জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে অঞ্চলটির ৫০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এদিকে, জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছ, গাজা উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি ‘বিপর্যয়কর অবস্থাও ছাড়িয়ে’ গেছে। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদসের
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ৮ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের সবার বয়সই পাঁচ বছরের নিচে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, এই শিশুগুলোর প্রত্যেকেই অপুষ্টির কারণে তীব্র ঝুঁকিতে আছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
গাজার শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। গত শনিবার ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) জানায়, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিন শিশুর মধ্যে একজন এখন তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে
রোজাদার ব্যক্তির জন্য খুব আনন্দের উপলক্ষ হচ্ছে ইফতার। শরীরের সুস্থতা ও পুষ্টির চাহিদার কথা বিবেচনা করলেও স্বাস্থ্যকর ইফতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইফতারের কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে চলতে থাকে প্রস্তুতি। সারা দিনের সব ক্লান্তি যেন এর আয়োজনের আগেই উড়ে যায়। তবে সারা দিন যেহেতু না খেয়ে থাকতে হয়, তাই ইফতারিটা অবশ
ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় খাবারসহ বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে অনেক আগেই। এই অবস্থায় তীব্র হয়েছে অঞ্চলটির বাসিন্দাদের অনাহারে থাকা। খাবার ও সুপেয় পানির অভাবে এরই মধ্যে গাজায় আরও ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ
দীর্ঘদিন থেকেই গাজায় খাদ্যসহায়তা ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফলে অঞ্চলটিতে খাবারের সংকট এতটাই তীব্র হয়েছে, অনাহারে থেকে অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মূলত অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে
গাজা উপত্যকায় শুধু ইসরায়েলের বোমা কিংবা গুলিতেই থেমে নেই শিশুর মৃত্যু। টানা পাঁচ মাসের যুদ্ধে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুমৃত্যুর হার অনেকাংশে বেড়েছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফসহ শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংস্থা
গাজায় খাবারের অভাবের কারণে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় অন্তত ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাঁরা জানিয়েছে, আরও সাত শিশু মরণাপন্ন অবস্থায় আছে। অবরুদ্ধ অঞ্চলটির পৃথক দুটি হাসপাতালে বিগত কয়েক দিনের মধ্যে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে
শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। পুষ্টির ঘাটতি হলে শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে। ফলে তাদের বারবার অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা ও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এতে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতা বিবেচনায় প্রায় ভেঙে পড়া অর্থনীতির দেশ শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (জিএইচআই) ১২৫টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ দেশের অবস্থান ৬০তম, যেখানে বাংলাদেশের ৮১তম অবস্থানে আছে।
রংপুর নগরীতে গড়ে ওঠা বস্তির ৬৭ ভাগ শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। পাঁচ বছরের নিচে যেসব শিশু রয়েছে, তাদের অধিকাংশই অপুষ্টির শিকার। বিশেষ করে মেয়েশিশুরা। ব্যাপক জেন্ডার বৈষম্যের দেখা গেছে বস্তিতে। আজ সোমবার রসিক মিলনায়তনে বাংলাদেশ নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শি
ইয়েমেনে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৫ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টি ও ক্ষুধায় ভুগছে। এ ছাড়া দেশটিতে প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু মারা যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে চলতি বছর (জিএইচআই) বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে। এই সূচকে এবার বাংলাদেশ স্কোর হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ পয়েন্ট, যা ২০২১ সালে ছিল ১৯ দশমিক ১ শতাংশ।
গত দশ বছরে নারীদের পুষ্টিহীনতার হার কিছুটা কমলেও এখনো তা মারাত্মক পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে বিবাহিত নারীদের অবস্থা রয়েছে শোচনীয় পর্যায়ে। বর্তমানে দেশের এক কোটি ৭০ লাখ বিবাহিত নারী অপুষ্টিতে ভুগছেন, যা মোট বিবাহিত নারীর ৪৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ...
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কল্যাণে গত ২০ বছরে খাদ্য উৎপাদন বিস্ময়করভাবে বেড়েছে। কিন্তু সারা বিশ্বে এর সুষম বণ্টন হচ্ছে না। ফলে গরিব দেশগুলোয় সীমাহীন খাদ্য সংকট চলছে। গত এক দশকে বিশ্বের ৯১টি দেশের দুই বছরের কম বয়সী মাত্র এক-তৃতীয়াংশ শিশু পর্যাপ্ত খেতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
দুটি মহাদেশে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা ২০৩০ সালে সমান হবে। অর্থাৎ উভয় মহাদেশে ৩০ কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগবে। এটি এশিয়ার উন্নতিকেই নির্দেশ করে। কিন্তু সারা বিশ্বের চিত্র এমন আশাব্যঞ্জক নয়।