সম্পাদকীয়
হাসান হাফিজুর রহমান একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক, সাংবাদিক, সমালোচক এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি সংগঠক ছিলেন। ১৯৩২ সালের ১৪ জুন জামালপুর শহরে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। পৈতৃক বাড়ি ছিল জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি গ্রামে।
১৯৩৮ সালে ঢাকার নবকুমার স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। বাবার বদলির কারণে সিংজানী হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর ১৯৪৬ সালে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৪৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা না দিয়ে পাসকোর্সে বিএ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন। এখান থেকেই ১৯৫৫ সালে বাংলা বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
তাঁর পেশাজীবন খুব বৈচিত্র্যময় ছিল। ‘সাপ্তাহিক বেগম’ পত্রিকা দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর তিনি একাধারে সওগাত, ইত্তেহাদ ও দৈনিক পাকিস্তানে সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর দৈনিক বাংলায় সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি নিযুক্ত হন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৫৭-১৯৬৪ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৭৩ সালে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সাহিত্যপত্র ‘সমকাল’ পত্রিকার সিকান্দার আবু জাফরের সহযোগী ছিলেন। ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। পাকিস্তানি শাসক চক্র কর্তৃক বাংলা বর্ণমালা ও বানান সংস্কার এবং রেডিও-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধের ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
দাঙ্গাবিরোধী একমাত্র ঐতিহাসিক গল্প সংকলন ‘দাঙ্গার পাঁচটি গল্প’, একুশের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ এবং তাঁর সম্পাদনায় ১৬ খণ্ডে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: দলিলপত্র’ প্রকাশিত হয়।
তাঁর মৌলিক গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বিমুখ প্রান্তর’, ‘আধুনিক কবি ও কবিতা’, ‘সীমান্ত শিবিরে’, ‘মূল্যবোধের জন্যে’, ‘যখন উদ্যত সঙ্গীন’, ‘সাহিত্য প্রসঙ্গ’ প্রভৃতি।
১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল মস্কোয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
হাসান হাফিজুর রহমান একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক, সাংবাদিক, সমালোচক এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি সংগঠক ছিলেন। ১৯৩২ সালের ১৪ জুন জামালপুর শহরে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। পৈতৃক বাড়ি ছিল জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি গ্রামে।
১৯৩৮ সালে ঢাকার নবকুমার স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। বাবার বদলির কারণে সিংজানী হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর ১৯৪৬ সালে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৪৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা না দিয়ে পাসকোর্সে বিএ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন। এখান থেকেই ১৯৫৫ সালে বাংলা বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
তাঁর পেশাজীবন খুব বৈচিত্র্যময় ছিল। ‘সাপ্তাহিক বেগম’ পত্রিকা দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর তিনি একাধারে সওগাত, ইত্তেহাদ ও দৈনিক পাকিস্তানে সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর দৈনিক বাংলায় সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি নিযুক্ত হন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৫৭-১৯৬৪ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৭৩ সালে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সাহিত্যপত্র ‘সমকাল’ পত্রিকার সিকান্দার আবু জাফরের সহযোগী ছিলেন। ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। পাকিস্তানি শাসক চক্র কর্তৃক বাংলা বর্ণমালা ও বানান সংস্কার এবং রেডিও-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধের ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
দাঙ্গাবিরোধী একমাত্র ঐতিহাসিক গল্প সংকলন ‘দাঙ্গার পাঁচটি গল্প’, একুশের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ এবং তাঁর সম্পাদনায় ১৬ খণ্ডে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: দলিলপত্র’ প্রকাশিত হয়।
তাঁর মৌলিক গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বিমুখ প্রান্তর’, ‘আধুনিক কবি ও কবিতা’, ‘সীমান্ত শিবিরে’, ‘মূল্যবোধের জন্যে’, ‘যখন উদ্যত সঙ্গীন’, ‘সাহিত্য প্রসঙ্গ’ প্রভৃতি।
১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল মস্কোয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৪ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৫ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৬ দিন আগে