হুমায়ুন আজাদ ছিলেন একজন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, সমালোচক, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী, কিশোর সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার। তিনি ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা, নারীবাদ ও রাজনীতি বিষয়ে নির্মম সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য আশির দশক থেকে পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আগে তাঁর নাম ছিল হুমায়ুন কবির। ১৯৮৮ সালে তিনি নাম পরিবর্তন করে হুমায়ুন আজাদ নাম গ্রহণ করেন।
হুমায়ুন আজাদের জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল বর্তমান মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল গ্রামে। তিনি রাঢ়িখাল স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক, ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে উচ্চতর গবেষণা এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
হুমায়ুন আজাদের শিক্ষকতা শুরু হয় চট্টগ্রাম কলেজে। পরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করার পর ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগ দেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হন। হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ উপন্যাসের জন্য তাঁর ওপর এ হামলা হয়।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৬০টির বেশি। এর মধ্যে ১০টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৮টি কিশোরসাহিত্য, ৭টি ভাষাবিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ সালে তাঁর নারীবাদী গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘নারী’ প্রকাশিত হয়। বইটি ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল।
গতানুগতিক চিন্তাকে তিনি সচেতনভাবেই পরিহার করেছেন। তিনি একই সঙ্গে জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত সাহিত্যিক ছিলেন; যা ভাবতেন তা-ই সাহসের সঙ্গে লিখতেন। ফলে তিনি অনেকেরই বিরাগভাজন হয়েছেন।
হুমায়ুন আজাদ ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট জার্মান কবি হাইনরিখ হাইনের ওপর গবেষণা বৃত্তি নিয়ে জার্মানি যান। ওই বছরই জার্মানির মিউনিখ শহরে ১২ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
হুমায়ুন আজাদ ছিলেন একজন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, সমালোচক, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী, কিশোর সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার। তিনি ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা, নারীবাদ ও রাজনীতি বিষয়ে নির্মম সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য আশির দশক থেকে পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আগে তাঁর নাম ছিল হুমায়ুন কবির। ১৯৮৮ সালে তিনি নাম পরিবর্তন করে হুমায়ুন আজাদ নাম গ্রহণ করেন।
হুমায়ুন আজাদের জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল বর্তমান মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল গ্রামে। তিনি রাঢ়িখাল স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক, ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে উচ্চতর গবেষণা এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
হুমায়ুন আজাদের শিক্ষকতা শুরু হয় চট্টগ্রাম কলেজে। পরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করার পর ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগ দেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হন। হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ উপন্যাসের জন্য তাঁর ওপর এ হামলা হয়।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৬০টির বেশি। এর মধ্যে ১০টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৮টি কিশোরসাহিত্য, ৭টি ভাষাবিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ সালে তাঁর নারীবাদী গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘নারী’ প্রকাশিত হয়। বইটি ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল।
গতানুগতিক চিন্তাকে তিনি সচেতনভাবেই পরিহার করেছেন। তিনি একই সঙ্গে জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত সাহিত্যিক ছিলেন; যা ভাবতেন তা-ই সাহসের সঙ্গে লিখতেন। ফলে তিনি অনেকেরই বিরাগভাজন হয়েছেন।
হুমায়ুন আজাদ ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট জার্মান কবি হাইনরিখ হাইনের ওপর গবেষণা বৃত্তি নিয়ে জার্মানি যান। ওই বছরই জার্মানির মিউনিখ শহরে ১২ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৭ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে