ক্রীড়া ডেস্ক
নিজ ক্লাবের বিপক্ষে দারুণ কিছু করে ফেললেও উদযাপন না করাই নিয়ম। দলের প্রতি আনুগত্য থেকেই এমনটা করে থাকেন ফুটবলাররা।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো অন্য ক্লাবে থাকতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল পেলেও নিশ্চুপ ছিলেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে জোড়া করেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি ফিলিপে কুতিনহো।
তবে মার্চিন বুলকা গত রাতে যা করলেন, তাতে কিছুটা হলেও বিস্মিত হওয়ার কথা প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) সমর্থকেরা। টাইব্রেকারের জাভি সিমোন্সের শট ঠেকিয়ে পিএসজি থেকে ধারে নিসে খেলতে যাওয়া এ গোলরক্ষক আনন্দে আত্মহারা হয়ে দিলেন ভোঁ দৌড়। তাঁকে আর পায় কে!
প্যারিসের ক্লাবটি বুলকার ওপর আস্থা রাখতে না পেরে গত বছর ধারে খেলতে পাঠায় নিসে। ‘নিজেদের গোলরক্ষক’ বুলকাই গত রাতে সর্বনাশ হয় করে ছাড়লেন পিএসজির।
ফ্রেঞ্চ কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচটি গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে সতীর্থ লিয়ান্দ্রো পারেদেস ও সিমোন্সের শট ঠেকিয়ে নিসকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন বুলকা।
অথচ রাতটা হতে পারত শুধুই লিওনেল মেসি'র। করোনার ধকল কাটিয়ে গত সপ্তাহে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরলেও শুরুর একাদশে ছিলেন না মেসি। তবে গত রাতে ফ্রেঞ্চ কাপের এ ম্যাচে শুরু থেকেই খেলেছেন মেসি। কয়েক ঘন্টার জন্য ফিরে পেয়েছেন ১০ নম্বর জার্সিটিও। কিন্তু চিরচেনা ‘বিখ্যাত’ জার্সি পরেও আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পরাজিত সৈনিক হয়ে।
ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে ম্যাচটি নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও নিসের রক্ষণের সামনে অসহায় দেখিয়েছে মেসিদের। দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপ্পে নামলেও বলার মতো বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
ফ্রেঞ্চ কাপের নিয়ম অনুযায়ী, শেষ ষোলোয় শুরুর একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের পরতে হয় ১ থেকে ১১ নম্বর জার্সি। সে নিয়মের কারণে গত রাতে ৩০ নম্বর ছেড়ে বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি গায়ে জড়ান মেসি। এত দিন পিএসজির হয়ে ১০ নম্বর জার্সি পরে আসছিলেন নেইমার জুনিয়র। তবে চোটের কারণে ব্রাজিলিয়ান তারকা না থাকায় বিখ্যাত জার্সিটি কাল মেসির হাতেই তুলে দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
পিএসজি প্রথমার্ধে সবচেয়ে বড় সুযোগ পায় ২২ মিনিটে। ডি-বক্সে মেসি পাস দেন আন্দের হেরেরাকে। তবে এই মিডফিল্ডারের বাড়ানো বল বাইরে মেরে দেন মার্কো ভেরাত্তি। প্রথমার্ধে কেবল একটি শটই লক্ষ্যে রাখতে পারে স্বাগতিকেরা। সেটিও বিরতির বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে। সেই শট সরাসরি গোলরক্ষক বরাবর মারেন মেসি।
৬৪ মিনিটে মাউরো ইকার্দিকে তুলে এমবাপ্পেকে নামান পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। এরপরও পিএসজির দাপট দেখা যায়নি। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকে ম্যাচ।
টাইব্রেকারে নিজেদের প্রথম তিন শটে বল জালে পাঠায় নিস। পিএসজির প্রথম দুটি শটে জাল খুঁজে নেন মেসি ও এমবাপ্পে। কিন্তু পারেদেসের নেওয়া তাদের তৃতীয় শট ঠেকিয়ে দেন বুলকা।
নিসের চতুর্থ শট ঠেকিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। পরের তিনটি শটেই পিএসজির জাল কাঁপায় নিস। তবে সাডেন ডেথে সিমোন্সের শট রুখে দেন ‘ঘরের শত্রু’ বুলকা। তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় মেসিদের।
পিএসজি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
নিজ ক্লাবের বিপক্ষে দারুণ কিছু করে ফেললেও উদযাপন না করাই নিয়ম। দলের প্রতি আনুগত্য থেকেই এমনটা করে থাকেন ফুটবলাররা।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো অন্য ক্লাবে থাকতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল পেলেও নিশ্চুপ ছিলেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে জোড়া করেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি ফিলিপে কুতিনহো।
তবে মার্চিন বুলকা গত রাতে যা করলেন, তাতে কিছুটা হলেও বিস্মিত হওয়ার কথা প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) সমর্থকেরা। টাইব্রেকারের জাভি সিমোন্সের শট ঠেকিয়ে পিএসজি থেকে ধারে নিসে খেলতে যাওয়া এ গোলরক্ষক আনন্দে আত্মহারা হয়ে দিলেন ভোঁ দৌড়। তাঁকে আর পায় কে!
প্যারিসের ক্লাবটি বুলকার ওপর আস্থা রাখতে না পেরে গত বছর ধারে খেলতে পাঠায় নিসে। ‘নিজেদের গোলরক্ষক’ বুলকাই গত রাতে সর্বনাশ হয় করে ছাড়লেন পিএসজির।
ফ্রেঞ্চ কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচটি গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে সতীর্থ লিয়ান্দ্রো পারেদেস ও সিমোন্সের শট ঠেকিয়ে নিসকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন বুলকা।
অথচ রাতটা হতে পারত শুধুই লিওনেল মেসি'র। করোনার ধকল কাটিয়ে গত সপ্তাহে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরলেও শুরুর একাদশে ছিলেন না মেসি। তবে গত রাতে ফ্রেঞ্চ কাপের এ ম্যাচে শুরু থেকেই খেলেছেন মেসি। কয়েক ঘন্টার জন্য ফিরে পেয়েছেন ১০ নম্বর জার্সিটিও। কিন্তু চিরচেনা ‘বিখ্যাত’ জার্সি পরেও আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পরাজিত সৈনিক হয়ে।
ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে ম্যাচটি নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও নিসের রক্ষণের সামনে অসহায় দেখিয়েছে মেসিদের। দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপ্পে নামলেও বলার মতো বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
ফ্রেঞ্চ কাপের নিয়ম অনুযায়ী, শেষ ষোলোয় শুরুর একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের পরতে হয় ১ থেকে ১১ নম্বর জার্সি। সে নিয়মের কারণে গত রাতে ৩০ নম্বর ছেড়ে বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি গায়ে জড়ান মেসি। এত দিন পিএসজির হয়ে ১০ নম্বর জার্সি পরে আসছিলেন নেইমার জুনিয়র। তবে চোটের কারণে ব্রাজিলিয়ান তারকা না থাকায় বিখ্যাত জার্সিটি কাল মেসির হাতেই তুলে দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
পিএসজি প্রথমার্ধে সবচেয়ে বড় সুযোগ পায় ২২ মিনিটে। ডি-বক্সে মেসি পাস দেন আন্দের হেরেরাকে। তবে এই মিডফিল্ডারের বাড়ানো বল বাইরে মেরে দেন মার্কো ভেরাত্তি। প্রথমার্ধে কেবল একটি শটই লক্ষ্যে রাখতে পারে স্বাগতিকেরা। সেটিও বিরতির বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে। সেই শট সরাসরি গোলরক্ষক বরাবর মারেন মেসি।
৬৪ মিনিটে মাউরো ইকার্দিকে তুলে এমবাপ্পেকে নামান পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। এরপরও পিএসজির দাপট দেখা যায়নি। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকে ম্যাচ।
টাইব্রেকারে নিজেদের প্রথম তিন শটে বল জালে পাঠায় নিস। পিএসজির প্রথম দুটি শটে জাল খুঁজে নেন মেসি ও এমবাপ্পে। কিন্তু পারেদেসের নেওয়া তাদের তৃতীয় শট ঠেকিয়ে দেন বুলকা।
নিসের চতুর্থ শট ঠেকিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। পরের তিনটি শটেই পিএসজির জাল কাঁপায় নিস। তবে সাডেন ডেথে সিমোন্সের শট রুখে দেন ‘ঘরের শত্রু’ বুলকা। তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় মেসিদের।
পিএসজি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
৮ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
৮ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
৯ ঘণ্টা আগে