রানা আব্বাস, শারজা থেকে
ট্যাক্সিচালক শাহিন যেতে যেতে বলছিলেন, শারজা স্টেডিয়ামের অবস্থান শিল্প এলাকায়। দুবাইয়ের তুলনায় কম ব্যয়বহুল বলে উপমহাদেশের অনেক প্রবাসী থাকেন শারজায়। বলতে বলতে কখন যে গাড়িটা স্টেডিয়ামের কাছে এসে গেল, টের পাওয়া গেল না!
স্টেডিয়ামে ঢুকতেই বেশির ভাগ সাংবাদিক বেশ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন। কেউ কেউ ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, ‘টিভির শারজা চোখের সামনে!’ আশি-নব্বইয়ের দশকে উপমহাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে শারজা ছিল অতিপরিচিত এক নাম। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর সব ম্যাচে রোমাঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের দর্শকেরাও। ক্রিকেটের কত কিংবদন্তি গৌরবের চিহ্ন এঁকেছেন এই মরুতে। সেসবের বেশির ভাগই দেখা হয়েছে টিভিতে।
আশির দশকের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রিকেট রপ্তানি হয়েছে শারজাকে ঘিরেই। পুরো নব্বইয়ের দশকেও একই ছবি দেখা গেছে। এই শতাব্দীর শুরু থেকে আমিরাতে ক্রিকেট সম্প্রসারণ হয়েছে দুবাই, আবুধাবিতেও। দুবাই-আবুধাবি আধুনিকতার নিদর্শন হলে শারজাকে বলতে হবে ক্রিকেট ঐতিহ্যের বাহক।
গতকাল শারজা স্টেডিয়ামে এসে চোখ বারবার হাবিবুল বাশার সুমনকে খুঁজছিল। ভিসা জটিলতায় এখনো মাসকাটে আছেন, দলের সঙ্গে দুবাইয়ে আসতে পারেননি বিসিবির এই নির্বাচক। মাসকাটের নিঃসঙ্গ সময়টা সম্ভবত ভালো লাগছে না সুমনের। না হলে এ প্রসঙ্গে কিছু একটা বলতেনই।
২৬ বছর পর বাংলাদেশ দল এল শারজায় খেলতে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে এই মাঠে বাংলাদেশ খেলতে এসেছিল এশিয়া কাপে অংশ নিতে। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাসুদ, হাসিবুল হোসেন, জাভেদ ওমরদের; যাঁরা প্রত্যেকে পরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নাম হিসেবে। তাঁদের মধ্যে এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে শারজায় আসার কথা শুধু সুমনেরই। দুর্ভাগ্য তাঁর, ভিসা জটিলতায় মাসকাট থেকেই দলের খোঁজখবর রাখতে হচ্ছে তাঁকে।
বাংলাদেশ প্রথম শারজায় ম্যাচ খেলেছে ১৯৯০ সালের অস্ট্রেলেশিয়া কাপে। সেবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল, দুটিতেই বড় ব্যবধানে হার। পাঁচ বছর পর এশিয়া কাপ খেলতে একই ভেন্যুতে আসা। এশিয়া কাপের তিনটি ম্যাচই হেরেছিল বাংলাদেশ। আমিরাতে এরপর বাংলাদেশ খেলতে এসেছিল ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে। সেবার আবুধাবি-দুবাইয়ে খেলা হলেও শারজায় আর খেলা হয়নি।
নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ যে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে শারজায়, প্রতিটিই হেরেছে বড় ব্যবধানে । তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ছিল ‘শিশু’। লম্বা বিরতির পর শারজা খেলতে আসা এই বাংলাদেশের সঙ্গে নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশকে মেলানোর সুযোগ নেই। দল যদি ভিন্নই হয়, এবার বাংলাদেশ দলের শারজার গল্পটাও নিশ্চয়ই অন্যরকম হবে!
ট্যাক্সিচালক শাহিন যেতে যেতে বলছিলেন, শারজা স্টেডিয়ামের অবস্থান শিল্প এলাকায়। দুবাইয়ের তুলনায় কম ব্যয়বহুল বলে উপমহাদেশের অনেক প্রবাসী থাকেন শারজায়। বলতে বলতে কখন যে গাড়িটা স্টেডিয়ামের কাছে এসে গেল, টের পাওয়া গেল না!
স্টেডিয়ামে ঢুকতেই বেশির ভাগ সাংবাদিক বেশ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন। কেউ কেউ ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, ‘টিভির শারজা চোখের সামনে!’ আশি-নব্বইয়ের দশকে উপমহাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে শারজা ছিল অতিপরিচিত এক নাম। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর সব ম্যাচে রোমাঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের দর্শকেরাও। ক্রিকেটের কত কিংবদন্তি গৌরবের চিহ্ন এঁকেছেন এই মরুতে। সেসবের বেশির ভাগই দেখা হয়েছে টিভিতে।
আশির দশকের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রিকেট রপ্তানি হয়েছে শারজাকে ঘিরেই। পুরো নব্বইয়ের দশকেও একই ছবি দেখা গেছে। এই শতাব্দীর শুরু থেকে আমিরাতে ক্রিকেট সম্প্রসারণ হয়েছে দুবাই, আবুধাবিতেও। দুবাই-আবুধাবি আধুনিকতার নিদর্শন হলে শারজাকে বলতে হবে ক্রিকেট ঐতিহ্যের বাহক।
গতকাল শারজা স্টেডিয়ামে এসে চোখ বারবার হাবিবুল বাশার সুমনকে খুঁজছিল। ভিসা জটিলতায় এখনো মাসকাটে আছেন, দলের সঙ্গে দুবাইয়ে আসতে পারেননি বিসিবির এই নির্বাচক। মাসকাটের নিঃসঙ্গ সময়টা সম্ভবত ভালো লাগছে না সুমনের। না হলে এ প্রসঙ্গে কিছু একটা বলতেনই।
২৬ বছর পর বাংলাদেশ দল এল শারজায় খেলতে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে এই মাঠে বাংলাদেশ খেলতে এসেছিল এশিয়া কাপে অংশ নিতে। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাসুদ, হাসিবুল হোসেন, জাভেদ ওমরদের; যাঁরা প্রত্যেকে পরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নাম হিসেবে। তাঁদের মধ্যে এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে শারজায় আসার কথা শুধু সুমনেরই। দুর্ভাগ্য তাঁর, ভিসা জটিলতায় মাসকাট থেকেই দলের খোঁজখবর রাখতে হচ্ছে তাঁকে।
বাংলাদেশ প্রথম শারজায় ম্যাচ খেলেছে ১৯৯০ সালের অস্ট্রেলেশিয়া কাপে। সেবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল, দুটিতেই বড় ব্যবধানে হার। পাঁচ বছর পর এশিয়া কাপ খেলতে একই ভেন্যুতে আসা। এশিয়া কাপের তিনটি ম্যাচই হেরেছিল বাংলাদেশ। আমিরাতে এরপর বাংলাদেশ খেলতে এসেছিল ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে। সেবার আবুধাবি-দুবাইয়ে খেলা হলেও শারজায় আর খেলা হয়নি।
নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ যে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে শারজায়, প্রতিটিই হেরেছে বড় ব্যবধানে । তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ছিল ‘শিশু’। লম্বা বিরতির পর শারজা খেলতে আসা এই বাংলাদেশের সঙ্গে নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশকে মেলানোর সুযোগ নেই। দল যদি ভিন্নই হয়, এবার বাংলাদেশ দলের শারজার গল্পটাও নিশ্চয়ই অন্যরকম হবে!
কাতার বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশকে নিজেদের বেশ আপন মনে করেই যেন চলছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনায় তারা যে অভিভূত, সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজ দেশের সঙ্গে আর্জেন্টাইনরা বাংলাদেশের পতাকাও উড়ায়।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। চোটের কারণে ১৫ সদস্যের দলে সুযোগ হয়নি অভিজ্ঞ জেসন হোল্ডারের। তবু নিজেদের মাঠে বিপজ্জনক পেস আক্রমণ নিয়েই বাংলাদেশকে মোকাবিলা করবে স্বাগতিকেরা।
৩ ঘণ্টা আগেফিফার প্রথম প্রীতি ম্যাচ মালদ্বীপের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফিরতি দেখা হচ্ছে দল দুটির। জিততে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। দলের মাঝমাঠের তারকা সোহেল রানার কণ্ঠে জয়েরই সুর, ‘প্রথম ম্যাচটা আমরা ভালো খেলেও জিততে পারিনি। অনেকগুলো আক্রমণ করেছি, কিন্তু গোল পাইনি। এই ম্য
৩ ঘণ্টা আগেনভেম্বর চলে যাচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কোনো প্রস্তুতি নেই। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নাকি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এখন টেনিস কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক কমিটির লক্ষ্য শুধু নির্বাচন আয়োজন। টুর্নামেন্ট আয়োজনের মতো ‘বড়’ সিদ্ধান্ত তা
৪ ঘণ্টা আগে