অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন কক্সবাজার উপকূলের দিকে প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে, সেই সময়ে চলুন দেখে নিই কয়েক শতকে এই বঙ্গভূমিতে আঘাত হানা প্রলয়ংকরী ঝড়গুলোতে প্রাণহানির চিত্র। অতি আদিকালের সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও মুঘল যুগ থেকে ঝড়গুলোতে প্রাণহানির কিছু কিছু চিত্র পাওয়া যায়।
সিডর-পরবর্তী বরগুনায় নৌপথে রোগী বহনের জন্য একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স দেয় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এক যুগের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত একজন রোগীও বহন করেনি নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি।
২০০৭ সালের মহা প্রলয়ংকরী সিডরের আঘাতে শরণখোলায় গৃহহীন হয়ে পড়ে অধিকাংশ পরিবার। প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১৪ তম বছর পার হলো। সিডরের পর থেকে বিভিন্ন সময় সরকারি এবং এনজিওর মাধ্যমে হাজার হাজার ত্রাণের ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করা হলো গৃহহীনদের
গতকাল সকাল ১০টায় নলটোনা ইউনিয়নের গর্জনবুনিয়া গণকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করা হয়। বেলা ১১টায় নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদরের ইউএনও সামিয়া শারমিন ও বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশা।
ঘূর্ণিঝড় সিডরের ধ্বংসলীলার মধ্যে নতুন প্রাণের বার্তা বয়ে আনলে যে শিশুটি, সাথী দম্পতি তার নাম রাখলেন সিডর; সিডর সরকার। উপকূলীয় এলাকার মানুষের সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠল সিডর। ঘূর্ণিঝড়ের ১৪ বছর পূর্তির সঙ্গে সিডরও ১৪ বছরে পা দিল।
সাগর সিকদার, ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় তাঁর বয়স ছিল ছয় মাস। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা ‘যুদ্ধ’ করে অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় সে। সাগর এখন তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডর। লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় জনপদ। এই সিডরের আঘাতে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৭ জন লোক নিহত হন।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরে সব হারানো শরণখোলার আল আমিন খান এখন জনপ্রতিনিধি। ইউপি নির্বাচনে তিনি শরণখোলা উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। আজীবন এলাকাবাসীর জন্য কাজ করার ইচ্ছে তাঁর, তাঁকে প্রতিনিধি হিসেবে পেয়ে স্থানীয়রাও খুশি।