ক্রীড়া ডেস্ক
ইমানুয়েল আগাসি, অলিম্পিকে অংশ নেওয়া এক বক্সার। মেজাজে অত্যন্ত রাগী এই বক্সার তাঁর তিন সন্তাকেই বানাতে চেয়েছিলেন টেনিস খোলায়াড়। খুব করে চাইতেন তারা যেন বড় তারকা হোক। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা যাঁর মধ্যে দেখেছিলেন, সেই আন্দ্রে আগাসি টেনিসকে অনেক ঘৃণা করতেন!
ইমানুয়েল আগাসির প্রতি পুরো টেনিসবিশ্বের কৃতজ্ঞতা—আন্দ্রে আগাসি যতই ঘৃণা করুন; তাঁর ইচ্ছে, ভালোবাসা, প্রচেষ্টায় এই পৃথিবী পরে পেয়েছিল এক টেনিস কিংবদন্তিকে। ছয় বছরের আগাসিকেই টেনিস কোর্টে নামিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। বাবার চাপে দিনে ২৫০০ বার টেনিস বলে হিট করতে হতো তাঁকে। তাঁর বাবা চাইতেন এক বছরে ছেলে ১০ লাখ বার কাজটা করুক। দক্ষতা বাড়াতে ‘দ্য ড্রাগন’ নামের একটা বল মেশিন কিনে দিয়েছিলেন ছেলেকে। বল মেশিন থেকে ঘন্টায় ১১০ মাইল বেগে ছুটে আসা বল সামলাতে হতো আগাসিকে। ইতিহাসের ভিত্তি গড়া হয়েছে এভাবেই।
১৬ বছর বয়সেই তারকাখ্যাতি পেয়ে যান আগাসি। ১৮ বছর বয়সে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে শিরোপা জিতে চারিদিকে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন । লম্বা সোনালি চুল, আকর্ষণীয় পোশাকে সব আলো নিজের দিকে টেনে নিতেন। পরের গল্পটা শুধু নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময় কাটান ১৯৯৫ সালে। এ সময় ক্যারিয়ারের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম তো ছিল, আরও সাতটি বড় শিরোপা জেতেন। ১৯২৪ সালের পর প্রথম আমেরিকান হিসেবে ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিকে সোনা জয়ের রেকর্ডটাও তাঁর ।
পরের বছরই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় আগাসির ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ারের সেরা সময় থেকে তলানিতে যেতে থাকেন ক্রমেই। বাছাইয়ের ১৪১–এ নেমে গিয়েছিলেন আগাসি। কব্জির চোটে ভালোই ভুগেয়েছে এ টেনিস তারকাকে। একটা লম্বা বিরতি পড়ে যাওয়ায় হতাশা যেন আরও পেয়ে বসে। তিনটি বছরের বিরতির পর সব আবার নতুন করে শুরু করলেন। এবারের লড়াইটা প্রতিপক্ষের সঙ্গে নয়, নিজেকে ফিরে পাওয়ার।
ধীরে ধীরে খারাপ সময় পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগোতে থাকেন আগাসি। সেটির ফল হিসেবে বাছাইয়ের ১৪১ থেকে চলে আসেন ১০–এ। আগাসির জীবনের এই অধ্যায়টা দেখলে জীবনযুদ্ধে পরাজিত কোনো মানুষ আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র খুঁজে পাবে নিশ্চিত। ক্যারিয়ারের সেরা সময় থেকে তলানি, তলানি থেকে আবারও সেরা—আন্দ্রে আগাসির গল্পটা যেন কালজয়ী এক উপন্যাস!
আবারও ছন্দে ফেরা আগাসি ১৯৯৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে গড়েন আরেক ইতিহাস। পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নাম লেখান অভিজাত এক ক্লাবে। একের পর শিরোপা জিতে আবারও বাছাইয়ের শীর্ষে উঠে আসেন সে বছর। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৩—এই সময়ের মধ্যে ১০১ সপ্তাহ ছিলেন বাছাইয়ের শীর্ষে।
২০০০ ও ২০০১ টানা দুই বছর জেতেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। ২০০৩ সালে আবারও শিরোপা পুনরোদ্ধার করেন। এরপরই ক্যারিয়ারের গোধুলি লগ্নে চলে আসা। সবাইকে অবাক করে ২০০৫ সালের ইউএস ওপেনের ফাইনালে ওঠেন আগসি। শিরোপার লড়াইয়ে যদিও তরুণ রজার ফেদেরারের কাছে হেরে যান। ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসেও বাছাইয়ের শীর্ষ দশে ছিলেন আগাসি। ২০০৬ সালে পুরোনো চোট আবারও জেঁকে বসায় আর কোর্টে ফেরেননি। বিদায় জানিয়ে দেন টেনিসকে। নিজেও নিশ্চয়ই এটা ভেবে অবাক হন, শৈশবে যে টেনিসকে সব চেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন, সে খেলাটায় কী রাজত্বই না করেছেন!
ইমানুয়েল আগাসি, অলিম্পিকে অংশ নেওয়া এক বক্সার। মেজাজে অত্যন্ত রাগী এই বক্সার তাঁর তিন সন্তাকেই বানাতে চেয়েছিলেন টেনিস খোলায়াড়। খুব করে চাইতেন তারা যেন বড় তারকা হোক। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা যাঁর মধ্যে দেখেছিলেন, সেই আন্দ্রে আগাসি টেনিসকে অনেক ঘৃণা করতেন!
ইমানুয়েল আগাসির প্রতি পুরো টেনিসবিশ্বের কৃতজ্ঞতা—আন্দ্রে আগাসি যতই ঘৃণা করুন; তাঁর ইচ্ছে, ভালোবাসা, প্রচেষ্টায় এই পৃথিবী পরে পেয়েছিল এক টেনিস কিংবদন্তিকে। ছয় বছরের আগাসিকেই টেনিস কোর্টে নামিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। বাবার চাপে দিনে ২৫০০ বার টেনিস বলে হিট করতে হতো তাঁকে। তাঁর বাবা চাইতেন এক বছরে ছেলে ১০ লাখ বার কাজটা করুক। দক্ষতা বাড়াতে ‘দ্য ড্রাগন’ নামের একটা বল মেশিন কিনে দিয়েছিলেন ছেলেকে। বল মেশিন থেকে ঘন্টায় ১১০ মাইল বেগে ছুটে আসা বল সামলাতে হতো আগাসিকে। ইতিহাসের ভিত্তি গড়া হয়েছে এভাবেই।
১৬ বছর বয়সেই তারকাখ্যাতি পেয়ে যান আগাসি। ১৮ বছর বয়সে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে শিরোপা জিতে চারিদিকে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন । লম্বা সোনালি চুল, আকর্ষণীয় পোশাকে সব আলো নিজের দিকে টেনে নিতেন। পরের গল্পটা শুধু নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময় কাটান ১৯৯৫ সালে। এ সময় ক্যারিয়ারের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম তো ছিল, আরও সাতটি বড় শিরোপা জেতেন। ১৯২৪ সালের পর প্রথম আমেরিকান হিসেবে ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিকে সোনা জয়ের রেকর্ডটাও তাঁর ।
পরের বছরই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় আগাসির ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ারের সেরা সময় থেকে তলানিতে যেতে থাকেন ক্রমেই। বাছাইয়ের ১৪১–এ নেমে গিয়েছিলেন আগাসি। কব্জির চোটে ভালোই ভুগেয়েছে এ টেনিস তারকাকে। একটা লম্বা বিরতি পড়ে যাওয়ায় হতাশা যেন আরও পেয়ে বসে। তিনটি বছরের বিরতির পর সব আবার নতুন করে শুরু করলেন। এবারের লড়াইটা প্রতিপক্ষের সঙ্গে নয়, নিজেকে ফিরে পাওয়ার।
ধীরে ধীরে খারাপ সময় পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগোতে থাকেন আগাসি। সেটির ফল হিসেবে বাছাইয়ের ১৪১ থেকে চলে আসেন ১০–এ। আগাসির জীবনের এই অধ্যায়টা দেখলে জীবনযুদ্ধে পরাজিত কোনো মানুষ আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র খুঁজে পাবে নিশ্চিত। ক্যারিয়ারের সেরা সময় থেকে তলানি, তলানি থেকে আবারও সেরা—আন্দ্রে আগাসির গল্পটা যেন কালজয়ী এক উপন্যাস!
আবারও ছন্দে ফেরা আগাসি ১৯৯৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে গড়েন আরেক ইতিহাস। পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নাম লেখান অভিজাত এক ক্লাবে। একের পর শিরোপা জিতে আবারও বাছাইয়ের শীর্ষে উঠে আসেন সে বছর। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৩—এই সময়ের মধ্যে ১০১ সপ্তাহ ছিলেন বাছাইয়ের শীর্ষে।
২০০০ ও ২০০১ টানা দুই বছর জেতেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। ২০০৩ সালে আবারও শিরোপা পুনরোদ্ধার করেন। এরপরই ক্যারিয়ারের গোধুলি লগ্নে চলে আসা। সবাইকে অবাক করে ২০০৫ সালের ইউএস ওপেনের ফাইনালে ওঠেন আগসি। শিরোপার লড়াইয়ে যদিও তরুণ রজার ফেদেরারের কাছে হেরে যান। ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসেও বাছাইয়ের শীর্ষ দশে ছিলেন আগাসি। ২০০৬ সালে পুরোনো চোট আবারও জেঁকে বসায় আর কোর্টে ফেরেননি। বিদায় জানিয়ে দেন টেনিসকে। নিজেও নিশ্চয়ই এটা ভেবে অবাক হন, শৈশবে যে টেনিসকে সব চেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন, সে খেলাটায় কী রাজত্বই না করেছেন!
ফ্রান্স ও ইতালি—দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। সে হিসেবে উয়েফা নেশনস লিগে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াইটা নিছক নিয়মরক্ষার। কিন্তু ফরাসি ডিফেন্ডার লুকাস দিনিয়ে মনে করেন না সেটি। তাঁর কাছে এটি ফ্রান্সের প্রতিশোধের ম্যাচ।
৭ মিনিট আগেঝামেলা যেন পিছুই ছাড়ছে না আর্জেন্টিনার। মাঠের পারফরম্যান্সে সাম্প্রতিক অবস্থা তো ভালো নয়ই। এমনকি ফুটবলারদের চোটও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে আলবিসেলেস্তেদের।। জরুরি পরিস্থিতিতে দলে নেওয়া হয়েছে দিয়েগো সিমিওনের ছেলে গিলিয়ানো সিমিওনেকে।
৩৩ মিনিট আগেনিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ২০১২ সালে। দীর্ঘ ১ যুগের ডেডলক ভাঙার কাছাকাছি এখন শ্রীলঙ্কা। পাল্লেকেলেতে আজ বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় শুরু হবে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে। আজ জিতলেই লঙ্কানরা এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। রাতে ফুটবলে উয়েফা নে
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিপক্ষকে গোলের বন্যায় ভাসানো জার্মানির কাছে তো নতুন কিছু নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে সেই আইকনিক ‘সেভেন আপ’ খাওয়ানোর গল্প (৭-১ গোলের জয়) হারিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল জার্মানি। বসনিয়ার বিপক্ষে গত রাতে আবারও সেই ১০ বছরের পুরোনো স্মৃতি ব্রাজিল ভক্ত-সমর্থকদের মনে করাল জার্মানি।
২ ঘণ্টা আগে