অনলাইন ডেস্ক
মিমের যুগে জেভিয়ারকে চেনেন না এমন কেউ আছে কি? অন্তত নেটিজেনদের মধ্যে এমন কেউ থাকাটা প্রায় অসম্ভব! এমন কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নেই যেখানে জেভিয়ারকে পাওয়া যাবে না। তাঁর মিম এবং কৌতুকগুলো কঠিন বিষণ্ন মুহূর্তেও আপনাকে হাসিয়ে ছাড়বে।
কিন্তু কে এই লোক? এ নিয়ে রহস্যের কিনারা নেই। নির্বিকার, গোঁফযুক্ত একটা মধ্যবয়সী মানুষ প্রায় দেড় যুগ ধরে নেটিজেনদের হাসিয়ে যাচ্ছেন, অথচ তাঁর আসল পরিচয়ের হদিস এখনো মিললো না!
তবে এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব আছে। অনেকে বলেন তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আসল নাম পাকালু পাপিতো। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিস শহরে। তিনি যদি কোনো লাতিন নামকে ছদ্মনাম হিসেবে বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে উচ্চারণ হওয়ার কথা— হাভিয়ের।
হাভিয়ের প্রথম ভাইরাল হন ২০১৫ সালে। বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে নাকি মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। বন্ধুরা তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, তোমার ফলোয়ার ৫০০-এর বেশি হবে না। হাভিয়ের তখন ৫ হাজারের বেশি ফলোয়ার জোগার করে দেখাবেন বলে ঘোষণা দিয়ে কোমর বেঁধে নামেন। পরে ফেসবুকেও অ্যাকাউন্ট খোলেন।
টুইটার পেজে এখন হাভিয়েরের ফলোয়ার ২ লাখের বেশি। আর ফেসবুক পেজে সাড়ে ১৮ লাখেরও বেশি। তবে আসল হাভিয়ের কি না বলা মশকিল!
টুইটার এবং ফেসবুকে হাভিয়ের যে প্রোফাইল ফটোটি ব্যবহার করেন সেটি পাকালু পাপিতো নামে টুইটারে জনপ্রিয় এক কমেডিয়ানের ছবি। হাভিয়েরের নামে যেসব মিম পাওয়া সেগুলোর সঙ্গে @pakalupapito অ্যাকাউন্টটির কমেডির অনেক মিল। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝিতে ওই কমেডিয়ান বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।
অনেকের বিশ্বাস, হাভিয়ের মূলত দক্ষিণ ভারতীয় কেউ। তবে কেউ কেউ দাবি করেন তিনি আসলে উত্তর ভারতের। তাঁর আসল নাম ওম প্রকাশ। আইআইটি কানপুরে পদার্থবিদ্যা বিভাগে এখনো কাজ করেন।
পাকালু পাপিতো টুইটার পেজের অ্যাডমিন ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। তবে টুইটারে বলা কৌতুকগুলোই সাধারণত তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকালু পাপিতো ফেসবুক পেজের লাইক দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার।
দুঃখের বিষয় হলো পাকালু পাপিতোর জনপ্রিয়তার আয়ু বেশি দিন ছিল না। ২০১৮ সালেই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত হয় এবং ফেসবুক পেজ ডিলিট হয়ে যায়। তবে কী কারণে এমন জনপ্রিয় দুটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেল সেটি আজও জানা যায়নি।
@pakalupapito অ্যাকাউন্টটি ব্লক হওয়ার পর প্রায় একই নামে @pakalupapitow একটি অ্যাকাউন্ট দেখা যায়। সেটিও টুইটারে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। একই ধরনের কৌতুক পোস্ট করেন অ্যাডমিন। তবে এই অ্যাকাউন্টের পেছনেও আগের সেই ব্যক্তিই কি না তা স্পষ্ট নয়।
অনলাইনে মিম পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘নো ইয়োর মিম’—এর তথ্য অনুসারে, পাকালু পাপিতো নামে কমেডি অ্যাকাউন্টটি টুইটারে ২০১৩ সাল থেকে সচল। এই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম টুইটটি করা হয় ২০১৩ সালে জুলাই মাসে। প্রথম টুইটটি ছিল ইংরেজিতে—hello Twitter I’m single।
ব্যক্তিগত পরিচয়ের স্থানে হাভিয়ের লিখেছেন—
Origin: South India
Occupation: Store Keeper/IT Professional
Marital Status on Social Media: Unlimited Single (Akhand Single)
Real Life Marital Stutus: Maried
Tweets abouts: Relationship
Family: Not Known
Wife Name: Xavier’s Wife
Origin: South India
Current Location: Minneapolis, Minnesota, USA
Height: 5 ’7
Color: Dark
In competition with: David
হাভিয়েরকে বলা যায় ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ার স্ট্রিট আর্টিস্ট বাঙ্কসি। অবশ্য তিনি সামাজিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন না। তাঁর কৌতুকগুলোতে কখনো আপত্তি জানানোর মতো কেউ কিছু খুঁজে পায় না। ইন্টারনেটজুড়ে যখন রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রভাবিত কনটেন্ট, তখন হাভিয়ের নির্বিকার ও ক্লান্তিহীনভাবে নির্ভেজাল আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন।
নানা আদর্শিক মূল্যবোধ এবং ধর্মের মানুষ হাভিয়েরের কৌতুক থেকে নির্মল আনন্দ নিতে কুণ্ঠিত হন না। বিরুদ্ধ মতের লোকেরাও একসঙ্গে বসে হাসতে পারেন।
হাভিয়েরের বিখ্যাত মিমগুলো নিয়ে অনেকে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়েছে। ফলে হ্যাভিয়েরের বিচরণ এখন সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে।
মিমের যুগে জেভিয়ারকে চেনেন না এমন কেউ আছে কি? অন্তত নেটিজেনদের মধ্যে এমন কেউ থাকাটা প্রায় অসম্ভব! এমন কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নেই যেখানে জেভিয়ারকে পাওয়া যাবে না। তাঁর মিম এবং কৌতুকগুলো কঠিন বিষণ্ন মুহূর্তেও আপনাকে হাসিয়ে ছাড়বে।
কিন্তু কে এই লোক? এ নিয়ে রহস্যের কিনারা নেই। নির্বিকার, গোঁফযুক্ত একটা মধ্যবয়সী মানুষ প্রায় দেড় যুগ ধরে নেটিজেনদের হাসিয়ে যাচ্ছেন, অথচ তাঁর আসল পরিচয়ের হদিস এখনো মিললো না!
তবে এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব আছে। অনেকে বলেন তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আসল নাম পাকালু পাপিতো। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিস শহরে। তিনি যদি কোনো লাতিন নামকে ছদ্মনাম হিসেবে বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে উচ্চারণ হওয়ার কথা— হাভিয়ের।
হাভিয়ের প্রথম ভাইরাল হন ২০১৫ সালে। বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে নাকি মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। বন্ধুরা তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, তোমার ফলোয়ার ৫০০-এর বেশি হবে না। হাভিয়ের তখন ৫ হাজারের বেশি ফলোয়ার জোগার করে দেখাবেন বলে ঘোষণা দিয়ে কোমর বেঁধে নামেন। পরে ফেসবুকেও অ্যাকাউন্ট খোলেন।
টুইটার পেজে এখন হাভিয়েরের ফলোয়ার ২ লাখের বেশি। আর ফেসবুক পেজে সাড়ে ১৮ লাখেরও বেশি। তবে আসল হাভিয়ের কি না বলা মশকিল!
টুইটার এবং ফেসবুকে হাভিয়ের যে প্রোফাইল ফটোটি ব্যবহার করেন সেটি পাকালু পাপিতো নামে টুইটারে জনপ্রিয় এক কমেডিয়ানের ছবি। হাভিয়েরের নামে যেসব মিম পাওয়া সেগুলোর সঙ্গে @pakalupapito অ্যাকাউন্টটির কমেডির অনেক মিল। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝিতে ওই কমেডিয়ান বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।
অনেকের বিশ্বাস, হাভিয়ের মূলত দক্ষিণ ভারতীয় কেউ। তবে কেউ কেউ দাবি করেন তিনি আসলে উত্তর ভারতের। তাঁর আসল নাম ওম প্রকাশ। আইআইটি কানপুরে পদার্থবিদ্যা বিভাগে এখনো কাজ করেন।
পাকালু পাপিতো টুইটার পেজের অ্যাডমিন ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। তবে টুইটারে বলা কৌতুকগুলোই সাধারণত তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকালু পাপিতো ফেসবুক পেজের লাইক দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার।
দুঃখের বিষয় হলো পাকালু পাপিতোর জনপ্রিয়তার আয়ু বেশি দিন ছিল না। ২০১৮ সালেই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত হয় এবং ফেসবুক পেজ ডিলিট হয়ে যায়। তবে কী কারণে এমন জনপ্রিয় দুটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেল সেটি আজও জানা যায়নি।
@pakalupapito অ্যাকাউন্টটি ব্লক হওয়ার পর প্রায় একই নামে @pakalupapitow একটি অ্যাকাউন্ট দেখা যায়। সেটিও টুইটারে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। একই ধরনের কৌতুক পোস্ট করেন অ্যাডমিন। তবে এই অ্যাকাউন্টের পেছনেও আগের সেই ব্যক্তিই কি না তা স্পষ্ট নয়।
অনলাইনে মিম পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘নো ইয়োর মিম’—এর তথ্য অনুসারে, পাকালু পাপিতো নামে কমেডি অ্যাকাউন্টটি টুইটারে ২০১৩ সাল থেকে সচল। এই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম টুইটটি করা হয় ২০১৩ সালে জুলাই মাসে। প্রথম টুইটটি ছিল ইংরেজিতে—hello Twitter I’m single।
ব্যক্তিগত পরিচয়ের স্থানে হাভিয়ের লিখেছেন—
Origin: South India
Occupation: Store Keeper/IT Professional
Marital Status on Social Media: Unlimited Single (Akhand Single)
Real Life Marital Stutus: Maried
Tweets abouts: Relationship
Family: Not Known
Wife Name: Xavier’s Wife
Origin: South India
Current Location: Minneapolis, Minnesota, USA
Height: 5 ’7
Color: Dark
In competition with: David
হাভিয়েরকে বলা যায় ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ার স্ট্রিট আর্টিস্ট বাঙ্কসি। অবশ্য তিনি সামাজিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন না। তাঁর কৌতুকগুলোতে কখনো আপত্তি জানানোর মতো কেউ কিছু খুঁজে পায় না। ইন্টারনেটজুড়ে যখন রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রভাবিত কনটেন্ট, তখন হাভিয়ের নির্বিকার ও ক্লান্তিহীনভাবে নির্ভেজাল আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন।
নানা আদর্শিক মূল্যবোধ এবং ধর্মের মানুষ হাভিয়েরের কৌতুক থেকে নির্মল আনন্দ নিতে কুণ্ঠিত হন না। বিরুদ্ধ মতের লোকেরাও একসঙ্গে বসে হাসতে পারেন।
হাভিয়েরের বিখ্যাত মিমগুলো নিয়ে অনেকে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়েছে। ফলে হ্যাভিয়েরের বিচরণ এখন সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে।
পড়ালেখায় শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটের ব্যবহার এখন সাধারণ বিষয়। গুগলের এআই চ্যাটবট জেমিনি এ ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয়। তবে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে জেমিনি যা করল, তা রীতিমতো শঙ্কার বিষয়!
৬ ঘণ্টা আগেবহু ধরে পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট ব্যবহার করে পৃথিবী সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ ডেটা বা তথ্য সংগ্রহ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, দাবানল ও আবহাওয়াসহ আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করে স্যাটেলাইটগুলো। তবে এত বিশাল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করা অনেকটা সময়সাপেক্ষ এবং শ্রমসাধ্য কাজ। তাই...
১ দিন আগেমেসেজ লেখার সময় অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামনে এলে সেই বার্তা সম্পূর্ণ করার বিষয়টি ভুলে যান অনেকেই। এই সমস্যা সমাধানে ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে ‘ড্রাফট’ ফিচার চালু করেছে মেটা। ব্যবহারকারীদের অসমাপ্ত মেসেজগুলো পরিচালনা করতে সাহায্য করবে ফিচারটি। এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, এই ফিচা
১ দিন আগেকনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন ফিচার চালু করেছে ইউটিউব। ফিচারটি ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে লাইসেন্সপ্রাপ্ত গানকে পছন্দমতো রিমিক্স করা যাবে। গান নির্বাচনের পর এর মুড বা জনরাও পরিবর্তন করা যাবে। এরপর ইউটিউবের ‘ড্রিম ট্র্যাক এআই’ টুল ব্যবহার করে এই রিমিক্সকে ৩০ সেকেন্ড দৈর
১ দিন আগে