রুবায়েত হোসেন, খুবি
মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করেন এ সুদীপ্তা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি, উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময়-ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের বেনারসের কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীতে নিজের অনুভূতিমালা চিত্রিত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক শিক্ষার্থী সুদীপ্তা স্বর্ণকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্রী।
বর্তমানে ভারতের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত সুদীপ্তা। উত্তর প্রদেশের বেনারসে বিখ্যাত কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। প্রদর্শনীটি চলে ১৯-২৩ এপ্রিল। এ নিয়ে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।
সুদীপ্তা বলেন, ‘আমার ছবিগুলোতে আমি নিজের অনুভূতিগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রদর্শনীতে এটা আবার একেক জন তার অনুভূতির জায়গা থেকেই দেখছে। আমি সবসময় এটাই চেয়েছি। আমার অনুভূতির জায়গা থেকে না দেখে সে তার নিজের অনুভূতি এবং দৃষ্টিকোণের জায়গা থেকে দেখুক।’
সুদীপ্তা বলেন, ‘আমি যেখানে কথা বলি তার চেয়ে বেশি বিস্তৃত কিছু অনুভব করার জন্য আমি আঁকি। মায়ের হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই আমার শিল্পী জীবন শুরু হয়। এই ছবি থেকে অন্যরকম আনন্দ পাই, যা পৃথিবীর আর কোথাও পাই না। আমার জীবন হোক বা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমি সবসময়ই একজন স্বাধীন মানুষ। আমার শিল্পে আমি মূলত আমার নিজের অনুভূতির জায়গায় ফোকাস করি।’
এ ধরনের চিত্রকর্ম করার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার অনুভূতিকে প্রকাশ করতে এবং সেটা চিত্রকর্মের মাধ্যমে। ছবির মাধ্যমে আমি আমার দৃষ্টিকোণ অন্যকে দেখানোর চেষ্টা করি কারণ তার দৃষ্টিকোণ ভিন্ন হতে পারে।’
‘আমি চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করি যার মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমি রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি/উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেছি।’ যোগ করেন সুদীপ্তা।
একক প্রদর্শনীর ব্যাপারে সুদীপ্তা স্বর্ণকার তাঁর অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার অনুভূতিগুলোকে চিত্রিত করার চেয়ে প্রকাশ করতে চাই। যখন আমি পেইন্টিং করছি, আমি কী করছি সে সম্পর্কে আমি সচেতন নই। এটি শেষ করার পরেই যখন আমি কী নিয়ে এসেছি তার সঙ্গে পরিচিত হব। আমি পরিবর্তন করতে ভয় পাই না, কারণ চিত্রকর্মের নিজস্ব একটি জীবন আছে। আমি একটি ছবি শুরু করি এবং শেষ করি। আমি কাজ করার সময় শিল্প নিয়ে ভাবি না। জীবন নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি। আমি মনে করি শিল্পীর কাজ সবসময়ই রহস্যকে গভীর করা।’
সুদীপ্তা স্বর্ণকার ২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২০ সালে ভারত সরকারের আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।
আড্ডা সম্পর্কিত পড়ুন:
মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করেন এ সুদীপ্তা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি, উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময়-ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের বেনারসের কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীতে নিজের অনুভূতিমালা চিত্রিত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক শিক্ষার্থী সুদীপ্তা স্বর্ণকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্রী।
বর্তমানে ভারতের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত সুদীপ্তা। উত্তর প্রদেশের বেনারসে বিখ্যাত কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। প্রদর্শনীটি চলে ১৯-২৩ এপ্রিল। এ নিয়ে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।
সুদীপ্তা বলেন, ‘আমার ছবিগুলোতে আমি নিজের অনুভূতিগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রদর্শনীতে এটা আবার একেক জন তার অনুভূতির জায়গা থেকেই দেখছে। আমি সবসময় এটাই চেয়েছি। আমার অনুভূতির জায়গা থেকে না দেখে সে তার নিজের অনুভূতি এবং দৃষ্টিকোণের জায়গা থেকে দেখুক।’
সুদীপ্তা বলেন, ‘আমি যেখানে কথা বলি তার চেয়ে বেশি বিস্তৃত কিছু অনুভব করার জন্য আমি আঁকি। মায়ের হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই আমার শিল্পী জীবন শুরু হয়। এই ছবি থেকে অন্যরকম আনন্দ পাই, যা পৃথিবীর আর কোথাও পাই না। আমার জীবন হোক বা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমি সবসময়ই একজন স্বাধীন মানুষ। আমার শিল্পে আমি মূলত আমার নিজের অনুভূতির জায়গায় ফোকাস করি।’
এ ধরনের চিত্রকর্ম করার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার অনুভূতিকে প্রকাশ করতে এবং সেটা চিত্রকর্মের মাধ্যমে। ছবির মাধ্যমে আমি আমার দৃষ্টিকোণ অন্যকে দেখানোর চেষ্টা করি কারণ তার দৃষ্টিকোণ ভিন্ন হতে পারে।’
‘আমি চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করি যার মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমি রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি/উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেছি।’ যোগ করেন সুদীপ্তা।
একক প্রদর্শনীর ব্যাপারে সুদীপ্তা স্বর্ণকার তাঁর অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার অনুভূতিগুলোকে চিত্রিত করার চেয়ে প্রকাশ করতে চাই। যখন আমি পেইন্টিং করছি, আমি কী করছি সে সম্পর্কে আমি সচেতন নই। এটি শেষ করার পরেই যখন আমি কী নিয়ে এসেছি তার সঙ্গে পরিচিত হব। আমি পরিবর্তন করতে ভয় পাই না, কারণ চিত্রকর্মের নিজস্ব একটি জীবন আছে। আমি একটি ছবি শুরু করি এবং শেষ করি। আমি কাজ করার সময় শিল্প নিয়ে ভাবি না। জীবন নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি। আমি মনে করি শিল্পীর কাজ সবসময়ই রহস্যকে গভীর করা।’
সুদীপ্তা স্বর্ণকার ২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২০ সালে ভারত সরকারের আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।
আড্ডা সম্পর্কিত পড়ুন:
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১২ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে