ফারুক মেহেদী, কাতার থেকে
খেলা শেষ হওয়ার পর কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম থেকে মন খারাপ করে বের হন ব্রাজিলিয়ান সমর্থক পাউলো, জোসে ও মার্কুস। তাঁরা খেলা দেখতেই এসেছিলেন ব্রাজিল থেকে। জোসের হলুদ জার্সির সঙ্গে মাথায় হলুদ কৃত্রিম তন্তুর চুল। মুখে বিভিন্ন রঙের প্রলেপ। বোঝাই যাচ্ছে প্রিয় দল ব্রাজিল জিতবে, আনন্দ করবেন; তাই ইচ্ছেমতো সেজেছেন।
নেইমারের গোলের পর পর্যন্ত মাঠেও অনেক মজা করেছেন। জোসে আর তাঁর তিন বন্ধু ভেবেছিলেন সেমিফাইনালে প্রায় উঠেই গেল ব্রাজিল। কিন্তু নিমেষেই যেন কীভাবে কী হয়ে গেল! ক্রোয়েশিয়ার গোল নিজ দলের জালে ঢুকে যাওয়ার পর মনের ভাঙন শুরু হয়। পরাজয় মেনে স্টেডিয়াম থেকে বের হতে হতে জোসে ও তাঁর বন্ধুরা হতাশ। তারা কথা বলতে তেমন আগ্রহ দেখালেন না। তারপরও জোসে বলেন, ‘আমরা সেমিফাইনাল খেলে ফাইনালে যাব আর শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরব—এই আশা নিয়েই ব্রাজিল থেকে উড়ে এসেছিলাম। কিন্তু এখন আর কিছুই ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে পুরো কাতারের আকাশটা যেন ভেঙে পড়ল আমাদের ওপর।’
শুধু জোসে, মার্কুস আর পাউলোই নয়; ব্রাজিলের এই তিন সমর্থকদের মত কাতারে হাজারো ব্রাজিল সমর্থক নিজ পছন্দের দলের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর এভাবেই বিমর্ষ হয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। প্রবাসী ব্রাজিল সমর্থক শরিফ ও এনামুলও বাংলাদেশ থেকে খেলা দেখতে এসেছিলেন। অনেক আশা ছিল ব্রাজিল জিতবে। কিন্তু এভাবে হেরে মাঠ ছাড়তে হবে ভাবেননি। বললেন, ‘ব্রাজিল জিতবে না এটা আশাও করিনি। কাতার আসাটা স্মরণীয় করে রাখব ভেবেছিলাম। কিন্তু শেষে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না। এখন মনে হচ্ছে আনন্দটা বিষাদে পরিণত হয়েছে।’
মুদ্রার উল্টো পিঠের মতো ব্রাজিল সমর্থকেরা মনমরা হয়ে থাকলেও আনন্দে ভাসছেন কাতারের আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। তারা কাতারের সব জায়গায় আগের মত আকাশি নীলেই উৎসবে মেতে আছেন। মধ্যরাতে খেলা শেষে কাতারের বিলাসবহুল শহর লুসাইলের লুসাইল স্টেডিয়াম থেকে যখন আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা বের হচ্ছিলেন, তখন তাদের দেখা যাচ্ছিল সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবে। উল্লাস, আনন্দ আর উদ্যমে মাতোয়ারা একেকজন সমর্থক। তাদের অনেকেই স্টেডিয়াম থেকে বের হয়ে সুর করে গান গাইছেন, গলাগলি করছেন আর বের হওয়ার পথে স্থাপিত বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। এটি যেন তাদেরই রাত।
এর কিছুক্ষণ আগে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকেরা যেভাবে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ঘুমাতে গেছেন, এর কিছুক্ষণ পরই আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা উৎসবে মাতিয়ে রাখেন কাতার। স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার পথে পথে হাজারো আর্জেন্টাইন সমর্থকের মত খুশিতে ভাসতে দেখা যায় খেলা দেখতে কাতারে আসা আর্জেন্টাইন নাগরিক নাটালিয়া, কার্লুস ও জুলিয়ানকে। নানান সাজে, বাদ্য বাজাতে বাজাতে তারা বের হচ্ছেন। জুলিয়ান বলেন, ‘এ খুশি বোঝানোর মত নয়। এবার তাদের দল মেসির আর্জেন্টিনাই শিরোপা জয় করবে। আর মাত্র দুটি খেলা। এরপরই মেসির হাতে উঠবে বহু কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ শিরোপাটি।’
শুধু আর্জেন্টাইন নয়; কাতারে বাংলাদেশি প্রবাসী আর্জেন্টিনার সমর্থকরাও স্লোগান আর শোরগোলে ভরিয়ে রাখেন স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থান। প্রিয় দলটির জয়ে অনেক প্রবাসীর মত ব্যাপক খুশি বাংলাদেশি প্রবাসী সোহাগ, মনির ও ইলিয়াস। পরের দিন খুব সকালে তারা কাজে যোগ দেবেন, তাতে কী? পছন্দের টিম জিতেছে, মেসি সেমিফাইনাল খেলবে, শিরোপা জেতার লাইনে আছে–এটিই তাদের সব চেয়ে বড় আনন্দ। ইলিয়াস বলেন, ‘আমরা বহু কষ্টে খেলার টিকিট সংগ্রহ করেছি। আর্জেন্টিনার জয় দেখতে পেরেছি, এটাই সার্থকতা। অনেক দিন ধরেই আমার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা আর প্রিয় খেলোয়াড় মেসি। নিজ চোখে এত বড় জয় দেখার মত আনন্দ কী হতে পারে?’
খেলা শেষ হওয়ার পর কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম থেকে মন খারাপ করে বের হন ব্রাজিলিয়ান সমর্থক পাউলো, জোসে ও মার্কুস। তাঁরা খেলা দেখতেই এসেছিলেন ব্রাজিল থেকে। জোসের হলুদ জার্সির সঙ্গে মাথায় হলুদ কৃত্রিম তন্তুর চুল। মুখে বিভিন্ন রঙের প্রলেপ। বোঝাই যাচ্ছে প্রিয় দল ব্রাজিল জিতবে, আনন্দ করবেন; তাই ইচ্ছেমতো সেজেছেন।
নেইমারের গোলের পর পর্যন্ত মাঠেও অনেক মজা করেছেন। জোসে আর তাঁর তিন বন্ধু ভেবেছিলেন সেমিফাইনালে প্রায় উঠেই গেল ব্রাজিল। কিন্তু নিমেষেই যেন কীভাবে কী হয়ে গেল! ক্রোয়েশিয়ার গোল নিজ দলের জালে ঢুকে যাওয়ার পর মনের ভাঙন শুরু হয়। পরাজয় মেনে স্টেডিয়াম থেকে বের হতে হতে জোসে ও তাঁর বন্ধুরা হতাশ। তারা কথা বলতে তেমন আগ্রহ দেখালেন না। তারপরও জোসে বলেন, ‘আমরা সেমিফাইনাল খেলে ফাইনালে যাব আর শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরব—এই আশা নিয়েই ব্রাজিল থেকে উড়ে এসেছিলাম। কিন্তু এখন আর কিছুই ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে পুরো কাতারের আকাশটা যেন ভেঙে পড়ল আমাদের ওপর।’
শুধু জোসে, মার্কুস আর পাউলোই নয়; ব্রাজিলের এই তিন সমর্থকদের মত কাতারে হাজারো ব্রাজিল সমর্থক নিজ পছন্দের দলের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর এভাবেই বিমর্ষ হয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। প্রবাসী ব্রাজিল সমর্থক শরিফ ও এনামুলও বাংলাদেশ থেকে খেলা দেখতে এসেছিলেন। অনেক আশা ছিল ব্রাজিল জিতবে। কিন্তু এভাবে হেরে মাঠ ছাড়তে হবে ভাবেননি। বললেন, ‘ব্রাজিল জিতবে না এটা আশাও করিনি। কাতার আসাটা স্মরণীয় করে রাখব ভেবেছিলাম। কিন্তু শেষে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না। এখন মনে হচ্ছে আনন্দটা বিষাদে পরিণত হয়েছে।’
মুদ্রার উল্টো পিঠের মতো ব্রাজিল সমর্থকেরা মনমরা হয়ে থাকলেও আনন্দে ভাসছেন কাতারের আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। তারা কাতারের সব জায়গায় আগের মত আকাশি নীলেই উৎসবে মেতে আছেন। মধ্যরাতে খেলা শেষে কাতারের বিলাসবহুল শহর লুসাইলের লুসাইল স্টেডিয়াম থেকে যখন আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা বের হচ্ছিলেন, তখন তাদের দেখা যাচ্ছিল সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবে। উল্লাস, আনন্দ আর উদ্যমে মাতোয়ারা একেকজন সমর্থক। তাদের অনেকেই স্টেডিয়াম থেকে বের হয়ে সুর করে গান গাইছেন, গলাগলি করছেন আর বের হওয়ার পথে স্থাপিত বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। এটি যেন তাদেরই রাত।
এর কিছুক্ষণ আগে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকেরা যেভাবে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ঘুমাতে গেছেন, এর কিছুক্ষণ পরই আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা উৎসবে মাতিয়ে রাখেন কাতার। স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার পথে পথে হাজারো আর্জেন্টাইন সমর্থকের মত খুশিতে ভাসতে দেখা যায় খেলা দেখতে কাতারে আসা আর্জেন্টাইন নাগরিক নাটালিয়া, কার্লুস ও জুলিয়ানকে। নানান সাজে, বাদ্য বাজাতে বাজাতে তারা বের হচ্ছেন। জুলিয়ান বলেন, ‘এ খুশি বোঝানোর মত নয়। এবার তাদের দল মেসির আর্জেন্টিনাই শিরোপা জয় করবে। আর মাত্র দুটি খেলা। এরপরই মেসির হাতে উঠবে বহু কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ শিরোপাটি।’
শুধু আর্জেন্টাইন নয়; কাতারে বাংলাদেশি প্রবাসী আর্জেন্টিনার সমর্থকরাও স্লোগান আর শোরগোলে ভরিয়ে রাখেন স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থান। প্রিয় দলটির জয়ে অনেক প্রবাসীর মত ব্যাপক খুশি বাংলাদেশি প্রবাসী সোহাগ, মনির ও ইলিয়াস। পরের দিন খুব সকালে তারা কাজে যোগ দেবেন, তাতে কী? পছন্দের টিম জিতেছে, মেসি সেমিফাইনাল খেলবে, শিরোপা জেতার লাইনে আছে–এটিই তাদের সব চেয়ে বড় আনন্দ। ইলিয়াস বলেন, ‘আমরা বহু কষ্টে খেলার টিকিট সংগ্রহ করেছি। আর্জেন্টিনার জয় দেখতে পেরেছি, এটাই সার্থকতা। অনেক দিন ধরেই আমার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা আর প্রিয় খেলোয়াড় মেসি। নিজ চোখে এত বড় জয় দেখার মত আনন্দ কী হতে পারে?’
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম দিনে দেখা গেছে বোলারদের দাপট। মিরপুর, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম-চার ভেন্যুতেই ব্যাটাররা রীতিমতো ধুঁকেছেন। এক দিনেই পড়েছে মোট ৫০টি উইকেট।
১৮ মিনিট আগেসবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরে বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। পাশাপাশি ২০২৬ সালে যুব গেমসও করতে চায় বিওএ। বিওএ-এর সভা শেষে আজ সহসভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন এমনটাই জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জয় যেন পাকিস্তানের কাছে ‘সোনার হরিণ।’ সিডনিতে আজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে কাছাকাছি প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। প্রাণপণে লড়েও শেষ পর্যন্ত হেরেই গেলেন রিজওয়ান-বাবর আজমরা...
২ ঘণ্টা আগে২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘যুদ্ধ’ এখনো শেষ হয়নি। এই ঝামেলার মধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) প্রকাশ করেছে ট্রফির ভ্রমণ সূচি। বাংলাদেশে ট্রফিটি ভ্রমণ করবে আগামী মাসে।
৩ ঘণ্টা আগে