কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর জেটিঘাট থেকে ৪টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
ফেনীর মহিপালে গত ৪ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাদের লাইসেন্সকৃত জমা দেওয়া অস্ত্রের ব্যালিস্টিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে মামলার বাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেনীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শামসাদ বেগম এ আদেশ দেন।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), এসবি, সিআইডি, র্যাব এবং জেলা পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ হেডকো
যৌথ বাহিনীর চার দিনের অভিযানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৫৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞিপ্ততে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়
লক্ষ্মীপুরে বেসামরিক ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সকৃত ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে ৩৪টি। এসবের অস্ত্রের মধ্যে পিস্তল ১৫টি, শটগান ১৭টি, একটি বন্দুক ও একটি রাইফেল। অবশিষ্ট অস্ত্রটি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপুর। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আলোচিত প্রয়াত
নোয়াখালীতে ৭৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৭৪টি জমা দিয়েছেন লাইসেন্সধারীরা। বাকি একটি আগ্নেয়াস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় জেলার কবিরহাট উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সারা দেশে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। গত মঙ্গলবার রাত থেকে এই অভিযান শুরু হয়। থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র, লাইসেন্স স্থগিত করার পরও জমা না
অবৈধ অস্ত্রসহ সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ নিয়ে আজ বুধবার জরুরি বৈঠক করেছেন জেলার যৌথ বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিকেলে জেলা প্রশাসকের কক্ষে এই সভায় যৌথ অভিযান চালানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গায় সদ্য বিদায়ী সরকারের শাসনামলে ইস্যু করা বৈধ ৮০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৭৯টি জমা পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এসব অস্ত্র জমা পড়েছে। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগার টগরের নামে ইস্যু করা অস্ত্রটি থানায় জমা পড়েনি বলে জানা গেছে।
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে এখনো ২ হাজার ৬৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। এই লুট হওয়া অস্ত্রসহ তিন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে অভিযান শুরু করছে যৌথবাহিনী।
তিন ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্য সামনে রেখে সারা দেশে আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। পুলিশ সদর দপ্তরে আজ সন্ধ্যায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সভা হয়। এই সভায় অভিযানের ধরন, লক্ষ্য এবং করণীয় ঠিক করতে আইজিপি নির্দেশনা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের ৩ হাজার ৮৮০টি ফেরত পেয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়েছে।
দেশে গত ১৫ বছরে ইস্যুকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে সরকার। এসব আগ্নেয়াস্ত্র আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গুলিসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত র্যাব-১০ কার্যালয় থেকে ৫ আগস্ট লুট হওয়া বিভিন্ন মডেলের ৬০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। আজ সোমবার সকালে নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া সেনা ক্যাম্পে এসব হস্তান্তর করা হয়।
কোটা সংস্কার ও সরকারের পদত্যাগ দাবির আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় সারা দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলির হিসাব এখনো মেলাতে পারেনি পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ধারণা, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানা থেকে ৫ শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫০ হাজার গুলি লুট হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাপক লুটপাট চলে ঢাকার ধামরাইয়ের এসএস অ্যাগ্রো কমপ্লেক্সে। টানা তিন দিন ধরে চলা লুটপাটে কয়েক শ লোক অংশ নেয়। তারা প্রতিষ্ঠানটির কয়েক শ গরু, ছাগল, ভেড়া মহিষ, হরিণ, পাখি, হাঁস, মাছ ও বিভিন্ন ধরনের
সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। অনেকে নিজের বাসায় বা ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের অনেকেরই গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। অনেকে গুলির কারণে পঙ্গু হয়ে গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।