হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
লিওনেল মেসি কাঁদছেন! তাঁকে ঘিরে সান্ত্বনা দিচ্ছেন হাভিয়ের মাচেরানো-সার্জিও আগুয়েরোরা। শিরোপা জয়ের আনন্দ কিছু সময়ের জন্য ভুলে থেকে এগিয়ে এলেন চিলির মিডফিল্ডার মার্সেলো দিয়াজও। কিছুতেই যেন বাঁধ মানছিল না মেসির কান্না। ২০১৬ শতবর্ষীয় কোপার ফাইনালে একটু আগে টাইব্রেকারে মেসির পেনাল্টি মিসে হেরে গেছে আর্জেন্টিনা।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে তখন যেন শেক্সপিয়ারের বিয়োগান্ত কোনো নাটকের মঞ্চায়ন চলছিল। একটি আন্তর্জাতিক শিরোপার আক্ষেপ আর মেসির কান্নায় আকাশও ভারী হতে শুরু করেছে। কান্নাভেজা চোখে অভিমানী মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবলকেই বিদায় বলে দিলেন!
এরপর শুরু হয় ‘যেও না, লিও’ স্লোগান। সাধারণ মানুষ থেকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত মেসিকে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেন। মেসি যাননি। কোটি ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে আবার গায়ে চাপান আকাশি-নীল জার্সি। এখনো সেই জার্সির ভার বয়ে চলেছেন মেসি। একাই টানছেন আলবেসিলেস্তেদের। সেই ফাইনালের পর আরও একটি বিশ্বকাপ ও কোপা শেষ হয়েছে ব্যর্থতায়। এবার কোপায়ও আর্জেন্টিনাকে শেষ আটে নেওয়ার পথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। এবারও মেসির জ্বলে ওঠা আর্জেন্টিনার সাফল্যের সমার্থক। এখন পর্যন্ত চিত্রটা এমনই।
আর্জেন্টিনা দলে মেসির এ কাজ যেন গ্রিক পুরাণের রাজা সিসিফাসের পাথর ঠেলে পাহাড়ে ওঠানোর মতো। গড়িয়ে গড়িয়ে পাথর একাই চূড়ায় তুলছেন, সেখান থেকে সেই পাথর আবার নিচে পড়ে যাচ্ছে! কিন্তু ক্লান্তিহীনভাবে পাথর চূড়ায় তোলার কাজটা করেই গেছেন সিসিফাস। আর্জেন্টিনা দলে এটাই যেন নিয়মিত কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে মেসির জন্য। কখনো নিজের ভুলে, কখনো সতীর্থদের ভুলে আন্তর্জাতিক শিরোপা আর ছোঁয়া হচ্ছে না মেসির।
মেসির যেকোনো লড়াইয়ের আগে আরেকটি নাম এসে যায়—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে একজন আরেকজনের পেছনে ছায়ার মতো লেগে আছেন! রোনালদো এরই মধ্যে একবার ইউরো জিতেছেন। এবার যদিও পারেননি। বিদায় নিয়েছেন শেষ ষোলোয়। মেসির সামনে সুযোগ কোপা জিতে সিআর সেভেনের সঙ্গে সমতায় ফেরা।
আর সেটি করতে মেসির সামনে মাত্র তিনটি সিঁড়ি। এই তিনটি কঠিন, পিচ্ছিল সিঁড়ি পেরোতে পারলেই পারবেন পুরোনো শোক ভুলতে, যার প্রথম ধাপে কাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় মাঠে নামবে মেসির আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলকে রুখে দেওয়া ইকুয়েডর। পরিসংখ্যান ও সাফল্যে আর্জেন্টিনার চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা দল হলেও ইকুয়েডরকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।
গ্রুপ পর্বের শুরুতে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স ছিল নড়বড়ে। প্রথম ম্যাচে চিলির সঙ্গে পয়েন্ট হারান মেসিরা। পরের দুই ম্যাচে উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েকে হারালেও তাঁদের খেলা সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি। মেসির পারফরম্যান্সেও ক্লাব ফুটবলে টানা খেলার ক্লান্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। ঘুরে দাঁড়াতে অবশ্য সময় নেননি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বলিভিয়াকে ৪–১ গোলে উড়িয়ে বাকিদের বার্তা দেওয়ার কাজটাও সারেন মেসি। কিন্তু এখনো কঠিন পথটা পাড়ি দেওয়া বাকি রয়ে গেছে। পরের তিন ম্যাচই নকআউট। হারলেই শেষ! এই পরিস্থিতিতে কোনো প্রতিপক্ষই আর ছোট না। প্রতিটি ম্যাচই এখন তাই অগ্নিপরীক্ষা।
আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিও সতর্ক প্রতিপক্ষ ইকুয়েডরকে নিয়ে। বলেছেন, ‘ইকুয়েডরকে সমীহ করছি। তারা দারুণ একটি দল। তারুণ্য ও বৈচিত্র্য আছে দলটিতে।’
মেসি তো আছেনই, আর্জেন্টিনাকে স্বস্তি দিচ্ছে বাকিদের ছন্দে ফেরাটাও। বিশেষ স্বস্তি দিচ্ছে টানা দুই ম্যাচে গোল পাওয়া পাপু গোমেজ। শুরুর দিকে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে সমালোচিত লাওতারো মার্টিনেজও গোল–খরা কাটিয়েছেন। সামনের ম্যাচগুলোয় মেসিকে সঙ্গ দিয়ে পুরো দলের ছন্দ ধরে রাখার ওপর নির্ভর করছে আর্জেন্টিনার সাফল্য–ব্যর্থতা। নির্ভর করছে আকাশি–নীল জার্সিতে মেসির বড় শূন্যতা পূরণেরও।
লিওনেল মেসি কাঁদছেন! তাঁকে ঘিরে সান্ত্বনা দিচ্ছেন হাভিয়ের মাচেরানো-সার্জিও আগুয়েরোরা। শিরোপা জয়ের আনন্দ কিছু সময়ের জন্য ভুলে থেকে এগিয়ে এলেন চিলির মিডফিল্ডার মার্সেলো দিয়াজও। কিছুতেই যেন বাঁধ মানছিল না মেসির কান্না। ২০১৬ শতবর্ষীয় কোপার ফাইনালে একটু আগে টাইব্রেকারে মেসির পেনাল্টি মিসে হেরে গেছে আর্জেন্টিনা।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে তখন যেন শেক্সপিয়ারের বিয়োগান্ত কোনো নাটকের মঞ্চায়ন চলছিল। একটি আন্তর্জাতিক শিরোপার আক্ষেপ আর মেসির কান্নায় আকাশও ভারী হতে শুরু করেছে। কান্নাভেজা চোখে অভিমানী মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবলকেই বিদায় বলে দিলেন!
এরপর শুরু হয় ‘যেও না, লিও’ স্লোগান। সাধারণ মানুষ থেকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত মেসিকে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেন। মেসি যাননি। কোটি ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে আবার গায়ে চাপান আকাশি-নীল জার্সি। এখনো সেই জার্সির ভার বয়ে চলেছেন মেসি। একাই টানছেন আলবেসিলেস্তেদের। সেই ফাইনালের পর আরও একটি বিশ্বকাপ ও কোপা শেষ হয়েছে ব্যর্থতায়। এবার কোপায়ও আর্জেন্টিনাকে শেষ আটে নেওয়ার পথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। এবারও মেসির জ্বলে ওঠা আর্জেন্টিনার সাফল্যের সমার্থক। এখন পর্যন্ত চিত্রটা এমনই।
আর্জেন্টিনা দলে মেসির এ কাজ যেন গ্রিক পুরাণের রাজা সিসিফাসের পাথর ঠেলে পাহাড়ে ওঠানোর মতো। গড়িয়ে গড়িয়ে পাথর একাই চূড়ায় তুলছেন, সেখান থেকে সেই পাথর আবার নিচে পড়ে যাচ্ছে! কিন্তু ক্লান্তিহীনভাবে পাথর চূড়ায় তোলার কাজটা করেই গেছেন সিসিফাস। আর্জেন্টিনা দলে এটাই যেন নিয়মিত কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে মেসির জন্য। কখনো নিজের ভুলে, কখনো সতীর্থদের ভুলে আন্তর্জাতিক শিরোপা আর ছোঁয়া হচ্ছে না মেসির।
মেসির যেকোনো লড়াইয়ের আগে আরেকটি নাম এসে যায়—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে একজন আরেকজনের পেছনে ছায়ার মতো লেগে আছেন! রোনালদো এরই মধ্যে একবার ইউরো জিতেছেন। এবার যদিও পারেননি। বিদায় নিয়েছেন শেষ ষোলোয়। মেসির সামনে সুযোগ কোপা জিতে সিআর সেভেনের সঙ্গে সমতায় ফেরা।
আর সেটি করতে মেসির সামনে মাত্র তিনটি সিঁড়ি। এই তিনটি কঠিন, পিচ্ছিল সিঁড়ি পেরোতে পারলেই পারবেন পুরোনো শোক ভুলতে, যার প্রথম ধাপে কাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় মাঠে নামবে মেসির আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলকে রুখে দেওয়া ইকুয়েডর। পরিসংখ্যান ও সাফল্যে আর্জেন্টিনার চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা দল হলেও ইকুয়েডরকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।
গ্রুপ পর্বের শুরুতে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স ছিল নড়বড়ে। প্রথম ম্যাচে চিলির সঙ্গে পয়েন্ট হারান মেসিরা। পরের দুই ম্যাচে উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েকে হারালেও তাঁদের খেলা সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি। মেসির পারফরম্যান্সেও ক্লাব ফুটবলে টানা খেলার ক্লান্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। ঘুরে দাঁড়াতে অবশ্য সময় নেননি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বলিভিয়াকে ৪–১ গোলে উড়িয়ে বাকিদের বার্তা দেওয়ার কাজটাও সারেন মেসি। কিন্তু এখনো কঠিন পথটা পাড়ি দেওয়া বাকি রয়ে গেছে। পরের তিন ম্যাচই নকআউট। হারলেই শেষ! এই পরিস্থিতিতে কোনো প্রতিপক্ষই আর ছোট না। প্রতিটি ম্যাচই এখন তাই অগ্নিপরীক্ষা।
আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিও সতর্ক প্রতিপক্ষ ইকুয়েডরকে নিয়ে। বলেছেন, ‘ইকুয়েডরকে সমীহ করছি। তারা দারুণ একটি দল। তারুণ্য ও বৈচিত্র্য আছে দলটিতে।’
মেসি তো আছেনই, আর্জেন্টিনাকে স্বস্তি দিচ্ছে বাকিদের ছন্দে ফেরাটাও। বিশেষ স্বস্তি দিচ্ছে টানা দুই ম্যাচে গোল পাওয়া পাপু গোমেজ। শুরুর দিকে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে সমালোচিত লাওতারো মার্টিনেজও গোল–খরা কাটিয়েছেন। সামনের ম্যাচগুলোয় মেসিকে সঙ্গ দিয়ে পুরো দলের ছন্দ ধরে রাখার ওপর নির্ভর করছে আর্জেন্টিনার সাফল্য–ব্যর্থতা। নির্ভর করছে আকাশি–নীল জার্সিতে মেসির বড় শূন্যতা পূরণেরও।
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
৯ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
৯ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
১০ ঘণ্টা আগে