সম্পাদকীয়
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যখন ড. শামসুজ্জোহার নিহত হওয়ার সংবাদ বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়, তখনই উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। নিরস্ত্র জনতা আর সশস্ত্র সেনাবাহিনী মুখোমুখি দাঁড়ায় সেদিন। ড. রফিকুল ইসলাম সেদিন টেলিভিশনের ডিআইটি ভবনে ‘অমর সাহিত্য’ নামে একটি অনুষ্ঠান করছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হলে টিভির একটি মাইক্রোবাসে তাঁরা কয়েকজন বাড়ির পথে রওনা হলেন। মগবাজারে একজনকে নামিয়ে গাড়ি যাচ্ছিল এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে শেরেবাংলা নগরের দিকে। সেখানে একটি সামরিক যান জ্বলতে দেখেন তাঁরা। কেয়া চৌধুরীকে নামানোর জন্য গাড়ি যায় মোহাম্মদপুরে। সেখানেও সংঘর্ষ! নিউমার্কেটের কাছে যখন গাড়ি, তখনো বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে একটানা কারফিউ দেয় সরকার। কারফিউর মধ্যেই ২০ ফেব্রুয়ারি টিভি থেকে একটা মাইক্রোবাস আসে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে। গাড়ি থেকে নামেন তৎকালীন অনুষ্ঠানের অধ্যক্ষ সেলিমউদ্দিন আহমদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুসা আহমেদ।
একটু বিচলিত হলেন রফিকুল ইসলাম। এ সময় টেলিভিশনের অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ এখানে কেন?
সেলিমউদ্দিন আহমদ বললেন, ‘পিন্ডি থেকে হুকুম এসেছে, একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা, সাহিত্য আর সংগীত নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে। একতাড়া কারফিউ পাস নিয়ে এসেছি।’
পিন্ডি থেকে আকস্মিক এই নির্দেশে বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন ঢাকা টেলিভিশনের কর্মকর্তারা। কারণ, ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত কখনোই একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়নি টেলিভিশনে। এখন এই কারফিউর মধ্যে কী করে এত শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে তাঁদের টেলিভিশন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া সম্ভব! তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা হলো টেলিভিশনে, রাত ১টা পর্যন্ত মহড়া চলল, ভোররাত পর্যন্ত চলল রেকর্ডিং। সে এক অন্যরকম সময়!
একুশে ফেব্রুয়ারিতে কারফিউ উঠিয়ে নেওয়া হলো, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যদের মুক্তির সিদ্ধান্ত হলো। তিনি মুক্তি পেলেন ২২ ফেব্রুয়ারি।
সূত্র: রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর, পৃষ্ঠা ৪৫-৪৬
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যখন ড. শামসুজ্জোহার নিহত হওয়ার সংবাদ বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়, তখনই উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। নিরস্ত্র জনতা আর সশস্ত্র সেনাবাহিনী মুখোমুখি দাঁড়ায় সেদিন। ড. রফিকুল ইসলাম সেদিন টেলিভিশনের ডিআইটি ভবনে ‘অমর সাহিত্য’ নামে একটি অনুষ্ঠান করছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হলে টিভির একটি মাইক্রোবাসে তাঁরা কয়েকজন বাড়ির পথে রওনা হলেন। মগবাজারে একজনকে নামিয়ে গাড়ি যাচ্ছিল এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে শেরেবাংলা নগরের দিকে। সেখানে একটি সামরিক যান জ্বলতে দেখেন তাঁরা। কেয়া চৌধুরীকে নামানোর জন্য গাড়ি যায় মোহাম্মদপুরে। সেখানেও সংঘর্ষ! নিউমার্কেটের কাছে যখন গাড়ি, তখনো বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে একটানা কারফিউ দেয় সরকার। কারফিউর মধ্যেই ২০ ফেব্রুয়ারি টিভি থেকে একটা মাইক্রোবাস আসে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে। গাড়ি থেকে নামেন তৎকালীন অনুষ্ঠানের অধ্যক্ষ সেলিমউদ্দিন আহমদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুসা আহমেদ।
একটু বিচলিত হলেন রফিকুল ইসলাম। এ সময় টেলিভিশনের অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ এখানে কেন?
সেলিমউদ্দিন আহমদ বললেন, ‘পিন্ডি থেকে হুকুম এসেছে, একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা, সাহিত্য আর সংগীত নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে। একতাড়া কারফিউ পাস নিয়ে এসেছি।’
পিন্ডি থেকে আকস্মিক এই নির্দেশে বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন ঢাকা টেলিভিশনের কর্মকর্তারা। কারণ, ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত কখনোই একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়নি টেলিভিশনে। এখন এই কারফিউর মধ্যে কী করে এত শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে তাঁদের টেলিভিশন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া সম্ভব! তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা হলো টেলিভিশনে, রাত ১টা পর্যন্ত মহড়া চলল, ভোররাত পর্যন্ত চলল রেকর্ডিং। সে এক অন্যরকম সময়!
একুশে ফেব্রুয়ারিতে কারফিউ উঠিয়ে নেওয়া হলো, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যদের মুক্তির সিদ্ধান্ত হলো। তিনি মুক্তি পেলেন ২২ ফেব্রুয়ারি।
সূত্র: রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর, পৃষ্ঠা ৪৫-৪৬
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১১ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে