ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি জলকপাট খুলে দেওয়ার পর চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার কথা ভাবছে। আবার অনেকেই বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে খাদ্যসামগ্রী উঁচু স্থানে মজুত করার কাজ শুরু করেছে।
ফারাক্কা ব্যারাজের গেট খুলে দেওয়ার তথ্য আদান–প্রদান প্রসঙ্গে রণধীর জ্যাসওয়াল বলেন, ‘প্রটোকল অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত ও সময়মতো বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়, এবারও তা–ই করা হয়েছে।’
সরদার উদয় রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে যেটা দেখা যাচ্ছে, উজানে গঙ্গা নদীর বিলো পয়েন্টে (বিপৎসীমায়) পানির লেভেল স্থির পর্যায়ে আছে। আমাদের দেশেও পানির লেভেল স্থির পর্যায়ে আছে। যেহেতু উজানে স্থির তাই আমাদের দেশেও আগামী কয়েক দিন পানির লেভেল স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা আছে। পানি বিপৎসীমার নিচ দি
ফারাক্কা বাঁধের জলকপাট খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পদ্মায় প্রতি তিন ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার পানি বাড়ছে। আজ সোমবার ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি জলকপাট খোলার কথা বলা হলেও গতকাল থেকে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগ।
ভারতের বিহার, ঝাড়খন্ডে বন্যার কারণে পানির চাপ বাড়ায় ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। আজ সোমবার এক দিনেই বাংলাদেশের দিকে ছাড়া হয়েছে ১১ লাখ কিউসেক পানি। এতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলাসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান তিনি। তিস্তা ও ফারাক্কা গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় দুই দেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে হওয়া আলোচনা থেকে বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এমন অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা গভীরভাবে প্রভাবিত করবে পশ্চিমবঙ্গকে। আর এসব বিষয়ে
আজকে আমাদের স্বার্থে আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের কেউ করে দিয়ে যাবে না, আমাদের নিজেদেরই সেটা করতে হবে...
আমরা বরাবরই লক্ষ করেছি যে, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই আমাদের প্রতিবেশী, যার কাছে আমাদের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি সব সময়। তার পরেই আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশকে একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার জন্য সব সময় তারা তাদের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে...
গঙ্গা নদীতে দেওয়া ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারণে ভাটিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলের আরও প্রায় ৪ কোটি মানুষ ও এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে...
‘পদ্মা নদীকে নিয়ে গান হয়েছে “সর্বনাশা পদ্মা নদী”, উপন্যাস লেখা হয়েছে। সেই উপন্যাস থেকে সিনেমা হয়েছে “পদ্মা নদীর মাঝি”। সেই নদী আজ কোথায়। আমরা সেই নদী ফিরে পেতে চাই। পদ্মা শুকিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত যেভাবে দায়ী, তার জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।’
ফারাক্কা থেকে নেমে আসা পানিতে ভেসে যাচ্ছে পদ্মা। ভারী বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে যমুনাও এখন উপচে পড়া। এই দুই নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে শাখা নদীগুলোর ওপরও। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি বইছে কোথাও কোথাও। প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।