পুনেতে কি পারবে বাংলাদেশ

রানা আব্বাস, পুনে থেকে
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯: ১৭

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগের দিন ‘অঘটন’ শব্দ একাধিকবার এল। বিশ্বকাপ জমিয়ে তুলতে এরই মধ্যে ‘দৈত্যবধ’ শুরু হয়ে গেছে। আফগানিস্তান হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে, নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দিয়েছে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এসব অঘটনে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশও কি পারবে ভারতকে সজোরে ধাক্কা দিতে?

ভারতের বিপক্ষে অবশ্য বাংলাদেশের রেকর্ড মন্দ নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর গত চার বছরে ওয়ানডেতে চার দেখায় ভারতকে তিনবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেই তিন ওয়ানডে জয়ের ঘটনা আবার গত এক বছরের মধ্যে। এমনকি দুই দলের সবশেষ সাক্ষাতেও।

বাংলাদেশ হারিয়েছে ভারতকে। দুই বিশ্বকাপের মধ্যে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের স্কোরলাইন ৩-১ হয়ে আছে। তাহলে পুনেতেও কেন নয়? ভারতের যে শহর আবার ‘অঘটনে’র জন্য বেশ বিখ্যাত। এখানেই ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছিল কেনিয়া। 

সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের বিপক্ষে উজ্জ্বল পরিসংখ্যানের রেকর্ড থাকার পরও বাংলাদেশের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের কৌশলী উত্তর, ‘নিকট অতীতের রেকর্ড ভালো হলেও বিশ্বকাপে আমরা নতুন একটা ম্যাচ খেলতে নামব। বিশ্বকাপে ভারত দুর্দান্ত ছন্দে আছে। যদি আমরা নিজেদের সম্ভাবনা, সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খেলি, আমি মনে করি এটা একটা ভালো ম্যাচ হবে আমাদের জন্য। আমরা সেটা করে দেখাতে সক্ষম। আর এটা করতে আমাদের ভালো একটা শুরু দরকার।’

২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে সেই ঐতিহাসিক জয়ের পর বিশ্বকাপে আর ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপে, মেলবোর্নে ২০১৫ আর ২০১৯ বিশ্বকাপে বার্মিংহামে—প্রতিটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতীয় দলকে ভারতে চ্যালেঞ্জ জানানো আরও কঠিন। সেটিও আবার পুনের মতো তুলনামূলক ছোট সীমানা আর রানপ্রসবা উইকেটে। ভারতের যে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ, আগে ব্যাট করার সুযোগ পেলে তাদের পক্ষে ৩৫০ পেরোনো স্কোর গড়া কোনো ব্যাপারই না। কিন্তু বাংলাদেশ কি পারবে ৩০০ পার করা স্কোর গড়তে? এমনিতেই বাংলাদেশের ভঙ্গুর টপ অর্ডার, গত দুই দিনে পুনের অনুশীলনের একটি চিত্র দুই দলের ব্যাটিং শক্তির পার্থক্য বুঝিয়ে দিল। অনুশীলনে ভারতীয় ব্যাটাররা যেখানে অনায়াসে পাওয়ার হিটিংয়ে বল সীমানা ছাড়া করছেন, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সীমানা পার করতে হচ্ছে অনেক চেষ্টাচরিত্র করে।

হাথুরু মনে করেন, এ ধরনের ব্যাটিং উইকেটে তাঁদের অতিরিক্ত বোলিং অপশন থাকা দরকার। বাড়তি একজন বোলার নিতে রানখরায় ভুগতে থাকা ওপেনার তানজিদ তামিমকে বসিয়ে আবারও ‘মেক শিফট’ ওপেনার হিসেবে মিরাজকে খেলানোর কৌশলে যেতে পারে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। পেস আক্রমণেও একটি পরিবর্তন আনতে পারে বাংলাদেশ। দলের সমন্বয় তৈরির আগে সাকিব আল হাসানের ফিটনেস নিয়ে সংশয়হীন হতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। বিশেষ কিছু না ঘটলে আজ সাকিবই টস করতে নামবেন ভারতের বিপক্ষে। হাথুরু যদিও একটু লুকোছাপা করলেন কালকের সংবাদ সম্মেলনে। তাঁর যুক্তি, ‘যদি সে খেলতে প্রস্তুত না থাকে, আমরা ঝুঁকি নেব না। তবে যদি তৈরি থাকে, তবে সে কাল (আজ) খেলবে।’

ভারতে চার বছর আগে সাদা বলের ম্যাচ খেললেও শুনলে একটু অবাক হতে পারেন, ভারতের মাঠে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলতে নামছে ২৫ বছর পর। মুম্বাইয়ে খেলা ১৯৯৮ সালে কোকাকোলা ত্রিদেশীয় সিরিজের সেই ম্যাচ খেলা তিন ক্রিকেটার এখন ভারতেই আছেন। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু প্রধান নির্বাচক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন দলের সঙ্গেই আছেন। আতহার আলী খান ধারাভাষ্য দিচ্ছেন বিশ্বকাপে।

২৫ বছর আগের বাংলাদেশের সঙ্গে এই বাংলাদেশের একটা পার্থক্য নিশ্চয়ই আছে। সেই পার্থক্য কতটা, সেটিই আজ প্রমাণ করতে হবে সাকিব-মুশফিকদের।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

৩ মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

যানজটে গুলি করে ফেঁসে গেলেন জাপার সাবেক এমপি, অস্ত্রসহ আটক

শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি, কী ঘটেছিল সেখানে

এয়ারক্র্যাফটে স্বর্ণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত