বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে তালুকদার আবদুল খালেক সহজ জয় পেলেও গতবারের চেয়ে ভোট কমেছে। দুর্বল প্রতিপক্ষ ও ভালো প্রস্তুতির পরও কম ভোট ভাবনায় ফেলেছে খুলনা আওয়ামী লীগের নেতাদের। কেউ কেউ এ জন্য নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকা কাউন্সিলর
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচনে তিনি দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ১৭ হাজার
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডের ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১২ জনই পরাজিত হয়েছেন। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২ জন। এ ছাড়া নির্বাচন করেননি দুজন। পরাজিত প্রার্থীদের অভিযোগ, পেশিশক্তি ও ভয়ভীতির কারণে ভোটাররা ভোট দিতে না পারায় তাঁদের এই পরাজয়।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। এদিকে সিটির ৩১টি ওয়ার্ড এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ৪১ জনের মধ্যে ১৫ জনই এবার প্রথম নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।
ভোটকেন্দ্রের সামনে ভিড় করায় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে চারজনকে আটক করে দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ দুপুরে নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ন্যাশনাল গার্লস হাইস্কুলের সামনে থেকে আটক করা হয়। তাঁরা হলেন আকরাম হোসেন, তাওহীদুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ ও মিরাজুল ইসলাম।
দিনব্যাপী কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার সকাল আটটায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বেলা চারটায়।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মূল শহরের বাইরে ভোট বেশি পড়েছে। বিশেষ করে দৌলতপুর ও খালিশপুরে কেন্দ্রগুলোতে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটের হার প্রায় ৩৫–৪০ শতাংশের মতো। আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে কেসিসি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শহরের কেন্দ্রগুলোতে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম।
গাজীপুরের পর খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হচ্ছে। ইভিএমে ধীর গতি হওয়ায় অনেক ভোটার ভোট দিতে এসে উৎসাহ হারাচ্ছেন। এরই মধ্যে ইভিএমে ভোট নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল...
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কেসিসি) নৌকার প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টের সংকট রয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকা ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট থাকলেও অন্য মেয়র প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট নেই বললেই চলে।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে শহরের কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কম। তবে মূল শহরের বাইরে খালিশপুর ও দৌলতিয়ার ভোট কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি রয়েছে। আজ সোমবার খুলনা শহর, খালিশপুর ও দৌলতপুরের প্রায় ১৫টি কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কিংকর বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, তার কেন্দ্রে সকাল থেকে এমন কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী যে অভিযোগ করেছেন সেটি ভিত্তিহীন
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিত অনেক কম। ভোটারদের জন্য যে লাইনগুলো করা হয়েছে তাও ফাঁকা। দুই-একজন ভোটার যারা কেন্দ্রে আসছে, তারা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছে।
আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘মেশিন নষ্ট, কোনো কোনো জায়গায় একটু উল্টোপাল্টা হচ্ছিল। একটা অভিযোগ পাওয়া গেল যে ইভিএম এ হাতপাখায় ভোট দিলে তা নৌকায় চলে যাচ্ছে।’
সকাল ৮টা থেকে নগরীর কেন্দ্র গুলোতে ভোট শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি রয়েছে খুবই কম। ভোটার উপস্থিতি কমের বিষয়ে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘সকালে তো আসবে না। মানুষের কাজ-কাম আছে। চারটা পর্যন্ত সময় আছে মানুষ আস্তে ধীরে আসবে। সকাল বেলা এসে ভোট দিতে হবে এটা হচ্ছে আমাদের রাজনৈতিক কথা।’
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে ভোটার উপস্থিতি অনেকটাই কম। তবে বিপরীত চিত্র ছিল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। আজ সোমবার পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকায় দুটি কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যায়নি।