ভাঙন রোধে নদের পাড় মেরামত করার জন্য সেই পাড় থেকেই করা হচ্ছে বালু উত্তোলন। অভিযোগ উঠেছে, মেরামত করা স্থানের মাত্র ১০ হাত দূর থেকেই বালু তুলে জিও ব্যাগে ভর্তি করা হয়। এতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গঙ্গারামখালী গড়াই নদসংলগ্ন এলাকায় ভাঙা স্থান মেরামত করতে গিয়ে নতুন করে সমতলভূমিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
‘এবার আমার ৪৬ শতক জমিতে ধান হওয়ার কথা অন্তত ২৫ মণ। সেখানে উঠেছে ১৫ মণ। ফলন ভালো হতো, যদি সঠিক সময়ে পরামর্শ পেতাম। ধানে পোকা লেগে এখন খরচের টাকা তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যাঁরা ব্লক সুপারভাইজার (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা) আছেন, তাঁদের কখনো মাঠে আসতে দেখি না।’
কয়েক বছর আগেও কৃষকের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছিল যশোরের কেশবপুরের বিল খুকশিয়া। বিলে জমি আছে, কিন্তু সেই জমিতে ফসল করা যাচ্ছিল না জলাবদ্ধতার কারণে। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা সেখানে মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। ভালোই চলছিল। এবার সঙ্গে যোগ হয়েছে এক নতুন ফসল। বিলে ঢুকে সামনে তাকালে দেখা যায়, মাছের ঘেরের ভেড়ির দুই পাশে সার
নতুন রং করা দোতলা বিদ্যালয় ভবন। সামনে সরু জায়গা, পাশেই রাস্তা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার মতো কোনো মাঠ নেই। ফলে বিদ্যালয়ের বারান্দার সিঁড়িতে বসে থাকতে হয় শিশুশিক্ষার্থীদের। খেলার মাঠ না থাকায় বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকের সময়টুকু
ক্যাপসিকাম চাষে সফল হয়েছেন যশোরের ঝিকরগাছার কৃষক মনজুর আলম। দেড় বিঘা জমিতে দেড় লাখ টাকা খরচ বাদ দিয়ে এ বছর অন্তত ১৫ লাখ টাকা লাভ পাওয়ার আশা করছেন মনজুর। ইতিমধ্যে সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। বিষমুক্তভাবে চাষ করা এ ক্যাপসিকামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মনজুর আলম উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় দরিদ্র নারীদের সহায়তা প্রকল্পের (ভিডব্লিউবি) তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) দরিদ্র নারীদের বাদ দিয়ে তালিকায় সচ্ছল ও পাকা ঘরের মালিকদের নাম রয়েছে। তালিকার ৩৮ জনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই সচ্ছল নারীর বলে এক ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন।
ভাগ্য বদলের আশায় গিয়েছিলেন ওমান। কিন্তু অভাব পিছু ছাড়ে না কিছুতেই। তবে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার আগে করেছিলেন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বাবার পাঁচ বিঘা জমিতে রোপণ করে যান ২০০ খেজুর গাছের চারা।
মাত্র তিন বছরেই চায়না কমলালেবুর চাষে চমক দেখিয়েছেন মাগুরার শ্রীপুরের আশুতোষ বিশ্বাস ও মায়া চৌধুরী নামের এক শিক্ষক দম্পতি। তাঁদের বাগানে প্রতিটি গাছে ৪০ থেকে ৮০ কেজি কমলা ধরেছে। এগুলো বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এ দম্পতির।
‘এই চার দিন ধরে ঘন কুয়াশা। কাজে যেতে পারি না। সাততলা ভবনের বাইরে প্লাস্টারের কাজ। কুয়াশায় এত ওপরে কাজ করা যায় না। তাই মালিক বলেছে, কুয়াশা না কমলে কাজে ফেরার দরকার নেই। এই কদিন তো আর টাকা দেবে না। ধারদেনা করে চলতেছি। নতুন বছরে একটু মুরগির মাংস কেনারও পয়সা নেই।’
নড়াইলের কালিয়ায় নৌকাডুবিতে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আরও ৪ জনের সন্ধান গতকাল রাত পর্যন্ত মেলেনি। খুলনা, যশোর ও নড়াইল থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাগুরা সদরের সাজিয়ারা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় আতঙ্কের নাম বিদ্যুতের তার। মানুষের বসতবাড়ির ওপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের উচ্চক্ষমতার বিদ্যুতের লাইন যাওয়ায় হতাহতের ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই। মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই তারা বসবাস করছে। স্থানীয়রা এ জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে দায়ী করলেও বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, নিয়ম মেনে বসতবাড়ি গড়
মাগুরায় জেঁকে বসেছে শীত। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে গেছে জনজীবন। সকালটা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দুপুরেও সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় বাইরে বের হতে না পারায় দিনমজুরি পেশার মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
যশোরের কেশবপুরের শেখ মুহাইমিনুল ইসলাম সেতু (২৮) কেঁচো বিক্রি করেই এখন লাখপতি। মাত্র ৫ কেজি কেঁচো নিয়ে বছর দুয়েক আগে কেঁচো সার তৈরির মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর পথচলা। এখন তাঁর খামারে প্রায় ১০ মণ কেঁচো রয়েছে...
ছয় বছর ধরে নিখোঁজ যশোরের বাঘারপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেন অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন। দালালের খপ্পরে পড়ে বিদেশে পাচারের শিকার জাহাঙ্গীর ভারত ও লিবিয়ায় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি ফিরে গত পাঁচ বছরে ঘটে যাওয়া মর্মন্তুদ কাহিনি শোনালেন তিনি।
মাগুরা শহরের বেশির ভাগ ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নবগঙ্গা নদীতে। এর ফলে নাব্যতা কমছে। ছড়াচ্ছে নদীদূষণ। পানির প্রবাহেও বড় ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, মাগুরা জেলা শহরের পাশ ঘেঁষে প্রায় ছয় কিলোমিটারজুড়ে নবগঙ্গা নদী প্রবহমান। শহরের পুরাতন বাজার থেকে নতুন বাজার এলাকায় রয়েছে নদীর বেশ কিছু বাঁক। এসব বাঁ
বই উৎসবের দিন এগিয়ে এলেও যশোরে চাহিদার ৭৫ শতাংশ বই এখনো আসেনি। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরে মাত্র ৩০ শতাংশ বই এসেছে। মাধ্যমিক স্তরে এসেছে গড়ে ২৫ শতাংশ। ফলে বছরের প্রথম দিনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বই উৎসব নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মাগুরার মহম্মদপুরে ৩৭টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে তিন ফসলি জমিতে কিছু ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি ভাটায় কয়লা পোড়ানো হলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব ভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ফলে একদিকে কৃষিজমির পরিমাণ কমছে, অন্যদিকে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।