সম্পাদকীয়
অধ্যাপক অজয় রায় একজন প্রাতিষ্ঠানিক উঁচুমানের পদার্থবিদ হিসেবেই নিজেকে কখনো আটকে রাখেননি। জ্ঞানের পরিসরে সাহিত্য, ইতিহাস থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল তাঁর।
তিনি দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করলেও শৈশব কেটেছে কলকাতায়। সেখানে পড়েছেন চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে ভারতে গিয়ে পরিবার রেখে আবার দেশে ফিরে আসেন। যুদ্ধের মধ্যেই কলকাতায় গিয়ে শতাধিক শিক্ষক মিলে গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’।
তিনি ১৯৫৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। দু-একজন অনুকরণীয় শিক্ষকের মধ্যে তিনি একজন, যিনি মূলত ল্যাবরেটরিতেই পড়ে থাকতেন। এমনকি অবসরের পরেও ল্যাবরেটরিতে যেতেন তিনি।
একদিকে এশিয়াটিক সোসাইটির বিজ্ঞান বিভাগের সম্পাদক, অন্যদিকে ছিলেন ইতিহাস পরিষদের সহ-সভাপতি। তবে তাঁর আগ্রহের জায়গা ছিল শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা। এ জন্য ‘শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ’ নামে একটা সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সংগঠন থেকে বাংলা ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন ‘মুক্তান্বেষা’ প্রকাশিত হতো। এ পত্রিকার তিনি প্রধান সম্পাদক ছিলেন। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
তিনি ‘মুক্তমনা ব্লগ’-এর প্রতিষ্ঠাতা। পরে তাঁর ছেলে অভিজিৎ রায় এটার দায়িত্ব নেন। দেশি–বিদেশি বহু জার্নালে অজয় রায়ের প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পদার্থবিদ্যার বাইরে তাঁর লিখিত বইগুলো হলো- বাঙালির আত্মপরিচয়: একটি পুরাবৃত্তিক ও নৃতাত্ত্বিক আলোচনা, আদি বাঙালি: নৃতাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, বিজ্ঞান ও দর্শন, জড়ের সন্ধানে অন্যতম। শিক্ষায় অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন।
এই অসাম্প্রদায়িক মানুষটি ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
অধ্যাপক অজয় রায় একজন প্রাতিষ্ঠানিক উঁচুমানের পদার্থবিদ হিসেবেই নিজেকে কখনো আটকে রাখেননি। জ্ঞানের পরিসরে সাহিত্য, ইতিহাস থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল তাঁর।
তিনি দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করলেও শৈশব কেটেছে কলকাতায়। সেখানে পড়েছেন চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে ভারতে গিয়ে পরিবার রেখে আবার দেশে ফিরে আসেন। যুদ্ধের মধ্যেই কলকাতায় গিয়ে শতাধিক শিক্ষক মিলে গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’।
তিনি ১৯৫৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। দু-একজন অনুকরণীয় শিক্ষকের মধ্যে তিনি একজন, যিনি মূলত ল্যাবরেটরিতেই পড়ে থাকতেন। এমনকি অবসরের পরেও ল্যাবরেটরিতে যেতেন তিনি।
একদিকে এশিয়াটিক সোসাইটির বিজ্ঞান বিভাগের সম্পাদক, অন্যদিকে ছিলেন ইতিহাস পরিষদের সহ-সভাপতি। তবে তাঁর আগ্রহের জায়গা ছিল শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা। এ জন্য ‘শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ’ নামে একটা সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সংগঠন থেকে বাংলা ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন ‘মুক্তান্বেষা’ প্রকাশিত হতো। এ পত্রিকার তিনি প্রধান সম্পাদক ছিলেন। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
তিনি ‘মুক্তমনা ব্লগ’-এর প্রতিষ্ঠাতা। পরে তাঁর ছেলে অভিজিৎ রায় এটার দায়িত্ব নেন। দেশি–বিদেশি বহু জার্নালে অজয় রায়ের প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পদার্থবিদ্যার বাইরে তাঁর লিখিত বইগুলো হলো- বাঙালির আত্মপরিচয়: একটি পুরাবৃত্তিক ও নৃতাত্ত্বিক আলোচনা, আদি বাঙালি: নৃতাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, বিজ্ঞান ও দর্শন, জড়ের সন্ধানে অন্যতম। শিক্ষায় অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন।
এই অসাম্প্রদায়িক মানুষটি ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৪ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৫ দিন আগে