সম্পাদকীয়
হাজী মুহম্মদ মুহসীনের মৃত্যুর ২০০ বছর পূর্ণ হয়েছে ২০১৩ সালের নভেম্বরে। এখনো তিনি মানুষের হৃদয়ে জাগ্রত—সেই হুগলি থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গ এবং সুদূর বাংলাদেশেও। শুধু বাঙালি মুসলমানই নয়, এই অঞ্চলের শিক্ষা ও সামাজিক, দাতব্য কর্মকাণ্ডে যাঁদের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাঁর মধ্যে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সবার শীর্ষে।
দিল্লির শাসনে তখন মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব। সম্রাটের বিচারালয়ের সম্মানিত সদস্য ছিলেন আগা মোতাহার। আওরঙ্গজেব আগা মোতাহারের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যশোর, হুগলি, নদীয়া ও চব্বিশ পরগনা জেলার প্রচুর জমি তাঁকে জায়গির দেন। আর তিনি হুগলিতে বসবাস শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে ছিল স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে মন্নুজান। তবে কিছুদিন পর মারা যান আগা মোতাহার। পরে আগা মোতাহারের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেন মুহসীনের বাবা হাজী ফয়জুল্লাহ। মন্নুজান হয়ে যান মুহসীনের বোন। তাঁদের মা-বাবা মারা গেলে ভাইবোন হয়ে পড়েন অভিভাবকহীন। বিশাল সম্পত্তির মালিক হন মন্নুজান। একসময় তিনি বিয়ে করেন আগা সালাউদ্দিনকে। এই দম্পতির কোনো সন্তান ছিল না। তাঁদের জমিদারির আয়ের বেশির ভাগ অংশই তাঁরা দাতব্যকাজে ব্যয় করতেন।
স্বামীর মৃত্যুর পর নিঃসন্তান মন্নুজান তাঁর সম্পত্তি মুহসীনকে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। কিন্তু এতে প্রথমে রাজি হননি মুহসীন। অবশেষে মন্নুজান ১৮০২ সালে সমুদয় সম্পত্তি লন্ডনের সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে মুহসীনকে দান করেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে পুরো সম্পত্তি তিনি দানপত্র করে দেন। দানপত্রে বলা হয়, ধর্মীয় স্থাপনার পাশাপাশি শিক্ষা, জনকল্যাণে এসব সম্পত্তি থেকে আয় করা অর্থ ব্যয় করা হবে।
ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার পাশাপাশি কুস্তি, তরবারির লড়াই এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতেন মুহসীন। তাঁরা দুই ভাইবোন সংগীতের শিক্ষাও পেয়েছিলেন, সেতার বাজাতেন এবং গজল গাইতেন। অকৃতদার, অবৈষয়িক মুহসীন বহু দেশ ঘুরেছেন। এ কারণে জীবন সম্পর্কে তাঁর গড়ে উঠেছিল আলাদা এক দৃষ্টিভঙ্গি।
উপমহাদেশের দানবীর হিসেবে পরিচিত এ মহান ব্যক্তির জন্ম ১৭৩২ সালের ৩ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে।
হাজী মুহম্মদ মুহসীনের মৃত্যুর ২০০ বছর পূর্ণ হয়েছে ২০১৩ সালের নভেম্বরে। এখনো তিনি মানুষের হৃদয়ে জাগ্রত—সেই হুগলি থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গ এবং সুদূর বাংলাদেশেও। শুধু বাঙালি মুসলমানই নয়, এই অঞ্চলের শিক্ষা ও সামাজিক, দাতব্য কর্মকাণ্ডে যাঁদের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাঁর মধ্যে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সবার শীর্ষে।
দিল্লির শাসনে তখন মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব। সম্রাটের বিচারালয়ের সম্মানিত সদস্য ছিলেন আগা মোতাহার। আওরঙ্গজেব আগা মোতাহারের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যশোর, হুগলি, নদীয়া ও চব্বিশ পরগনা জেলার প্রচুর জমি তাঁকে জায়গির দেন। আর তিনি হুগলিতে বসবাস শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে ছিল স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে মন্নুজান। তবে কিছুদিন পর মারা যান আগা মোতাহার। পরে আগা মোতাহারের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেন মুহসীনের বাবা হাজী ফয়জুল্লাহ। মন্নুজান হয়ে যান মুহসীনের বোন। তাঁদের মা-বাবা মারা গেলে ভাইবোন হয়ে পড়েন অভিভাবকহীন। বিশাল সম্পত্তির মালিক হন মন্নুজান। একসময় তিনি বিয়ে করেন আগা সালাউদ্দিনকে। এই দম্পতির কোনো সন্তান ছিল না। তাঁদের জমিদারির আয়ের বেশির ভাগ অংশই তাঁরা দাতব্যকাজে ব্যয় করতেন।
স্বামীর মৃত্যুর পর নিঃসন্তান মন্নুজান তাঁর সম্পত্তি মুহসীনকে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। কিন্তু এতে প্রথমে রাজি হননি মুহসীন। অবশেষে মন্নুজান ১৮০২ সালে সমুদয় সম্পত্তি লন্ডনের সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে মুহসীনকে দান করেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে পুরো সম্পত্তি তিনি দানপত্র করে দেন। দানপত্রে বলা হয়, ধর্মীয় স্থাপনার পাশাপাশি শিক্ষা, জনকল্যাণে এসব সম্পত্তি থেকে আয় করা অর্থ ব্যয় করা হবে।
ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার পাশাপাশি কুস্তি, তরবারির লড়াই এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতেন মুহসীন। তাঁরা দুই ভাইবোন সংগীতের শিক্ষাও পেয়েছিলেন, সেতার বাজাতেন এবং গজল গাইতেন। অকৃতদার, অবৈষয়িক মুহসীন বহু দেশ ঘুরেছেন। এ কারণে জীবন সম্পর্কে তাঁর গড়ে উঠেছিল আলাদা এক দৃষ্টিভঙ্গি।
উপমহাদেশের দানবীর হিসেবে পরিচিত এ মহান ব্যক্তির জন্ম ১৭৩২ সালের ৩ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৪ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৫ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৬ দিন আগে