আজ ৩১ অক্টোবর। হ্যালোইন উৎসবের দিন। মৃত আত্মাদের স্মরণে দিনটি পালন করা হলেও এখন ভয়ংকর সব পোশাকে বা ভূতের মতো সাজাটা এই উৎসবের মূল অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। আর এই দিনে আমরা পরিচিত হবে বিশ্বের ভুতুড়ে পাঁচটি জায়গার সঙ্গে।
১৮৯৭ সালের আজকের দিনে, অর্থাৎ ২৬ মে প্রকাশিত হয় ব্রাম স্টোকারের কালজয়ী পিশাচকাহিনি ‘ড্রাকুলা’। প্রকাশের পর ১২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এটি আগের পাঠকদের মতোই আকৃষ্ট করে চলেছে নয়া জমানার পাঠকদের। আনন্দের সঙ্গেই কাউন্ট ড্রাকুলার ভয়ের জগতে প্রবেশ করেন এখনকার পাঠক। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে ড্রাকুলা ও ব্রাম স্টোকা
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের শহর জুনিতে আছে মন্টি ক্রিস্টো নামের এক বাড়ি। অনেকেই একে বিবেচনা করেন দেশটির সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়িগুলোর একটি হিসেবে। অদৃশ্য কারও পায়ের শব্দ, শরীরে শীতল কোনো হাতের ছোঁয়া, শূন্য থেকে ভেসে আসা রহস্যময় কণ্ঠ—এমনই নানা অতিপ্রাকৃত ঘটনার খবর শোনা যায় বাড়িটিকে ঘিরে।
অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের এক সময়কার পেনাল কলোনিতে ভ্রমণে যান প্রচুর পর্যটক। এঁদের অনেকেই অদ্ভুত, ভুতুড়ে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প বলেন। এর মধ্যে আছে নীল পোশাকের এক নারীর হঠাৎ উপস্থিতি, শিশুর গা শিউরে দেওয়া চিৎকার, জানালায় রহস্যময় কিছু চেহারার উপস্থিতি।
ইন্দোনেশিয়ার জাভার একটি বাড়ি ঘিরে আছে ভৌতিক সব ঘটনা ঘটার গুজব। বুকে ভর দিয়ে চলা রহস্যময় ছায়ামূর্তি, মাথা ছাড়া একটি কাঠামোর উপস্থিতি, হঠাৎ এগিয়ে আসা লম্বা কালো দুটি হাত, কুয়ার ভেতর থেকে ভেসে আসা আর্তচিৎকার এমন নানা কিছু দেখা ও শোনার দাবি করেন পর্যটক ও আশপাশের মানুষেরা।
প্রায় দেড় শ বছর বয়স ফ্লোরিডার সেন্ট অগাস্টিন বাতিঘরের। এই দীর্ঘ সময়ে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সাগরে বহু জাহাজকে পথ দেখিয়ে সাহায্য করার পাশাপাশি ভুতুড়ে হিসেবেও যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছে। এখানে যারা চাকরি করেছেন, ভ্রমণে গিয়েছেন তাঁরা ব্যাখ্যা করা যায় না এমন সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে দাবি করেন। এমনকি বাতিঘরের
অনেকের চোখেই এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। রহস্যময় ছায়ামূর্তির আনাগোনা, ভয়ানক চিৎকার, দর্শনার্থীদের ছুড়ে ফেলাসহ নানা ধরনের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তির গুজব শোনা যায় একে ঘিরে। এমনকি এটি তৈরির ইতিহাসটিও ঠিক স্বাভাবিক নয়। গল্পটা গ্লুচেস্টারশায়ারের দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নামে পরিচিত এক বাড়ির।
এক সময় সে ছিল এক শিশুর খেলার পুতুল। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জন্ম নানা ভুতুড়ে ঘটনার। এখন এক জাদুঘরে বন্দী অবস্থায়ও তাকে বিবেচনা করেন অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে পুতুল হিসেবে। গল্পটা রবার্ট দ্য ডলের।
ট্রান্সসিলভানিয়া নামটা শুনলেই শরীরের রোম কেমন দাঁড়িয়ে যায়। কারণ ব্রাম স্টোকারের বিখ্যাত পিশাচ কাহিনিতে ড্রাকুলার প্রাসাদ ছিল ট্রান্সসিলভানিয়ায়। তবে আমরা অনেকেই জানি না ট্রান্সসিলভানিয়ায় সত্যি রহস্যময় এক জঙ্গল আছে। অনেকের মতে হইয়া-বাচু নামের অরণ্যটি পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে জঙ্গল।