সম্পাদকীয়
শামসুল হক ছিলেন পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের বলিষ্ঠ নেতা এবং ভাষা আন্দোলনের একজন শীর্ষ নেতা। চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে এই অঞ্চলের রাজনীতিতে, বিশেষ করে যুবসমাজকে সংগঠিত করতে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আছে। তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
শামসুল হক অল্প বয়সেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ছাত্রজীবনেই নেতৃত্বগুণে তিনি বলিষ্ঠতা অর্জন করেন। এ কারণে ১৯৩৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করটিয়া সা’দত কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তাঁর চিন্তা ও কর্মের জগৎ প্রসারিত হয়।
সে সময় ঢাকার আহসান মঞ্জিলকেন্দ্রিক খাজা পরিবারের নেতৃত্বের বিপরীতে তিনি সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশিম গ্রুপের সমর্থক ছিলেন। দেশ বিভাগের আগেই তাঁর নেতৃত্বে ঢাকা জেলা মুসলিম লীগ খাজা পরিবারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর তিনি এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে তিনি টাঙ্গাইল থেকে উপনির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রার্থী ও করোটিয়ার জমিদার খুররম খান পন্নীকে পরাজিত করে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি পূর্ববঙ্গের রাজনীতির এক অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। ‘মূল দাবি’ নামে আওয়ামী লীগের প্রথম ম্যানিফেস্টো তিনি রচনা করেন।
১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং দুই দফায় তিনি অনেক দিন কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকাকালে তাঁর মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটে। এরপর বেশ কয়েক বছর বেঁচে থাকলেও তিনি আর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেননি। ১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপার সম্ভাবনার এই রাজনীতিবিদ উল্কাপিণ্ডের মতো আবির্ভূত হয়ে আপন দ্যুতি ছড়াতে ছড়াতে আকস্মিকভাবে যেন নিভে যান।
অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মাইঠান গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
শামসুল হক ছিলেন পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের বলিষ্ঠ নেতা এবং ভাষা আন্দোলনের একজন শীর্ষ নেতা। চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে এই অঞ্চলের রাজনীতিতে, বিশেষ করে যুবসমাজকে সংগঠিত করতে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আছে। তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
শামসুল হক অল্প বয়সেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ছাত্রজীবনেই নেতৃত্বগুণে তিনি বলিষ্ঠতা অর্জন করেন। এ কারণে ১৯৩৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করটিয়া সা’দত কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তাঁর চিন্তা ও কর্মের জগৎ প্রসারিত হয়।
সে সময় ঢাকার আহসান মঞ্জিলকেন্দ্রিক খাজা পরিবারের নেতৃত্বের বিপরীতে তিনি সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশিম গ্রুপের সমর্থক ছিলেন। দেশ বিভাগের আগেই তাঁর নেতৃত্বে ঢাকা জেলা মুসলিম লীগ খাজা পরিবারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর তিনি এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে তিনি টাঙ্গাইল থেকে উপনির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রার্থী ও করোটিয়ার জমিদার খুররম খান পন্নীকে পরাজিত করে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি পূর্ববঙ্গের রাজনীতির এক অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। ‘মূল দাবি’ নামে আওয়ামী লীগের প্রথম ম্যানিফেস্টো তিনি রচনা করেন।
১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং দুই দফায় তিনি অনেক দিন কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকাকালে তাঁর মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটে। এরপর বেশ কয়েক বছর বেঁচে থাকলেও তিনি আর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেননি। ১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপার সম্ভাবনার এই রাজনীতিবিদ উল্কাপিণ্ডের মতো আবির্ভূত হয়ে আপন দ্যুতি ছড়াতে ছড়াতে আকস্মিকভাবে যেন নিভে যান।
অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মাইঠান গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৪ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৫ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৬ দিন আগে