অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সূচকে দিন দিন বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমন হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ ও নানা অভিনব পন্থায় সরকারি নজরদারির বার্তা এই পরিস্থিতির পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২১’ প্রতিবেদনে। সবচেয়ে বাজে অবস্থা স্থান, শ্রেণি ও গোষ্ঠীভেদে ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতায় তারতম্য প্রশ্নে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনো নম্বরই পায়নি। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতা বিবেচনায় বাংলাদেশে চরম বৈষম্য বিদ্যমান।
এই সূচকে এবার বাংলাদেশ ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪০ পয়েন্ট পেয়েছে। সূচকের তিনটি আলাদা বিভাগের মধ্যে এই পয়েন্টপ্রাপ্তি বাংলাদেশকে ‘আংশিক মুক্ত’ বিভাগে ফেলেছে। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে বাক্স্বাধীনতা পরিস্থিতি একদমই ভালো নয়। বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনলাইনে মত প্রকাশে অনেকটাই রুদ্ধ পরিবেশের শিকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী দল ও তাদের সমমনাদের নানাভাবে নাজেহাল করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।
ফ্রিডম হাউসের ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২১’ প্রতিবেদনে ইন্টারনেটে বাক্স্বাধীনতার সূচকে ১০০-তে বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে ৪০ পয়েন্ট। গত বছর এই পয়েন্ট ছিল ৪২। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্রমে নিজেদের অবস্থান কিছুটা শক্ত হলেও তা কখনো ৫০ পয়েন্ট পার হয়নি। ২০১৮ সালের পর থেকে এতে আবার অবনমন শুরু হয়। ওই বছর এই সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৪৯। ২০১৯ সালে তা আরও কমে ৪৪-এ দাঁড়ায়।
প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে দেশগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে ফ্রিডম হাউস। এর মধ্যে ১০০ থেকে ৭০ পয়েন্টের মধ্যে থাকলে তাকে ‘মুক্ত’, ৬৯ থেকে ৪০-এর মধ্যে থাকলে ‘আংশিক মুক্ত’ এবং ৩৯-এর নিচে হলে ‘মুক্ত নয়’ বলে অভিহিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে এবারের অবনমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ‘আংশিক মুক্ত’ বিভাগে ঢুকে পড়ল। এটা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ ও নজরদারি এমন মাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে যে, এর জেরে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা রেকর্ড নিম্ন স্তরে গিয়ে ঠেকেছে। বিভিন্ন সময় ফেসবুক ব্যবহারও সীমিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বিশ্বের ৭০টি দেশের পর্যালোচনা করা হয়েছে। ইন্টারনেটে স্বাধীনতার স্তর নির্ণয়ে ৩ ধরনের মোট ২১টি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এতে। এই তিন ধরন হলো সেবা ব্যবহারে বাধা, কনটেন্টের সীমাবদ্ধতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। প্রতিবেদন তৈরিতে ২০২০ সালের ১ জুন থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ঘটনাবলি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, স্থান, শ্রেণি, গোষ্ঠী ইত্যাদি বিচারে ইন্টারনেট প্রবেশযোগ্যতায় কোনো তারতম্য ঘটে কিনা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিবেচনায় বাংলাদেশের স্কোর বেশ হতাশাজনক। প্রথম ক্ষেত্রে আগেরবার বাংলাদেশ ৬ পয়েন্টের মধ্যে ৩ পেলেও এবার তা কমে ২-এ নেমে এসেছে। সবচেয়ে বাজে অবস্থা স্থান, শ্রেণি ও গোষ্ঠীভেদে ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতায় তারতম্য প্রশ্নে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৬-এ পেয়েছে শূন্য। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতা বিবেচনায় বাংলাদেশে চরম বৈষম্য বিদ্যমান।
নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন, আটক অবস্থায় মৃত্যুর মতো একের পর এক ঘটনার কারণে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক ধরনের সেলফ সেন্সরশিপ ঢুকে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল, বিরোধী মতের যেকোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে আগের চেয়ে অনেক বেশি হেনস্তা করছে। দুর্নীতি এখনো বাংলাদেশের বড় সমস্যা হয়েই রয়েছে, যেখানে সতর্ককারীকেই সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে পড়তে হয়। যথাযথ প্রক্রিয়া বলে যে বিষয়টি রয়েছে, সেখানে গরিবদের প্রবেশযোগ্যতা নেই। আর ধনীদের কোনো ভুল কাজের জবাবদিহি করতে হয় না।
ইন্টারনেট অবকাঠামো, গতি ও মান প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের চেষ্টাও উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তারপরও মান ও গতি প্রশ্নে এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সাম্প্রতিক তথ্যমতে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রবেশযোগ্যতার হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। অবশ্য সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী এ হার ৬৬ শতাংশ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, বাংলাদেশের ১০ কোটি ৫০ লাখ লোক বর্তমানে মোবাইলে ফোনে ইন্টারনেট সেবার আওতায় রয়েছে।
প্রতিবেদনের সময়কাল ১ জুন, ২০২০ থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা নেট দুনিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে ২০১৯ সালে থ্রি–জি ও ফোর–জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। প্রায় এক বছর পর ২০২০ সালের আগস্টে এই সেবা আবার চালু করা হয়। এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় গত মার্চে চলমান আন্দোলনে তিন দিনের জন্য ফেসবুক ও ফেসবুক মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেওয়ার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সঙ্গে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আল-জাজিরা ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি নজরদারি সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নজরদারি, হ্যাকিং ও মুঠোফোন থেকে তথ্য সংগ্রহের প্রযুক্তি কিনেছে বাংলাদেশ। এই পেগাসাস সফটওয়্যার নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না আসায় এ নিয়ে জল্পনা শুধু বেড়েছে। একই সঙ্গে এটি নজরদারি বিষয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে, যা নেট দুনিয়ায় মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মানুষের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।
ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নিয়ে বিস্তৃতভাবে লেখা হয়েছে। এতে এই আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনটির বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করা হয়। করোনা মোকাবিলায় সরকারের সমালোচনা করে দেওয়া ফেসবুক পোস্টের জেরে গত বছরের মে মাসে আটক হয়েছিলেন মুশতাক।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সূচকে দিন দিন বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমন হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ ও নানা অভিনব পন্থায় সরকারি নজরদারির বার্তা এই পরিস্থিতির পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২১’ প্রতিবেদনে। সবচেয়ে বাজে অবস্থা স্থান, শ্রেণি ও গোষ্ঠীভেদে ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতায় তারতম্য প্রশ্নে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনো নম্বরই পায়নি। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতা বিবেচনায় বাংলাদেশে চরম বৈষম্য বিদ্যমান।
এই সূচকে এবার বাংলাদেশ ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪০ পয়েন্ট পেয়েছে। সূচকের তিনটি আলাদা বিভাগের মধ্যে এই পয়েন্টপ্রাপ্তি বাংলাদেশকে ‘আংশিক মুক্ত’ বিভাগে ফেলেছে। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে বাক্স্বাধীনতা পরিস্থিতি একদমই ভালো নয়। বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনলাইনে মত প্রকাশে অনেকটাই রুদ্ধ পরিবেশের শিকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী দল ও তাদের সমমনাদের নানাভাবে নাজেহাল করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।
ফ্রিডম হাউসের ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২১’ প্রতিবেদনে ইন্টারনেটে বাক্স্বাধীনতার সূচকে ১০০-তে বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে ৪০ পয়েন্ট। গত বছর এই পয়েন্ট ছিল ৪২। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্রমে নিজেদের অবস্থান কিছুটা শক্ত হলেও তা কখনো ৫০ পয়েন্ট পার হয়নি। ২০১৮ সালের পর থেকে এতে আবার অবনমন শুরু হয়। ওই বছর এই সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৪৯। ২০১৯ সালে তা আরও কমে ৪৪-এ দাঁড়ায়।
প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে দেশগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে ফ্রিডম হাউস। এর মধ্যে ১০০ থেকে ৭০ পয়েন্টের মধ্যে থাকলে তাকে ‘মুক্ত’, ৬৯ থেকে ৪০-এর মধ্যে থাকলে ‘আংশিক মুক্ত’ এবং ৩৯-এর নিচে হলে ‘মুক্ত নয়’ বলে অভিহিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে এবারের অবনমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ‘আংশিক মুক্ত’ বিভাগে ঢুকে পড়ল। এটা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ ও নজরদারি এমন মাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে যে, এর জেরে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা রেকর্ড নিম্ন স্তরে গিয়ে ঠেকেছে। বিভিন্ন সময় ফেসবুক ব্যবহারও সীমিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বিশ্বের ৭০টি দেশের পর্যালোচনা করা হয়েছে। ইন্টারনেটে স্বাধীনতার স্তর নির্ণয়ে ৩ ধরনের মোট ২১টি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এতে। এই তিন ধরন হলো সেবা ব্যবহারে বাধা, কনটেন্টের সীমাবদ্ধতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। প্রতিবেদন তৈরিতে ২০২০ সালের ১ জুন থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ঘটনাবলি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, স্থান, শ্রেণি, গোষ্ঠী ইত্যাদি বিচারে ইন্টারনেট প্রবেশযোগ্যতায় কোনো তারতম্য ঘটে কিনা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিবেচনায় বাংলাদেশের স্কোর বেশ হতাশাজনক। প্রথম ক্ষেত্রে আগেরবার বাংলাদেশ ৬ পয়েন্টের মধ্যে ৩ পেলেও এবার তা কমে ২-এ নেমে এসেছে। সবচেয়ে বাজে অবস্থা স্থান, শ্রেণি ও গোষ্ঠীভেদে ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতায় তারতম্য প্রশ্নে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৬-এ পেয়েছে শূন্য। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতা বিবেচনায় বাংলাদেশে চরম বৈষম্য বিদ্যমান।
নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন, আটক অবস্থায় মৃত্যুর মতো একের পর এক ঘটনার কারণে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক ধরনের সেলফ সেন্সরশিপ ঢুকে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল, বিরোধী মতের যেকোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে আগের চেয়ে অনেক বেশি হেনস্তা করছে। দুর্নীতি এখনো বাংলাদেশের বড় সমস্যা হয়েই রয়েছে, যেখানে সতর্ককারীকেই সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে পড়তে হয়। যথাযথ প্রক্রিয়া বলে যে বিষয়টি রয়েছে, সেখানে গরিবদের প্রবেশযোগ্যতা নেই। আর ধনীদের কোনো ভুল কাজের জবাবদিহি করতে হয় না।
ইন্টারনেট অবকাঠামো, গতি ও মান প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের চেষ্টাও উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তারপরও মান ও গতি প্রশ্নে এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সাম্প্রতিক তথ্যমতে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রবেশযোগ্যতার হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। অবশ্য সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী এ হার ৬৬ শতাংশ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, বাংলাদেশের ১০ কোটি ৫০ লাখ লোক বর্তমানে মোবাইলে ফোনে ইন্টারনেট সেবার আওতায় রয়েছে।
প্রতিবেদনের সময়কাল ১ জুন, ২০২০ থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা নেট দুনিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে ২০১৯ সালে থ্রি–জি ও ফোর–জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। প্রায় এক বছর পর ২০২০ সালের আগস্টে এই সেবা আবার চালু করা হয়। এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় গত মার্চে চলমান আন্দোলনে তিন দিনের জন্য ফেসবুক ও ফেসবুক মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেওয়ার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সঙ্গে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আল-জাজিরা ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি নজরদারি সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নজরদারি, হ্যাকিং ও মুঠোফোন থেকে তথ্য সংগ্রহের প্রযুক্তি কিনেছে বাংলাদেশ। এই পেগাসাস সফটওয়্যার নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না আসায় এ নিয়ে জল্পনা শুধু বেড়েছে। একই সঙ্গে এটি নজরদারি বিষয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে, যা নেট দুনিয়ায় মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মানুষের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।
ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নিয়ে বিস্তৃতভাবে লেখা হয়েছে। এতে এই আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনটির বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করা হয়। করোনা মোকাবিলায় সরকারের সমালোচনা করে দেওয়া ফেসবুক পোস্টের জেরে গত বছরের মে মাসে আটক হয়েছিলেন মুশতাক।
বহু ধরে পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট ব্যবহার করে পৃথিবী সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ ডেটা বা তথ্য সংগ্রহ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, দাবানল ও আবহাওয়াসহ আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করে স্যাটেলাইটগুলো। তবে এত বিশাল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করা অনেকটা সময়সাপেক্ষ এবং শ্রমসাধ্য কাজ। তাই...
৬ ঘণ্টা আগেমেসেজ লেখার সময় অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামনে এলে সেই বার্তা সম্পূর্ণ করার বিষয়টি ভুলে যান অনেকেই। এই সমস্যা সমাধানে ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে ‘ড্রাফট’ ফিচার চালু করেছে মেটা। ব্যবহারকারীদের অসমাপ্ত মেসেজগুলো পরিচালনা করতে সাহায্য করবে ফিচারটি। এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, এই ফিচা
১০ ঘণ্টা আগেকনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন ফিচার চালু করেছে ইউটিউব। ফিচারটি ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে লাইসেন্সপ্রাপ্ত গানকে পছন্দমতো রিমিক্স করা যাবে। গান নির্বাচনের পর এর মুড বা জনরাও পরিবর্তন করা যাবে। এরপর ইউটিউবের ‘ড্রিম ট্র্যাক এআই’ টুল ব্যবহার করে এই রিমিক্সকে ৩০ সেকেন্ড দৈর
১১ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের জানুয়ারিতে গ্যালাক্সি এস ২৫ সিরিজ উন্মোচন করতে যাচ্ছে স্যামসাং। সিরিজটি ২২ জানুয়ারি উন্মোচনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উন্মোচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে এটি নিয়ে আরও বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হচ্ছে। এবার জানা গেছে যে, গ্যালাক্সি ২৫ বেস ও গ্যালাক্সি এস ২৫ প্লাস মডেলে ১২ জিবি র্যাম থাকবে। এটি এই সিরিজের জন
১২ ঘণ্টা আগে