বিদেশি ঋণ শোধের অঙ্ক প্রথমবারের মতো ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল। বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।
ডলারের পরিবর্তে জাপানি ইয়েনে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কিছু ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক থেকে ৩০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা এবং একটি প্রকল্পের জন্য ৪০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ নেওয়া হচ্ছে জাপানি মুদ্রায়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীকে পদোন্নতি দিয়ে একই বিভাগের সচিব পদে পদায়ন করেছে সরকার। এ ছাড়া চুক্তিতে আগামী ছয় মাস শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকছেন মো. এহছানে এলাহী। এ ছাড়া পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মাত হামিদা বেগমকে পদোন
ডলারের মজুত কমছে, আবার সরকারের বৈদেশিক ঋণ শোধের চাপ বাড়ছে। এ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো সরকারকে আসল বাবদ ২ বিলিয়ন ডলার শোধ করতে হবে। আগামী বছর থেকে এ চাপ আরও বাড়বে। পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প, টানেল, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বড় বড় প্রায় সব মেগা প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে।
ডলারের বাড়তি দরের কারণে চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের তিন মাসে বৈদেশিক ঋণের তিন গুণ বেশি সুদ পরিশোধ করেছে সরকার। টাকার অঙ্কে যা ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকার আগের বছরের একই সময়ে সুদ বাবদ পরিশোধ করেছিল ১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা বা প্
আগের অর্থবছরের চেয়ে ঋণের প্রতিশ্রুতি ও ছাড় কমেছে, তাই বিদেশি ঋণের তথ্য প্রকাশে লুকোচুরি করছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। আগে নিয়মিত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলেও জানুয়ারির পর ছয় মাস ধরে এ ঋণের প্রতিশ্রুতি, ছাড় ও পরিশোধের তথ্য প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।
ডলার সংকটের সময়েও সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। শুধু ডলারের দাম বাড়ার কারণেই গত ছয় মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসলে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। যদিও এ সময়ে ঋণের ছাড় ও নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি ব্যাপক হারে কমেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসে
চলমান অর্থনৈতিক সংকট ও ডলারের ঘাটতির মধ্যে বিদেশি ঋণের ছাড়েও ছন্দপতন হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার বা প্রায় ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। এ ঋণ আগের অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ নিজ নিজ পক্ষে ভার্চুয়ালি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।