সম্পাদকীয়
প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও ভাষাসৈনিক শাহেদ আলীর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৬ মে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে। তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা, সিলেট এমসি কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল সক্রিয়। তিনি যুক্ত ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের সঙ্গে। পরবর্তী সময়ে তিনি এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও তার আগে এবং পরে তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। পাশাপাশি তিনি সাহিত্যিক, গবেষক ছিলেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের অনুবাদ করেছেন।
শাহেদ আলী ১৯৫১ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি রাজনীতিও করেছেন। ১৯৫৪ সালে খেলাফতে রব্বানী পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তান আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শাহেদ আলী ‘মাসিক প্রভাতি’, ‘সাপ্তাহিক সৈনিক’ ও ‘দৈনিক বুনিয়াদ’-এর সম্পাদক ছিলেন। ‘দৈনিক মিল্লাত’-এর সহকারী সম্পাদক ছিলেন। দীর্ঘ সময় তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিখ্যাত মাসিক শিশু পত্রিকা ‘সবুজ পাতা’ সম্পাদনা করেছেন। বাংলা একাডেমি পত্রিকার সম্পাদনা বোর্ডের সদস্য ছিলেন তিনি।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ জিবরাইলের ডানা, একই সমতলে, অতীত রাতের কাহিনী; উপন্যাস হৃদয়নদী; নাটক বিচার; প্রবন্ধ-গবেষণা একমাত্র পথ, ফিলিস্তিনে রুশ ভূমিকা, সাম্রাজ্যবাদ ও রাশিয়া, তরুণের সমস্যা, বাংলা সাহিত্যে চট্টগ্রামের অবদান, বুদ্ধির ফসল আত্মার আশিষ, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা, জীবন নিরবচ্ছিন্ন, বিপর্যয়ের হেতু, অন্যরকম আমেরিকা প্রভৃতি; অনুবাদ গ্রন্থ: মুহাম্মাদ আসাদের মক্কার পথ, কে বি এইচ কোনান্টের আধুনিক বিজ্ঞান ও আধুনিক মানুষ, হিরোডাটাসের ইতিবৃত্ত, ইমাম শামেলির ককেশাসের মহানায়ক। তাঁর ‘জিবরাইলের ডানা’ গল্পটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
২০০১ সালের ৬ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও ভাষাসৈনিক শাহেদ আলীর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৬ মে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে। তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা, সিলেট এমসি কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল সক্রিয়। তিনি যুক্ত ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের সঙ্গে। পরবর্তী সময়ে তিনি এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও তার আগে এবং পরে তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। পাশাপাশি তিনি সাহিত্যিক, গবেষক ছিলেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের অনুবাদ করেছেন।
শাহেদ আলী ১৯৫১ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি রাজনীতিও করেছেন। ১৯৫৪ সালে খেলাফতে রব্বানী পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তান আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শাহেদ আলী ‘মাসিক প্রভাতি’, ‘সাপ্তাহিক সৈনিক’ ও ‘দৈনিক বুনিয়াদ’-এর সম্পাদক ছিলেন। ‘দৈনিক মিল্লাত’-এর সহকারী সম্পাদক ছিলেন। দীর্ঘ সময় তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিখ্যাত মাসিক শিশু পত্রিকা ‘সবুজ পাতা’ সম্পাদনা করেছেন। বাংলা একাডেমি পত্রিকার সম্পাদনা বোর্ডের সদস্য ছিলেন তিনি।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ জিবরাইলের ডানা, একই সমতলে, অতীত রাতের কাহিনী; উপন্যাস হৃদয়নদী; নাটক বিচার; প্রবন্ধ-গবেষণা একমাত্র পথ, ফিলিস্তিনে রুশ ভূমিকা, সাম্রাজ্যবাদ ও রাশিয়া, তরুণের সমস্যা, বাংলা সাহিত্যে চট্টগ্রামের অবদান, বুদ্ধির ফসল আত্মার আশিষ, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা, জীবন নিরবচ্ছিন্ন, বিপর্যয়ের হেতু, অন্যরকম আমেরিকা প্রভৃতি; অনুবাদ গ্রন্থ: মুহাম্মাদ আসাদের মক্কার পথ, কে বি এইচ কোনান্টের আধুনিক বিজ্ঞান ও আধুনিক মানুষ, হিরোডাটাসের ইতিবৃত্ত, ইমাম শামেলির ককেশাসের মহানায়ক। তাঁর ‘জিবরাইলের ডানা’ গল্পটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
২০০১ সালের ৬ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৬ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে