আল্লাহর সৃষ্টির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অপার বিস্ময়। পানি আল্লাহর বিস্ময়কর এক নিয়ামত। বান্দার প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও রহমতের অনন্য নিদর্শন। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ দুনিয়ায় কল্যাণ ও রিজিকের ব্যবস্থা করেন।
রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির সওগাত নিয়ে এসেছিল মাহে রমজান। রমজানের সিয়াম সাধনা মুসলিম উম্মাহকে পাপাচার, কামাচার ও মিথ্যাচার থেকে বিরত রাখার যে প্রশিক্ষণ দেয়, তা পরবর্তী ১১ মাস জীবনের সব ক্ষেত্রে মেনে চলার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। মাহে রমজানের শেষ মুহূর্তে আমাদের উপলব্
মাগফিরাত বা ক্ষমার বারতা নিয়ে শুরু হয় মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের।’ (মিশকাত)
দরুদ শব্দটি মূলত ফারসি। এর আরবি শব্দটি হলো সালাত ও সালাম। প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠানো বা দরুদ শরিফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মূলত নবীজির জন্য রহমতের প্রার্থনা করা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর রাসুলকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আ
মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল।
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আমাদের কাছে হাজির হয়েছে বছরের সেরা মাস রমজান। রমজান মুমিনের জীবনের সবচেয়ে কল্যাণকর মাস। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুমিনদের জীবনে রমজানের চেয়ে অধিক কল্যাণকর কোনো মাস অতিবাহিত হয় না এবং মুনাফিকদের জীবনে রমজানের চেয়ে অধিক অনিষ্টকর কোনো মাস অতিবাহিত হয় না।’ (মুসনাদে আ
রোজা মুমিনের জন্য আল্লাহ তাআলার অপার দান। রোজাদারদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। অনেক গুরুত্ব, তাৎপর্য ও পুরস্কার মণ্ডিত এই রোজা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে রমজান হাজির হয়েছে। রমজান এক বরকতময় মাস। আল্লাহ তোমাদের জন্য এই মাসে রোজা পালন করা ফরজ ক
ইসলাম মানবতা, দয়া ও সহানুভূতির ধর্ম। মানুষ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, বিপদে-আপদে পরস্পরের পাশে দাঁড়াবে, অসুস্থদের পাশে গিয়ে তাদের মানসিক শক্তি জোগাবে এবং সাধ্যমতো সেবা-শুশ্রূষা করবে, ক্ষুধার্তদের খাবার দেবে, পিপাসার্তদের পিপাসা মেটাবে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র পরাবে, অন্যায়ভাবে বন্দী হওয়া লোকদের মুক
রহমত মানে দয়া ও অনুগ্রহ। সকল রহমতের উৎস আমাদের সবার প্রতিপালক মহান আল্লাহ তাআলা। অপার স্নেহ, অনুগ্রহ ও দয়ার মালিক তিনি। তাঁর দয়ার কোনো সীমা নেই। প্রতিটি বস্তুকে ঘিরে রেখেছে তাঁর রহমত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার রহমত সবকিছুতে ব্যাপ্ত।’ (সুরা আরাফ: ১৫৬)
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে শিগগিরই আমাদের কাছে হাজির হচ্ছে বছরের সেরা মাস রমজান। রমজান মুমিনের জীবনের সবচেয়ে কল্যাণকর মাস। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুমিনদের জীবনে রমজানের চেয়ে অধিক কল্যাণকর কোনো মাস অতিবাহিত হয় না এবং মুনাফিকদের জীবনে রমজানের চেয়ে অধিক অনিষ্টকর কোনো মাস
দুস্থ, দরিদ্র, বিপদগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো বড় সওয়াবের কাজ। কারণ, দয়ার্দ্র মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের ওপর করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন।
রমজানের রোজা আমাদের আত্মা পরিশুদ্ধ করে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনে সুশৃঙ্খলভাবে চলার শিক্ষা দেয়। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ও আত্ম-অহংবোধ ভুলে গিয়ে সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ প্রতিষ্ঠার বার্তা দেয়।
রহমত আল্লাহর বিশেষ গুণ। রহমান অর্থ পরম করুণাময়। আল্লাহ চান তাঁর বান্দারা তাঁর গুণে গুণান্বিত হয়ে তাঁর সৃষ্টির প্রতি সেই গুণের প্রকাশ ঘটাক। বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া বা রহমত সর্বকালে সর্বক্ষণ বর্ষিত হতে থাকে, বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানে এর ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
হিজরি সনের সেরা মাস রমজান। এ মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রোজা। রোজা আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয় ইবাদত। এর প্রতিদান তিনি নিজ হাতেই দেবেন। রোজার ফজিলত-মর্যাদা সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এখানে এ সম্পর্কিত ৮টি হাদিস তুলে ধরা...
আহলান সাহলান মাহে রমজান—স্বাগত পবিত্র রমজান মাস। দীর্ঘ এক বছর পর রহমত, ক্ষমা ও মুক্তির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হলো মাহে রমজান। মাসব্যাপী সংযমের বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ করে তোলার সময় এখনই।
হিজরি সনের নবম মাস রমজান। আরবি রমজান বা রমাদান শব্দের অর্থ প্রচণ্ড গরম, সূর্যের খরতাপে পাথর উত্তপ্ত হওয়া, সূর্যতাপে উত্তপ্ত বালু বা মরুভূমি, মাটির তাপে পায়ে ফোসকা পড়ে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, ঝলসে যাওয়া ইত্যাদি। রমজানে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় রোজাদারের পেটে আগুন জ্বলে; পাপতাপ পুড়ে ছাই হয়ে রোজাদার নিষ্পাপ হয়ে যায় ব
হিজরি সনের নবম মাস রমজান। এ মাসের ফজিলত, মর্যাদা ও গুরুত্ব অন্য যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি। মহিমান্বিত রমজান মুমিনের ইবাদতের সেরা মৌসুম। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ জীবন গঠনের অনুশীলন, বাস্তবজীবনে পবিত্র কোরআনের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটানো এবং আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের মাধ্যমে ইহকাল-পরকালের সাফল্য