রাজধানীর বেইলি রোডে কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন এই তারিখ ধার্য করেন।
রাজধানীর বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল নিচতলার চা-কফির দোকানের ইলেকট্রিক কেটলি থেকে। আগুনের তীব্রতা বেড়েছে গ্যাস লিকেজের কারণে। ওই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোড ও শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বেইলি রোডের আগুন লাগা ওই ভবনটি নিয়ে পাঁচ মাস আগেও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে তা প্রতিপালন হয়নি
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটি ছিল আবদ্ধ। আলো-বাতাসের জায়গা ছিল না। আটকা পড়া ব্যক্তিদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিলেন তৃতীয় তলার একটি কক্ষে। আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাঁরা বের হতে পারেননি। কক্ষ থেকে উদ্ধার হয় ৯ জনের মরদেহ। অধিকাংশই মারা গেছেন ধোঁয়ায়। ধোঁয়া থেকে বাঁচতে জানালা খুঁজেছিলেন তাঁরা। দেয়ালে দেয়ালে রয়
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে জিহাদ শিকদার (২০) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই ভবনের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর কর্মচারী ছিলেন। সংসারের হাল ধরতেই লেখাপড়ার মাঝপথেই ঢাকায় গিয়েছিলেন তিনি।
বরগুনার বেতাগীতে মিজানুর রহমান সিকদার (৩২) নামে এক মোটরসাইকেলচালকের মরদেহ রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেইলি ব্রিজসংলগ্ন মহারাজের কালভার্ট এলাকার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারবাহী লরি। আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার চেলারঘাট নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চার লেনের মধ্যে দুইলেনে চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে রাস্তা কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গুরুত্বপূর্ণ চৌধুরী ঘাটে মাটিকাটা নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের দুটি স্লিপার খুলে মাটিকাটা নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দাঁড়িয়ে জনগণকে চলাচলে সতর্ক করা হচ্ছে।
বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর ওপর ১২০ মিটার দীর্ঘ বেইলি সেতুতে জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেতুটির প্লেটে প্রায় ৫৮৮টি তালি দেওয়া হয়েছে। বছর পাঁচেক আগে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’ ঘোষণাও করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরপরও প্রতিদিন সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ভারীসহ বিভিন্ন যানবাহন।
রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-বান্দরবান সড়কে অন্তত ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে এসব সেতুর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলার মোল্লারহাট বাজারসংলগ্ন খালের ওপর বেইলি সেতুটি কয়েক বছর ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেতুর পাটাতনের প্লেটে রয়েছে অসংখ্য জোড়াতালি