অনলাইন ডেস্ক
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়’। আর স্বপ্ন পূরণে হতে হয় নাছোড়বান্দা! কঠোর শ্রম, অধ্যবসায় আর সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা একটি মানুষকে স্বপ্নের মঞ্জিলে পৌঁছে দিতে পারে। এপিজে আব্দুল কালামের কথায়, ‘সেটিই প্রকৃত স্বপ্ন যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।’
কিন্তু স্বপ্নই যদি হয় অশান্তির কারণ! স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে দুশ্চিন্তা এবং নিদ্রাহীনতা যদি অস্বাস্থ্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন কী করা উচিত?
এ প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি রেডিওর দৈনিক আয়োজন উইমেন্স আওয়ারের লিসেনার উইকে এক শ্রোতা মণিকা ই–মেইল বার্তায় স্বপ্ন নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ঔপন্যাসিক হওয়া তাঁর আজীবনের স্বপ্ন। তিনি সত্তর বছর বয়সে এসে সে আশা ছেড়ে দিয়েছেন।
স্বপ্ন পূরণে হাল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে তিনি বেদনাদায়ক বা দুঃখজনক বলার বদলে ‘মুক্তি’ হিসেবেই দেখছেন। এমনকি ‘আমি লেখক নই’–এখন তাঁর পছন্দের বুলি হয়ে উঠেছে।
ওই শ্রোতা বলেন, ‘আমি কল্পনাবিলাসী ছিলাম, কল্পনার রাজ্যেই থাকতাম। খুব ছোটকালে এক শিক্ষক যখন আমাকে বলেন যে, আমি লেখক হতে পারি, কথাটি আমার মনে ধরে। আমি অবশ্যই লেখক হতে চেয়েছি—এ বিষয়ে সবকিছুই আমি খুব ভালো লাগত।’
লেখক হওয়ার স্বপ্ন যে একেবারে অধরা রয়ে গেছে তা নয়। ওই শ্রোতা মেনোপজের ওপর একটি নন–ফিকশন বই প্রকাশ করেছে। তবে একটা উপন্যাস লেখার তীব্র ইচ্ছা তাঁকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে।
মণিকা বলেন, ‘শুরুতে স্বপ্ন বেশ বড় ছিল, এ নিয়ে আমার বেশ কয়েকটি পরিকল্পনাও ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকটি এজেন্টের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। একবার এক এজেন্সির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করার সময় তাঁরা বলেন, এক মিনিটে আপনার উপন্যাস সম্পর্কে বলুন। ১৫ মিনিট পর তাঁরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, কিন্তু আমি তাও কথা বলছিলাম! আমি থামতে পারছিলাম না। আমার কাছে এ অভিজ্ঞতা অত্যন্ত লজ্জাজনক মনে হয়।’
এবিসিকে মণিকা বলেন, ‘আমি পেশায় শিক্ষিকা ছিলাম। প্রত্যেক ছুটির দিনে আমার মনে হতো, আমার লেখা উচিত। উপন্যাস লেখার চিন্তা আমার জীবন শেষ করে দিচ্ছিল, অসুস্থ লাগছিল।’
বয়স যখন সত্তরের কোটায়, তখন হাল ছেড়ে দেন মণিকা। ‘আমি জানি আমি ঔপন্যাসিক নই। আমি শুরু আর শেষটা জানি, তবে মধ্যভাগটাই হলো এমন এক অংশ যেটি আমি মেলাতে পারি না।’ যোগ করেন মণিকা।
ঔপন্যাসিক হওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে মণিকা এখন একটি স্কুলে চাকরি নেন। তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ অভিজ্ঞতা, কারণ আমি এখন শিশুদের কল্পনার সঙ্গী হতে পারি।’
মণিকা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বুঝতে পেরেছেন তাঁর এখন স্বপ্ন পূরণের জেদ ছেড়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
তবে আজীবন লালিত স্বপ্নের পেছনে ছোটা কখন ছেড়ে দেওয়া উচিত তা কি বুঝতে পারা আদৌ সম্ভব?
চার্টার্ড মনোবিজ্ঞানী ক্যাথরিন হ্যালিসি বলেন, ‘এ প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব সময় শুনি: সবার একটা লক্ষ্য স্থির থাকা উচিত। তবে কেউ আপনাদের বলে না যে, এ লক্ষ্যগুলোকে সময়ে সময়ে পর্যালোচনাও করা দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করতে হবে—এ লক্ষ্য কি এখনো আপনার জন্য ঠিক?’
ক্যাথরিন বলেন, ‘আপনার লক্ষ্য এখনো আপনার জীবন এবং আপনার জন্য উপযুক্ত কি না ভেবে দেখুন। আপনি কি এখনো এটাই অর্জন করতে চান?’
স্বপ্নের পেছনে ছোটা কি এখনো আপনাকে আনন্দ দেয়—সেটিও ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন ক্যাথরিন। শুরুর আবেগ আর উদ্যম এখনো পুরোদমে আছে কি না সেটিও মাঝেমধ্যে পরখ করে নেওয়া দরকার।
একই সঙ্গে লক্ষ্যটি এখনো বাস্তবসম্মত কি না সেটিও ভেবে দেখতে হবে। লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ধাপের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যাথরিন বলেন, ‘আপনার বিনিয়োগ ও লাভের বিশ্লেষণ করাও প্রয়োজন। নিজেকে প্রশ্ন করুন এ লক্ষ্যের পেছনে দৌড়ানো ঠিক হচ্ছে কি না। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে, আপনাকে এ লক্ষ্যের জন্য প্রকৃত মূল্য যাচাই করতে হবে। যেমন—এ লক্ষ্যের কারণে কি জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে? আর এ লক্ষ্য ছেড়ে দিলে কী হতে পারে?’
আশার ভ্রান্তি মানুষকে মাঝপথে লক্ষ্য ত্যাগের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একে বলা হয় ‘সাংক কস্ট ফ্যালাসি’। এর মানে হলো, কোনো একটা লক্ষ্যের জন্য সময় ও শক্তি ক্ষয়ের কথা চিন্তা করে সেটি ত্যাগ করার যৌক্তিকতা স্পষ্ট হওয়ার পরও সেই লক্ষ্য পূরণে লেগে থাকা। অবশ্য এ ধরনের বিনিয়োগকে সম্পূর্ণ অপচয় বলা যায় না। কারণ সময় ও শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া অভিজ্ঞতাই আপনাকে আজকের মানুষ হতে সাহায্য করেছে।
ক্যাথরিনের মতে, ‘লক্ষ্য সমন্বয় সক্ষমতা’ নিয়েও চিন্তা করতে হবে। এর মানে হলো নতুন কোনো তথ্য গ্রহণ করার মানসিকতা এবং সে তথ্য অনুসারে নিজের লক্ষ্য সমন্বয় করা। অলভ্য লক্ষ্য ছেড়ে দেওয়া এবং নতুন লক্ষ্যে মনযোগ দিতে পারা মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি।
ক্যাথরিন বলেন, ‘নিয়মিত লক্ষ্য পর্যালোচনা করা এবং এর উন্নতি মূল্যায়ন করা জরুরি। এ ছাড়া লক্ষ্যটি আপনার জন্য এখনো উপযুক্ত কি না তা মূল্যায়ন করাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজন হলে কিছু কিছু কাজ ছেঁটে ফেলতে হবে। লক্ষ্যের প্রতি নমনীয় হতে হবে।’
সময়ের সঙ্গে আমরা বেড়ে উঠি, আমাদের মানসিক উন্নতি হয় এবং আমাদের পরিবর্তনও হয়—এটা মেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্য মানে এ নয় যে, যেকোনো মূল্য লক্ষ্য আঁকড়ে থাকতে হবে। সাফল্য হলো সে লক্ষ্য অর্জনে প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করতে পারা।
লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে একটা দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে না থেকে বরং নিজেকে নতুন সম্ভাবনার পথে মেলে ধরার মধ্যেই থাকে মুক্ত ও প্রশস্ত হৃদয় আর সৃজনশীলতা।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়’। আর স্বপ্ন পূরণে হতে হয় নাছোড়বান্দা! কঠোর শ্রম, অধ্যবসায় আর সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা একটি মানুষকে স্বপ্নের মঞ্জিলে পৌঁছে দিতে পারে। এপিজে আব্দুল কালামের কথায়, ‘সেটিই প্রকৃত স্বপ্ন যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।’
কিন্তু স্বপ্নই যদি হয় অশান্তির কারণ! স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে দুশ্চিন্তা এবং নিদ্রাহীনতা যদি অস্বাস্থ্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন কী করা উচিত?
এ প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি রেডিওর দৈনিক আয়োজন উইমেন্স আওয়ারের লিসেনার উইকে এক শ্রোতা মণিকা ই–মেইল বার্তায় স্বপ্ন নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ঔপন্যাসিক হওয়া তাঁর আজীবনের স্বপ্ন। তিনি সত্তর বছর বয়সে এসে সে আশা ছেড়ে দিয়েছেন।
স্বপ্ন পূরণে হাল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে তিনি বেদনাদায়ক বা দুঃখজনক বলার বদলে ‘মুক্তি’ হিসেবেই দেখছেন। এমনকি ‘আমি লেখক নই’–এখন তাঁর পছন্দের বুলি হয়ে উঠেছে।
ওই শ্রোতা বলেন, ‘আমি কল্পনাবিলাসী ছিলাম, কল্পনার রাজ্যেই থাকতাম। খুব ছোটকালে এক শিক্ষক যখন আমাকে বলেন যে, আমি লেখক হতে পারি, কথাটি আমার মনে ধরে। আমি অবশ্যই লেখক হতে চেয়েছি—এ বিষয়ে সবকিছুই আমি খুব ভালো লাগত।’
লেখক হওয়ার স্বপ্ন যে একেবারে অধরা রয়ে গেছে তা নয়। ওই শ্রোতা মেনোপজের ওপর একটি নন–ফিকশন বই প্রকাশ করেছে। তবে একটা উপন্যাস লেখার তীব্র ইচ্ছা তাঁকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে।
মণিকা বলেন, ‘শুরুতে স্বপ্ন বেশ বড় ছিল, এ নিয়ে আমার বেশ কয়েকটি পরিকল্পনাও ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকটি এজেন্টের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। একবার এক এজেন্সির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করার সময় তাঁরা বলেন, এক মিনিটে আপনার উপন্যাস সম্পর্কে বলুন। ১৫ মিনিট পর তাঁরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, কিন্তু আমি তাও কথা বলছিলাম! আমি থামতে পারছিলাম না। আমার কাছে এ অভিজ্ঞতা অত্যন্ত লজ্জাজনক মনে হয়।’
এবিসিকে মণিকা বলেন, ‘আমি পেশায় শিক্ষিকা ছিলাম। প্রত্যেক ছুটির দিনে আমার মনে হতো, আমার লেখা উচিত। উপন্যাস লেখার চিন্তা আমার জীবন শেষ করে দিচ্ছিল, অসুস্থ লাগছিল।’
বয়স যখন সত্তরের কোটায়, তখন হাল ছেড়ে দেন মণিকা। ‘আমি জানি আমি ঔপন্যাসিক নই। আমি শুরু আর শেষটা জানি, তবে মধ্যভাগটাই হলো এমন এক অংশ যেটি আমি মেলাতে পারি না।’ যোগ করেন মণিকা।
ঔপন্যাসিক হওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে মণিকা এখন একটি স্কুলে চাকরি নেন। তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ অভিজ্ঞতা, কারণ আমি এখন শিশুদের কল্পনার সঙ্গী হতে পারি।’
মণিকা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বুঝতে পেরেছেন তাঁর এখন স্বপ্ন পূরণের জেদ ছেড়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
তবে আজীবন লালিত স্বপ্নের পেছনে ছোটা কখন ছেড়ে দেওয়া উচিত তা কি বুঝতে পারা আদৌ সম্ভব?
চার্টার্ড মনোবিজ্ঞানী ক্যাথরিন হ্যালিসি বলেন, ‘এ প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব সময় শুনি: সবার একটা লক্ষ্য স্থির থাকা উচিত। তবে কেউ আপনাদের বলে না যে, এ লক্ষ্যগুলোকে সময়ে সময়ে পর্যালোচনাও করা দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করতে হবে—এ লক্ষ্য কি এখনো আপনার জন্য ঠিক?’
ক্যাথরিন বলেন, ‘আপনার লক্ষ্য এখনো আপনার জীবন এবং আপনার জন্য উপযুক্ত কি না ভেবে দেখুন। আপনি কি এখনো এটাই অর্জন করতে চান?’
স্বপ্নের পেছনে ছোটা কি এখনো আপনাকে আনন্দ দেয়—সেটিও ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন ক্যাথরিন। শুরুর আবেগ আর উদ্যম এখনো পুরোদমে আছে কি না সেটিও মাঝেমধ্যে পরখ করে নেওয়া দরকার।
একই সঙ্গে লক্ষ্যটি এখনো বাস্তবসম্মত কি না সেটিও ভেবে দেখতে হবে। লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ধাপের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যাথরিন বলেন, ‘আপনার বিনিয়োগ ও লাভের বিশ্লেষণ করাও প্রয়োজন। নিজেকে প্রশ্ন করুন এ লক্ষ্যের পেছনে দৌড়ানো ঠিক হচ্ছে কি না। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে, আপনাকে এ লক্ষ্যের জন্য প্রকৃত মূল্য যাচাই করতে হবে। যেমন—এ লক্ষ্যের কারণে কি জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে? আর এ লক্ষ্য ছেড়ে দিলে কী হতে পারে?’
আশার ভ্রান্তি মানুষকে মাঝপথে লক্ষ্য ত্যাগের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একে বলা হয় ‘সাংক কস্ট ফ্যালাসি’। এর মানে হলো, কোনো একটা লক্ষ্যের জন্য সময় ও শক্তি ক্ষয়ের কথা চিন্তা করে সেটি ত্যাগ করার যৌক্তিকতা স্পষ্ট হওয়ার পরও সেই লক্ষ্য পূরণে লেগে থাকা। অবশ্য এ ধরনের বিনিয়োগকে সম্পূর্ণ অপচয় বলা যায় না। কারণ সময় ও শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া অভিজ্ঞতাই আপনাকে আজকের মানুষ হতে সাহায্য করেছে।
ক্যাথরিনের মতে, ‘লক্ষ্য সমন্বয় সক্ষমতা’ নিয়েও চিন্তা করতে হবে। এর মানে হলো নতুন কোনো তথ্য গ্রহণ করার মানসিকতা এবং সে তথ্য অনুসারে নিজের লক্ষ্য সমন্বয় করা। অলভ্য লক্ষ্য ছেড়ে দেওয়া এবং নতুন লক্ষ্যে মনযোগ দিতে পারা মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি।
ক্যাথরিন বলেন, ‘নিয়মিত লক্ষ্য পর্যালোচনা করা এবং এর উন্নতি মূল্যায়ন করা জরুরি। এ ছাড়া লক্ষ্যটি আপনার জন্য এখনো উপযুক্ত কি না তা মূল্যায়ন করাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজন হলে কিছু কিছু কাজ ছেঁটে ফেলতে হবে। লক্ষ্যের প্রতি নমনীয় হতে হবে।’
সময়ের সঙ্গে আমরা বেড়ে উঠি, আমাদের মানসিক উন্নতি হয় এবং আমাদের পরিবর্তনও হয়—এটা মেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্য মানে এ নয় যে, যেকোনো মূল্য লক্ষ্য আঁকড়ে থাকতে হবে। সাফল্য হলো সে লক্ষ্য অর্জনে প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করতে পারা।
লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে একটা দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে না থেকে বরং নিজেকে নতুন সম্ভাবনার পথে মেলে ধরার মধ্যেই থাকে মুক্ত ও প্রশস্ত হৃদয় আর সৃজনশীলতা।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৬ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে