সম্পাদকীয়
বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন বিমল কর। চল্লিশের দশকের শেষে তাঁর উত্থান এবং পঞ্চাশের দশকেই প্রতিশ্রুতিশীল গল্পকার হিসেবে তিনি স্বীকৃতি লাভ করেন।
বিমল কর ১৯২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তর চব্বিশ পরগনার টাকীতে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল শেষ করে কলকাতায় আসেন ডাক্তারি পড়তে। দুই বছর পর পরীক্ষায় ভালো ফল না করার কারণে ডাক্তারি ছেড়ে ভর্তি হন শ্রীরামপুর টেক্সটাইল কলেজে। কিন্তু সাহিত্যচর্চায় ডুবে থাকার কারণে ভুলে যেতেন ক্লাসে যেতে। এরপর ভর্তি হন বিদ্যাসাগর কলেজে। এখান থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। কলেজে পড়াকালে তিনি গল্প লেখা শুরু করেন এবং সম্পৃক্ত হন লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশনার সঙ্গে।
স্নাতক পাসের পর বেনারসে রেলের অ্যাকাউন্টস বিভাগে কেরানির চাকরি শুরু করেন। কয়েক মাস পর চাকরি ছেড়ে দিয়ে মণিলাল বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘পরাগ’ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদকের চাকরি নেন। এরপর তিনি সহসম্পাদক হিসেবে ‘পশ্চিমবঙ্গ’ ও ‘সত্যযুগ’ পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৫৪ সালে তাঁর রচিত প্রথম ছোটগল্প সংকলন ‘বরফ সাহেবের মেয়ে’ প্রকাশিত হয়। সে বছরই দেশ পত্রিকার বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ‘শিলাদিত্য’ ও ‘গল্পপত্র’ পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
বিমল করের বিখ্যাত গল্পগুলোর মধ্যে মানবপুত্র, বসন্তবিলাপ, বালিকাবধূ, পিঙ্গলার প্রেম, বন্ধুর জন্য ভূমিকা, নিরুদ্দেশ যাত্রা, আমরা তিন প্রেমিক ও ভুবন, পলাশ, বকুল গন্ধ, উদ্ভিদ, অলৌকিক বিষণ্ন, জননী, নিষাদ, সংশয়, উদ্বেগ, কাঁচঘর, সোপান, আঙুরলতা, নিগ্রহ, সে, শীতের মাঠ, সত্যকাম, কামকামিনী, ফুটেছে কমলকলি, নদীর জলে ধরাছোঁয়ার খেলা, উপাখ্যানমালা ইত্যাদির নাম করা যায়।
ছোটগল্পের পথ ধরে তিনি উপন্যাস রচনায় ব্রতী হয়ে সাফল্য লাভ করেন। তাঁর উপন্যাসগুলো হলো: অপরাহ্ণ, যদুবংশ, দেওয়াল, সান্নিধ্য, নিমফুলের গন্ধ, খোয়াই, অসময়, শমীক, ত্রিপদী ইত্যাদি।
২০০৩ সালের ২৬ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন বিমল কর।
বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন বিমল কর। চল্লিশের দশকের শেষে তাঁর উত্থান এবং পঞ্চাশের দশকেই প্রতিশ্রুতিশীল গল্পকার হিসেবে তিনি স্বীকৃতি লাভ করেন।
বিমল কর ১৯২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তর চব্বিশ পরগনার টাকীতে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল শেষ করে কলকাতায় আসেন ডাক্তারি পড়তে। দুই বছর পর পরীক্ষায় ভালো ফল না করার কারণে ডাক্তারি ছেড়ে ভর্তি হন শ্রীরামপুর টেক্সটাইল কলেজে। কিন্তু সাহিত্যচর্চায় ডুবে থাকার কারণে ভুলে যেতেন ক্লাসে যেতে। এরপর ভর্তি হন বিদ্যাসাগর কলেজে। এখান থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। কলেজে পড়াকালে তিনি গল্প লেখা শুরু করেন এবং সম্পৃক্ত হন লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশনার সঙ্গে।
স্নাতক পাসের পর বেনারসে রেলের অ্যাকাউন্টস বিভাগে কেরানির চাকরি শুরু করেন। কয়েক মাস পর চাকরি ছেড়ে দিয়ে মণিলাল বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘পরাগ’ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদকের চাকরি নেন। এরপর তিনি সহসম্পাদক হিসেবে ‘পশ্চিমবঙ্গ’ ও ‘সত্যযুগ’ পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৫৪ সালে তাঁর রচিত প্রথম ছোটগল্প সংকলন ‘বরফ সাহেবের মেয়ে’ প্রকাশিত হয়। সে বছরই দেশ পত্রিকার বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ‘শিলাদিত্য’ ও ‘গল্পপত্র’ পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
বিমল করের বিখ্যাত গল্পগুলোর মধ্যে মানবপুত্র, বসন্তবিলাপ, বালিকাবধূ, পিঙ্গলার প্রেম, বন্ধুর জন্য ভূমিকা, নিরুদ্দেশ যাত্রা, আমরা তিন প্রেমিক ও ভুবন, পলাশ, বকুল গন্ধ, উদ্ভিদ, অলৌকিক বিষণ্ন, জননী, নিষাদ, সংশয়, উদ্বেগ, কাঁচঘর, সোপান, আঙুরলতা, নিগ্রহ, সে, শীতের মাঠ, সত্যকাম, কামকামিনী, ফুটেছে কমলকলি, নদীর জলে ধরাছোঁয়ার খেলা, উপাখ্যানমালা ইত্যাদির নাম করা যায়।
ছোটগল্পের পথ ধরে তিনি উপন্যাস রচনায় ব্রতী হয়ে সাফল্য লাভ করেন। তাঁর উপন্যাসগুলো হলো: অপরাহ্ণ, যদুবংশ, দেওয়াল, সান্নিধ্য, নিমফুলের গন্ধ, খোয়াই, অসময়, শমীক, ত্রিপদী ইত্যাদি।
২০০৩ সালের ২৬ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন বিমল কর।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৬ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে