রানা আব্বাস, মুম্বাই থেকে
বিশ্বকাপে অন্য দলগুলোর অধিনায়কেরা যেখানে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আসছেন, সেখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ দল। অবশেষে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন সাকিব আল হাসান। তাঁর সংবাদ সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকল এখানে—
ফিটনেস ইস্যু
সাকিব আল হাসান: গতকাল (পরশু) যখন অনুশীলন, তেমন কিছু ফিল করিনি। নেতিবাচক কোনো কিছু ফিল করিনি। আজও (কাল) অনুশীলন করব, সব ঠিকঠাক থাকলে ইনশা আল্লাহ।
প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা
বিশ্বকাপে আপনি শেষ ম্যাচে হেরেছেন নাকি জিতেছেন, নির্দিষ্ট ম্যাচের দিন সেটা কাজে দেয় না। নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো করবে, সে-ই জিতবে। দক্ষিণ আফ্রিকা এই বিশ্বকাপে উড়ছে। আবার নেদারল্যান্ডসের কাছেও তারা হেরেছে। ইংল্যান্ডকে আবার তারা উড়িয়ে দিয়েছে। তার মানে এই নয় যে এটা প্রতিদিন ঘটবে। বিশেষ করে বিশ্বকাপে। আমরা আমাদের মতো প্রস্তুতি নেব সেরা ক্রিকেটটা খেলতে।
বোলিংয়ে হতাশা
এমন জায়গায় খেলা হচ্ছে, যেখানে বোলাররা ভালো না করলে জেতার সম্ভাবনা কম। শেষ ম্যাচেও দেখেছি, এখানে প্রথমার্ধে অনেক রান হয়েছে। পরে বোলাররা ভালো করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা চার ম্যাচের তিনটিই জিতে ভালো অবস্থানে আছে। আমাদের এখনো পাঁচটা ম্যাচ বাকি। আমরা যদি এখান থেকে জিতে যেতে পারি, একটা ছন্দ খুঁজে পাব। ভালো একটা অবস্থানে চলে আসব। যদিও খুব বেশি ম্যাচ জিতিনি। কিন্তু পয়েন্ট টেবিল দেখলে আমরা খুব বাজে অবস্থানেও নেই। অন্য দলগুলো আমাদের সহায়তা করছে। এখন কাজ হচ্ছে নিজেদের সহায়তা করে কত ভালো জায়গায় যেতে পারি।
নিজে না খেললে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায়
নিজের না খেলাটা অনেক বড় আফসোসের বিষয়। আমি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ মিস করলাম ওয়ানডে বিশ্বকাপে। (ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ) মিস করাটা কষ্টের ছিল। বিশ্বকাপের মতো পর্যায়ে কাউকে আসলে মোটিভেটেড করতে হয় না। সবারই মোটিভেশন আছে।
মিরাজকে ওপরে খেলানো
মিরাজ যখন আফগানিস্তানের সঙ্গে সেঞ্চুরি করল, তখন আমরা পরিকল্পনা করলাম আবারও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওকে ওপরে খেলানো হবে। আর একজন ব্যাটার যখন নির্দিষ্ট কোনো পজিশনে নিয়মিত ভালো করছে, তাকে ওই জায়গায় যতটা সুযোগ দেওয়া যায়। কাগজে-কলমে আমাদের যারা ভালো ব্যাটার, আমাদের মনে হচ্ছে তাদের একটু নিচের দিকে (পজিশন) হয়ে যাচ্ছে। যদি উল্টোভাবে দেখি, ওখানে তারা যে রান করবে, সেটার গ্যারান্টি কী? না করলে মনে হয় আগের পজিশনই ভালো ছিল। তবু আমি মনে করি, প্রতিটি ম্যাচে ২৮০-২৯০ রানের সুযোগ ছিল। রিয়াদ ভাই বাদে কেউ তো শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারেনি। এখানে খুব বেশি সমালোচনা করার সুযোগ নেই মনে করি।
শতভাগ ফিটনেস ইস্যু
ঘাটতিটা কী? শতভাগ ফিটনেস কী? জানি না, বললাম তো আগের দিন অনুশীলনে কোনো ব্যথা অনুভব করিনি। আজও (কাল) যদি ব্যথা অনুভব না করি, তাহলে খেলার জন্য ফিট।
বড় স্কোর করতে না পারা
বড় রান হচ্ছে না। হ্যাঁ, বড় রান হলে ভালো হতো। আমরা চেষ্টা করছি, দোয়া করবেন যেন বড় রান করতে পারি।
এখনো শেষ চারের স্বপ্ন
স্বপ্ন তো...এখনো সম্ভাবনা আছে। আমরা না পারলেও অন্যরা আমাদের সহায়তা করছে। এটা যদি হতে থাকে আর নিজেদের একটু সহায়তা করতে পারি, স্বপ্ন সত্যিও হয়ে যেতে পারে। এখনো কাগজে-কলমে আমাদের সুযোগ আছে। ভালো সুযোগ আছে। এত তাড়াতাড়ি হতাশ হবেন না। টুর্নামেন্ট শেষ হলে তখন মনভরে হতাশ হইয়েন (হাসি)।
মুম্বাইয়ের গরম
সবার জন্যই চিন্তার বিষয়। চেষ্টা করছি কতটা বিশ্রাম নেওয়া যায়, হাইড্রেটেড থাকা যায়। সবশেষ ম্যাচে দুই দলই ভুগেছি। আমরা গরম আবহাওয়ায় খেলে অভ্যস্ত থাকলেও কন্ডিশন চ্যালেঞ্জিং আছে। দুই দলের জন্য একই অবস্থা।
পেসারদের পারফরম্যান্স
চার ম্যাচে হয়তো সেভাবে ভালো করিনি। আমি খুব একটা হতাশ নই। তবে সম্মিলিত পারফরম্যান্স হলে ভালো।
প্রোটিয়াদের রিস্ট স্পিনার
স্পিনাররা এই মাঠে খুব একটা ভূমিকা রাখে না। এ মাঠে স্পিনারদের জন্য খুব বেশি প্রভাব থাকে না। যদি চেন্নাইয়ে খেলতাম, তখন হয়তো থাকত। এটা ছোট সীমানা, হাই স্কোরিং উইকেট। বল দ্রুত যায়। আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা করছি, যেন অল্পে ওদের আটকে ফেলতে পারি; নেদারল্যান্ডস যেটা করেছিল। আশা করি আমাদের পরিকল্পনা ভালোভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং দিনটা ভালো যাবে।
বিশ্বকাপে অন্য দলগুলোর অধিনায়কেরা যেখানে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আসছেন, সেখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ দল। অবশেষে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন সাকিব আল হাসান। তাঁর সংবাদ সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকল এখানে—
ফিটনেস ইস্যু
সাকিব আল হাসান: গতকাল (পরশু) যখন অনুশীলন, তেমন কিছু ফিল করিনি। নেতিবাচক কোনো কিছু ফিল করিনি। আজও (কাল) অনুশীলন করব, সব ঠিকঠাক থাকলে ইনশা আল্লাহ।
প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা
বিশ্বকাপে আপনি শেষ ম্যাচে হেরেছেন নাকি জিতেছেন, নির্দিষ্ট ম্যাচের দিন সেটা কাজে দেয় না। নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো করবে, সে-ই জিতবে। দক্ষিণ আফ্রিকা এই বিশ্বকাপে উড়ছে। আবার নেদারল্যান্ডসের কাছেও তারা হেরেছে। ইংল্যান্ডকে আবার তারা উড়িয়ে দিয়েছে। তার মানে এই নয় যে এটা প্রতিদিন ঘটবে। বিশেষ করে বিশ্বকাপে। আমরা আমাদের মতো প্রস্তুতি নেব সেরা ক্রিকেটটা খেলতে।
বোলিংয়ে হতাশা
এমন জায়গায় খেলা হচ্ছে, যেখানে বোলাররা ভালো না করলে জেতার সম্ভাবনা কম। শেষ ম্যাচেও দেখেছি, এখানে প্রথমার্ধে অনেক রান হয়েছে। পরে বোলাররা ভালো করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা চার ম্যাচের তিনটিই জিতে ভালো অবস্থানে আছে। আমাদের এখনো পাঁচটা ম্যাচ বাকি। আমরা যদি এখান থেকে জিতে যেতে পারি, একটা ছন্দ খুঁজে পাব। ভালো একটা অবস্থানে চলে আসব। যদিও খুব বেশি ম্যাচ জিতিনি। কিন্তু পয়েন্ট টেবিল দেখলে আমরা খুব বাজে অবস্থানেও নেই। অন্য দলগুলো আমাদের সহায়তা করছে। এখন কাজ হচ্ছে নিজেদের সহায়তা করে কত ভালো জায়গায় যেতে পারি।
নিজে না খেললে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায়
নিজের না খেলাটা অনেক বড় আফসোসের বিষয়। আমি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ মিস করলাম ওয়ানডে বিশ্বকাপে। (ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ) মিস করাটা কষ্টের ছিল। বিশ্বকাপের মতো পর্যায়ে কাউকে আসলে মোটিভেটেড করতে হয় না। সবারই মোটিভেশন আছে।
মিরাজকে ওপরে খেলানো
মিরাজ যখন আফগানিস্তানের সঙ্গে সেঞ্চুরি করল, তখন আমরা পরিকল্পনা করলাম আবারও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওকে ওপরে খেলানো হবে। আর একজন ব্যাটার যখন নির্দিষ্ট কোনো পজিশনে নিয়মিত ভালো করছে, তাকে ওই জায়গায় যতটা সুযোগ দেওয়া যায়। কাগজে-কলমে আমাদের যারা ভালো ব্যাটার, আমাদের মনে হচ্ছে তাদের একটু নিচের দিকে (পজিশন) হয়ে যাচ্ছে। যদি উল্টোভাবে দেখি, ওখানে তারা যে রান করবে, সেটার গ্যারান্টি কী? না করলে মনে হয় আগের পজিশনই ভালো ছিল। তবু আমি মনে করি, প্রতিটি ম্যাচে ২৮০-২৯০ রানের সুযোগ ছিল। রিয়াদ ভাই বাদে কেউ তো শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারেনি। এখানে খুব বেশি সমালোচনা করার সুযোগ নেই মনে করি।
শতভাগ ফিটনেস ইস্যু
ঘাটতিটা কী? শতভাগ ফিটনেস কী? জানি না, বললাম তো আগের দিন অনুশীলনে কোনো ব্যথা অনুভব করিনি। আজও (কাল) যদি ব্যথা অনুভব না করি, তাহলে খেলার জন্য ফিট।
বড় স্কোর করতে না পারা
বড় রান হচ্ছে না। হ্যাঁ, বড় রান হলে ভালো হতো। আমরা চেষ্টা করছি, দোয়া করবেন যেন বড় রান করতে পারি।
এখনো শেষ চারের স্বপ্ন
স্বপ্ন তো...এখনো সম্ভাবনা আছে। আমরা না পারলেও অন্যরা আমাদের সহায়তা করছে। এটা যদি হতে থাকে আর নিজেদের একটু সহায়তা করতে পারি, স্বপ্ন সত্যিও হয়ে যেতে পারে। এখনো কাগজে-কলমে আমাদের সুযোগ আছে। ভালো সুযোগ আছে। এত তাড়াতাড়ি হতাশ হবেন না। টুর্নামেন্ট শেষ হলে তখন মনভরে হতাশ হইয়েন (হাসি)।
মুম্বাইয়ের গরম
সবার জন্যই চিন্তার বিষয়। চেষ্টা করছি কতটা বিশ্রাম নেওয়া যায়, হাইড্রেটেড থাকা যায়। সবশেষ ম্যাচে দুই দলই ভুগেছি। আমরা গরম আবহাওয়ায় খেলে অভ্যস্ত থাকলেও কন্ডিশন চ্যালেঞ্জিং আছে। দুই দলের জন্য একই অবস্থা।
পেসারদের পারফরম্যান্স
চার ম্যাচে হয়তো সেভাবে ভালো করিনি। আমি খুব একটা হতাশ নই। তবে সম্মিলিত পারফরম্যান্স হলে ভালো।
প্রোটিয়াদের রিস্ট স্পিনার
স্পিনাররা এই মাঠে খুব একটা ভূমিকা রাখে না। এ মাঠে স্পিনারদের জন্য খুব বেশি প্রভাব থাকে না। যদি চেন্নাইয়ে খেলতাম, তখন হয়তো থাকত। এটা ছোট সীমানা, হাই স্কোরিং উইকেট। বল দ্রুত যায়। আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা করছি, যেন অল্পে ওদের আটকে ফেলতে পারি; নেদারল্যান্ডস যেটা করেছিল। আশা করি আমাদের পরিকল্পনা ভালোভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং দিনটা ভালো যাবে।
ফ্রান্স ও ইতালি—দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। সে হিসেবে উয়েফা নেশনস লিগে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াইটা নিছক নিয়মরক্ষার। কিন্তু ফরাসি ডিফেন্ডার লুকাস দিনিয়ে মনে করেন না সেটি। তাঁর কাছে এটি ফ্রান্সের প্রতিশোধের ম্যাচ।
৩১ মিনিট আগেঝামেলা যেন পিছুই ছাড়ছে না আর্জেন্টিনার। মাঠের পারফরম্যান্সে সাম্প্রতিক অবস্থা তো ভালো নয়ই। এমনকি ফুটবলারদের চোটও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে আলবিসেলেস্তেদের।। জরুরি পরিস্থিতিতে দলে নেওয়া হয়েছে দিয়েগো সিমিওনের ছেলে গিলিয়ানো সিমিওনেকে।
১ ঘণ্টা আগেনিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ২০১২ সালে। দীর্ঘ ১ যুগের ডেডলক ভাঙার কাছাকাছি এখন শ্রীলঙ্কা। পাল্লেকেলেতে আজ বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় শুরু হবে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে। আজ জিতলেই লঙ্কানরা এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। রাতে ফুটবলে উয়েফা নে
২ ঘণ্টা আগেপ্রতিপক্ষকে গোলের বন্যায় ভাসানো জার্মানির কাছে তো নতুন কিছু নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে সেই আইকনিক ‘সেভেন আপ’ খাওয়ানোর গল্প (৭-১ গোলের জয়) হারিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল জার্মানি। বসনিয়ার বিপক্ষে গত রাতে আবারও সেই ১০ বছরের পুরোনো স্মৃতি ব্রাজিল ভক্ত-সমর্থকদের মনে করাল জার্মানি।
২ ঘণ্টা আগে