমাত্র ইহুদি। স্কুলে তাঁর ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে প্রতিদিনই তাঁকে সহপাঠীদের কাছে অপমানিত হতে হতো। স্কুলের পড়াশোনার পদ্ধতি ভালো না লাগায় তিনি চাচার কাছে গণিত শেখা শুরু করেন।
এরপর আইনস্টাইন জুরিখের সুইস পলিটেকনিক স্কুলে ভর্তি হন। পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি তাঁর ভালোবাসার শুরু এখানেই। পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে ভালো ফল নিয়ে তিনি এখান থেকে ডিপ্লোমা অর্জন করেন।
এরপর কাজের সন্ধান করতে গিয়ে সুইজারল্যান্ডের পেটেন্ট অফিসে কেরানির চাকরি পান। এখানে চাকরি করার সময়েই তিনি পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে একে একে তাঁর গবেষণাপত্র বিভিন্ন বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশ হতে থাকে এবং বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি স্বীকৃতি পান। তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতা ও বিশেষ আপেক্ষিকতার সূত্র, মহাকর্ষ, বস্তু ও আলোর প্রকৃতি, শক্তি ও ভরের সমীকরণ, ত্রিমাত্রিক স্পেস ও কালের একীভবনের সূত্র আবিষ্কার ও প্রণয়ন করেছিলেন। আইনস্টাইন বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং দেড়শতাধিক বিজ্ঞান-বহির্ভূত গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯২১ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর অবদান এবং বিশেষত তাঁর ‘ফটো ইলেকট্রিক ইফেক্ট’-এর সূত্র আবিষ্কারের জন্য।
আইনস্টাইন বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে সারা জীবন সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। তিনি একজন মানবিক মানুষ হিসেবে জীবনের অন্তিম পর্যায়ে দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের সঙ্গে মিলে পারমাণবিক অস্ত্রের বিপদের কথা তুলে ধরে রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার রচনা করেন। ১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন আইনস্টাইনকে ‘শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এই মহান মানুষটি ১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
আলবার্ট আইনস্টাইন একাই আমূল বদলে দিয়েছেন পৃথিবীর মূল বিজ্ঞানের চিন্তাধারাকে। বিংশ শতাব্দীর সেরা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
আইনস্টাইনের জন্ম জার্মানির দানিউব নদীর তীরে উল্ম শহরে। তাঁর স্কুলজীবন শুরু হয় বাড়ির কাছের ক্যাথলিক স্কুলে। ৭০ জনের ক্লাসে আইনস্টাইন ছিলেন একমাত্র ইহুদি। স্কুলে তাঁর ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে প্রতিদিনই তাঁকে সহপাঠীদের কাছে অপমানিত হতে হতো। স্কুলের পড়াশোনার পদ্ধতি ভালো না লাগায় তিনি চাচার কাছে গণিত শেখা শুরু করেন।
এরপর আইনস্টাইন জুরিখের সুইস পলিটেকনিক স্কুলে ভর্তি হন। পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি তাঁর ভালোবাসার শুরু এখানেই। পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে ভালো ফল নিয়ে তিনি এখান থেকে ডিপ্লোমা অর্জন করেন।
এরপর কাজের সন্ধান করতে গিয়ে সুইজারল্যান্ডের পেটেন্ট অফিসে কেরানির চাকরি পান। এখানে চাকরি করার সময়েই তিনি পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে একে একে তাঁর গবেষণাপত্র বিভিন্ন বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশ হতে থাকে এবং বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি স্বীকৃতি পান। তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতা ও বিশেষ আপেক্ষিকতার সূত্র, মহাকর্ষ, বস্তু ও আলোর প্রকৃতি, শক্তি ও ভরের সমীকরণ, ত্রিমাত্রিক স্পেস ও কালের একীভবনের সূত্র আবিষ্কার ও প্রণয়ন করেছিলেন। আইনস্টাইন বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং দেড়শতাধিক বিজ্ঞান-বহির্ভূত গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯২১ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর অবদান এবং বিশেষত তাঁর ‘ফটো ইলেকট্রিক ইফেক্ট’-এর সূত্র আবিষ্কারের জন্য।
আইনস্টাইন বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে সারা জীবন সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। তিনি একজন মানবিক মানুষ হিসেবে জীবনের অন্তিম পর্যায়ে দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের সঙ্গে মিলে পারমাণবিক অস্ত্রের বিপদের কথা তুলে ধরে রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার রচনা করেন। ১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন আইনস্টাইনকে ‘শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এই মহান মানুষটি ১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৯ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে