ভারতের উদ্ভাবিত করোনা টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ ৭৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কার্যকর বলে ওঠে এসেছে মেডিকেল সাময়িকী ‘দ্য লেনসেটের’ এক প্রতিবেদনে। শক্তিশালী ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধেও টিকাটি ৬৫ দশমিক ২০ শতাংশ কার্যকর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেয়েছে ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিরোধের টিকা কোভ্যাক্সিন। আজ বুধবার বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে চীনের সঙ্গে সাড়ে ৭ কোটি, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি কেনার চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আরও সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে উপহার বাদে মোট ২৪ কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের নিজস্ব উদ্ভাবিত কোভ্যাক্সিনকে ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড কাউন্সিল (বিএমআরসি) এই অনুমোদন দিয়েছে।
ভারতীয় কোম্পানি বায়োটেকের কাছ থেকে ২ হাজার ৭৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা (৩২ কোটি ৪০ লাখ ডলার) মূল্যের করোনার টিকা কেনার চুক্তি স্থগিত করতে যাচ্ছে ব্রাজিল।
শুধু বাংলায় নয় দেশজুড়ে অজস্র ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়তে যায়। কিন্তু যারা কোভ্যাক্সিন নিয়েছে তাঁরা এখন সমস্যায় পড়ছেন। বিদেশে তাঁদের টিকা নেওয়ার প্রশংসাপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে না। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এই কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দেয়নি