নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গালুরু থেকে
বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশ দল যে হোটেলে আছে সেই হোটেল রেনেসাঁ থেকে ভিভিদাস হোটেলের দূরত্ব কয়েক মিনিটের হাঁটাপথ। সাফের কর্মকর্তারা এই হোটেলেই উঠেছেন, সেমিফাইনাল পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনটা তাই এখানেই হলো। সেমিফাইনালের চার দলের ভেতর সবার আগে সংবাদ সম্মেলনে এলেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
২২ জুন লেবাননের বিপক্ষে এবারের সাফে প্রথম ম্যাচ খেলার পর প্রতি ৭২ ঘণ্টায় একটি করে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। গ্রুপপর্বে দুই দিনের বিরতিতে আসলে ম্যাচ খেলতে হয়েছে সাফে খেলতে আসা আট দলকেই। সেমিফাইনালে ওঠায় বাংলাদেশের সামনে অন্তত আরেক ম্যাচের ধাক্কা। জামালের চোখে-মুখে ক্লান্তি স্পষ্ট থাকলেও বাংলাদেশ অধিনায়কের চোখে শেষ চারে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার আত্মবিশ্বাস।
শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে আগামীকাল ‘এ’ গ্রুপের সেরা দল কুয়েতের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে মালদ্বীপ-ভুটানকে হারিয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ের ১৪১তম স্থানে থাকা কুয়েত এই ২০২৩ সালে খেলছে তাদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবল। গত জানুয়ারিতে কাতারের কাছে হারের পর টানা ৮ ম্যাচ অপরাজিত কুয়েত। এই ৮ ম্যাচে ড্র কেবল দুটিতে। সাফে কুয়েতের কাছে পাত্তাও পায়নি পাকিস্তান ও নেপাল। এগিয়ে থেকেও এই দলকে হারাতে পারেনি ভারত।
গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর ভারতীয় দর্শকদের দুয়ো/// শুনেছেন কুয়েতের ফুটবলাররা। সেই ম্যাচে ভারতীয়দের সঙ্গে যেভাবে খেলেছে কুয়েত তাকে খেলা না বলে ‘কুস্তি’ বললেও অনুচিত কিছু হবে না। ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছেন দুই দলের ফুটবলার। আগ্রাসী প্রেসিংয়ে ভারতের খেলাটা কঠিন করে তুলেছিলেন কুয়েতি ফুটবলাররা।
বাংলাদেশের বিপক্ষেও যে কুয়েতের কৌশল পাল্টাবে না সেটা নিশ্চিত। জামালদের পড়তে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। কুয়েতের আগ্রাসী ফুটবলের জবাবটা তাঁদেরও জানা আছে বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বললেন, ‘কুয়েত আগ্রাসী খেললে আমরাও আগ্রাসী খেলব। তবে আমরা আমাদের খেলাটাই খেলব, তাদের খেলাটা খেলব না। আমাদের নিজেদের দিকেই মনোযোগ রাখতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা গোল হজম না করে বসি। গোল করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’
কুয়েতের বিপক্ষে গত তিন দশকে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে মাত্র দুবার কুয়েতের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপ ও ১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে দেখায় প্রতিবারই হেরেছে বাংলাদেশ। এই কুয়েতের সঙ্গে আবার একটা সুখস্মৃতি আছেও বাংলাদেশের, তবে সেটা বয়সভিত্তিক ফুটবলে। ২০১৩ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে রুবেল মিয়ার গোলে কুয়েতের বিপক্ষে একমাত্র জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবল।
সেই রুবেল মিয়ারা আজ বাংলাদেশের ফুটবল থেকে প্রায় হারিয়েই গেছেন। নতুন এক প্রজন্মকে ঘিরে ২০০৫ সালের আবারও সাফের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশের। শেখ মোরসালিন-রাকিব হোসেনদের নিয়ে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। স্প্যানিশ কোচ বললেন, ‘প্রথম লক্ষ্য পূরণ …সেমিফাইনালে উঠে ছেলেরা সবাই খুশি এবং গর্বিত। আমি মনে করি, আপনি যখন সেমিফাইনালে উঠবেন, তখন লড়াইটা হবে ফাইনালে ওঠার জন্য।’
মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে চোখ জুড়ানো খেলায় ৬ গোল করে শেষ চারে এসেছে বাংলাদেশ। দারুণ খেলার আত্মবিশ্বাসটা কুয়েতের বিপক্ষেও ধরে রাখার প্রত্যাশা কাবরেরার। কুয়েতের বিপক্ষে কীভাবে শিষ্যদের খেলাতে হবে, সেই কৌশলটাও তাঁর জানা আছে বলে জানালেন স্প্যানিশ কোচ। তাঁর দাবি, ‘আমরা সব সময় প্রতিপক্ষদের ভালোভাবে পর্যালোচনা করি, সব সময় নিজেদের প্রস্তুতিকে প্রাধান্য দিই। সব সময় চেষ্টা করি প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগ নিতে। আগামীকালও কৌশল তা-ই হবে। আমরা নিজেদের খেলা খেলব এবং চেষ্টা করব কুয়েতকে বিস্ময় উপহার দেওয়ার।’
আর কুয়েতকে হারিয়ে বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার সুযোগ আছে বলে মনে করেন জামাল, ‘দেশের মানুষ আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। এটা আমার জন্য ভীষণ অনুপ্রেরণার। খুবই ভালো লাগছে। এই সেমিফাইনাল, ফাইনাল সবই আমাদের হাতে আছে। বাংলাদেশের যারা ফুটবল সমর্থক আছে, তারা আমাদের কাছে ফাইনাল আশা করে। যদি আমরা একটা ইতিবাচক ফল করতে পারি, তাহলে ফুটবলকে ঘিরে প্রত্যাশা আরও উঁচুতে উঠবে।’
বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশ দল যে হোটেলে আছে সেই হোটেল রেনেসাঁ থেকে ভিভিদাস হোটেলের দূরত্ব কয়েক মিনিটের হাঁটাপথ। সাফের কর্মকর্তারা এই হোটেলেই উঠেছেন, সেমিফাইনাল পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনটা তাই এখানেই হলো। সেমিফাইনালের চার দলের ভেতর সবার আগে সংবাদ সম্মেলনে এলেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
২২ জুন লেবাননের বিপক্ষে এবারের সাফে প্রথম ম্যাচ খেলার পর প্রতি ৭২ ঘণ্টায় একটি করে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। গ্রুপপর্বে দুই দিনের বিরতিতে আসলে ম্যাচ খেলতে হয়েছে সাফে খেলতে আসা আট দলকেই। সেমিফাইনালে ওঠায় বাংলাদেশের সামনে অন্তত আরেক ম্যাচের ধাক্কা। জামালের চোখে-মুখে ক্লান্তি স্পষ্ট থাকলেও বাংলাদেশ অধিনায়কের চোখে শেষ চারে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার আত্মবিশ্বাস।
শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে আগামীকাল ‘এ’ গ্রুপের সেরা দল কুয়েতের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে মালদ্বীপ-ভুটানকে হারিয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ের ১৪১তম স্থানে থাকা কুয়েত এই ২০২৩ সালে খেলছে তাদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবল। গত জানুয়ারিতে কাতারের কাছে হারের পর টানা ৮ ম্যাচ অপরাজিত কুয়েত। এই ৮ ম্যাচে ড্র কেবল দুটিতে। সাফে কুয়েতের কাছে পাত্তাও পায়নি পাকিস্তান ও নেপাল। এগিয়ে থেকেও এই দলকে হারাতে পারেনি ভারত।
গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর ভারতীয় দর্শকদের দুয়ো/// শুনেছেন কুয়েতের ফুটবলাররা। সেই ম্যাচে ভারতীয়দের সঙ্গে যেভাবে খেলেছে কুয়েত তাকে খেলা না বলে ‘কুস্তি’ বললেও অনুচিত কিছু হবে না। ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছেন দুই দলের ফুটবলার। আগ্রাসী প্রেসিংয়ে ভারতের খেলাটা কঠিন করে তুলেছিলেন কুয়েতি ফুটবলাররা।
বাংলাদেশের বিপক্ষেও যে কুয়েতের কৌশল পাল্টাবে না সেটা নিশ্চিত। জামালদের পড়তে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। কুয়েতের আগ্রাসী ফুটবলের জবাবটা তাঁদেরও জানা আছে বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বললেন, ‘কুয়েত আগ্রাসী খেললে আমরাও আগ্রাসী খেলব। তবে আমরা আমাদের খেলাটাই খেলব, তাদের খেলাটা খেলব না। আমাদের নিজেদের দিকেই মনোযোগ রাখতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা গোল হজম না করে বসি। গোল করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’
কুয়েতের বিপক্ষে গত তিন দশকে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে মাত্র দুবার কুয়েতের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপ ও ১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে দেখায় প্রতিবারই হেরেছে বাংলাদেশ। এই কুয়েতের সঙ্গে আবার একটা সুখস্মৃতি আছেও বাংলাদেশের, তবে সেটা বয়সভিত্তিক ফুটবলে। ২০১৩ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে রুবেল মিয়ার গোলে কুয়েতের বিপক্ষে একমাত্র জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবল।
সেই রুবেল মিয়ারা আজ বাংলাদেশের ফুটবল থেকে প্রায় হারিয়েই গেছেন। নতুন এক প্রজন্মকে ঘিরে ২০০৫ সালের আবারও সাফের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশের। শেখ মোরসালিন-রাকিব হোসেনদের নিয়ে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। স্প্যানিশ কোচ বললেন, ‘প্রথম লক্ষ্য পূরণ …সেমিফাইনালে উঠে ছেলেরা সবাই খুশি এবং গর্বিত। আমি মনে করি, আপনি যখন সেমিফাইনালে উঠবেন, তখন লড়াইটা হবে ফাইনালে ওঠার জন্য।’
মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে চোখ জুড়ানো খেলায় ৬ গোল করে শেষ চারে এসেছে বাংলাদেশ। দারুণ খেলার আত্মবিশ্বাসটা কুয়েতের বিপক্ষেও ধরে রাখার প্রত্যাশা কাবরেরার। কুয়েতের বিপক্ষে কীভাবে শিষ্যদের খেলাতে হবে, সেই কৌশলটাও তাঁর জানা আছে বলে জানালেন স্প্যানিশ কোচ। তাঁর দাবি, ‘আমরা সব সময় প্রতিপক্ষদের ভালোভাবে পর্যালোচনা করি, সব সময় নিজেদের প্রস্তুতিকে প্রাধান্য দিই। সব সময় চেষ্টা করি প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগ নিতে। আগামীকালও কৌশল তা-ই হবে। আমরা নিজেদের খেলা খেলব এবং চেষ্টা করব কুয়েতকে বিস্ময় উপহার দেওয়ার।’
আর কুয়েতকে হারিয়ে বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার সুযোগ আছে বলে মনে করেন জামাল, ‘দেশের মানুষ আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। এটা আমার জন্য ভীষণ অনুপ্রেরণার। খুবই ভালো লাগছে। এই সেমিফাইনাল, ফাইনাল সবই আমাদের হাতে আছে। বাংলাদেশের যারা ফুটবল সমর্থক আছে, তারা আমাদের কাছে ফাইনাল আশা করে। যদি আমরা একটা ইতিবাচক ফল করতে পারি, তাহলে ফুটবলকে ঘিরে প্রত্যাশা আরও উঁচুতে উঠবে।’
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
৫ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
৫ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
৬ ঘণ্টা আগে