নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে ইতিমধ্যে উপজেলার সাহারখোলা ও আব্দুল্লাহচরের ৬০০ থেকে ৮০০ মিটার বাঁধসহ জমি বিলীন হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৫০ পরিবারের বসতঘর ও শত শত একর ফসলি জমি নদে বিলীন হয়েছে। এতে ভাঙনকবলিত মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মা নদীতে পানি কমাতে শুরু করেছে। এতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এরই মধ্যে কিছু ঘরবাড়ি নদীর পেটে গেছে। তবে এখনো নদী ভরা থাকায় ভাঙন তীব্র হয়নি। পানি আরও কমলে ভাঙন বাড়ার আশঙ্কা করছে পদ্মাপারের মানুষ। আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।
কুড়িগ্রামে বন্যা ও নদীর তীব্র ভাঙনে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাজারহাটে তিস্তার পারে নিম্নাঞ্চলে বন্যায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী। গত তিন দিনে ধরলার ভাঙনে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অন্তত ৩৫ পরিবারের বসতি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদীতে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আটকাতে ফেলা জিও ব্যাগ দেবে গিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন। এ ছাড়া ভাঙনের কারণে একটি বাজারের বিভিন্ন দোকানপাট, বসতঘর, মসজিদ নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন এলাকাবাসী।
‘গাঙের ভাঙনের পরে পানিতে ঘরদুয়ার সব ভাসাইয়া নিছে। রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকছি। রোদ-ঝড়বৃষ্টি, মশার কামড় সব সহ্য করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নাই। ঘরদুয়ার করার আর সামর্থ্য নাই।’
প্রতিবন্ধী, অসহায়, বন্যাদুর্গত ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের ভাতার টাকা আওয়ামী লীগ নেতা, ইউপি সদস্য, সাংবাদিকসহ নিজস্ব লোকদের দিতেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান মহিব। সম্প্রতি সরকারি একটি প্রজ্ঞাপনে এর সত্যতাও মিলেছে।
মৌলভীবাজারে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ও পাহাড়ি ঢলে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ধলাই ও মনু নদের ১৪ প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। বেশ কয়েকটি সড়কে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলার নদ–নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
রংপুরের পীরগাছায় পানি কমে যাওয়ায় তিস্তা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ৪০ বসতঘর ও একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তা পাড়ের মানুষের।
টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানি বেড়ে ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তোড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিন স্থানে ভেঙে অন্তত ১২টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বরিশালের মুলাদীতে নদীভাঙন থেকে বিদ্যালয় রক্ষার জন্য বরাদ্দ করা জিও ব্যাগ প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পুকুর ও বাড়ির ভাঙনরোধে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য তৈরি করা প্রায় ৩০০ জিও ব্যাগ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সভাপতি জসিম উদ্দীনের লোকজন জোরপূর্বক নিয়ে যান। এ সময় ব্যা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার দ্বীপচর উত্তর ডাউয়াবাড়ির অন্তত ৪০টি বাড়ি, দুটি মসজিদ ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব স্থাপনা তিস্তায় বিলীন হয়েছে। সেখানকার দুর্গত মানুষেরা নিজেদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে শ্রমিক ও নৌকা সংকটে রয়েছেন।
ব্যাপকভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সড়ক ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানির তীব্র স্রোতে ভূঞাপুর উপজেলার কয়েড়া এলাকায় সড়ক ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। দুর্ভোগ বেড়েছে
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি আর ভারতের সিকিম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়ার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ১০০ পরিবারের ঘর-বাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়েছে। ২৫০টিরও বেশি পরিবার ভাঙন আতঙ্কে তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রায় ৫ হাজার পরিবার।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর ভারতের সিকিম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। এতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের দেড় হাজারেরও বেশি ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে উপজেলার কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী ও নোহালী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কয়েক শ পরিবার।
আবারও বাড়তে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি। পানি বাড়ার কারণে জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ী ইউনিয়নের পাচিল ও জালালপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের মুখে থাকা বসতবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে স্থানীয়রা। ত
নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনাবেষ্টিত চরমধুয়ায় গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের এক বছরের মধ্যে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। দেড় ঘণ্টায় ৭০ মিটার বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে মেঘনার তীরের বাঁধসংলগ্ন সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, বসতঘর, ফসলি জমিসহ কয়েক শ পরিবার আতঙ্কে রয়েছে।