নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
দেশের এক ক্রিকেটপ্রেমী চিত্রনির্মাতা গতকাল মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বিশ্বের সব ব্যাটারই এখন মোস্তাফিজকে টার্গেট করে চার-ছয় মারতে। অথচ একসময় অনেকেই তার বলকে ভয়/সমীহ করত।’ তাঁর সেই পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এইটা নিয়ে একটা নাটক বানান।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ব্যঙ্গ-রসিকতার সুযোগ তো মোস্তাফিজের পারফরম্যান্সই করে দিচ্ছে।
বোলিংয়ে চেনা মোস্তাফিজকে ধারাবাহিক পাওয়া যাচ্ছে না। এক ম্যাচে ভালো করছেন তো টানা কয়েক ম্যাচে নিষ্প্রভ। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কী বোলিং, কী ফিল্ডিং—মোস্তাফিজ যেন ভুল করেই যাচ্ছেন।
বোলিংয়ে নিজের শেষ ওভারে তা-ও ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন মোস্তাফিজ। প্রথমে দুই ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান। উইকেট পেয়েছেন একটি। তৃতীয় ওভারে আরও ৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। যখন অন্য প্রান্ত থেকে বোলাররা আফগান ব্যাটারদের চেপে ধরেছেন, মোস্তাফিজের এলেবেলে বোলিংয়ে সেটা আলগা হয়ে যাচ্ছে। ফিল্ডিংয়ে ওভার থ্রো, মিস ফিল্ডিং—বাঁহাতি পেসারের এই পারফরম্যান্স চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য। টেস্টে তাঁকে দেখা যায় না অনেক দিন হলো। সাদা বলের দুই সংস্করণেও এখন মোস্তাফিজকে দলের ‘অটোমেটিক চয়েস’ বলা কঠিন হয়ে পড়ছে।
মোস্তাফিজের সামনের পথটাও মসৃণ বলা যাচ্ছে না। বিকল্প হওয়ার পথে অনেকটা এগিয়েছেন আরেক বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। যদিও গতকাল তাঁকে একাদশে রাখা হয়নি। মোস্তাফিজ যখন দিনে দিনে নিজের সেরাটা হারাচ্ছেন, সেখানে তাসকিন আহমেদ যেন প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। তিন সংস্করণে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের নেতা তিনি।
২০২১ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনের পর অন্য এক তাসকিনকে দেখা যাচ্ছে।
বোলিংয়ে চোখে পড়ার মতো উন্নতি তো করেছেনই, যোগ হয়েছে ফিল্ডিং ও ব্যাটিং। মাঠে তাসকিনের লড়াকু স্পৃহা মুগ্ধ করবে যে কারও। গতকালও সিরিজ-নির্ধারণী দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দলের জয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন। মেঘলা আবহাওয়া, উইকেটে কিছুটা ঘাস—রহমানউল্লাহ গুরবাজ-হজরতউল্লাহ জাজাইদের সামনে ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ের রুদ্রমূর্তি দেখান তাসকিন। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তাঁর শিকার ৩ উইকেট।
এর মধ্যে গুরবাজের প্রথম উইকেটের পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের ‘ফিফটি’ পূর্ণ করেছেন তাসকিন। তাঁর আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ফিফটি ছুঁয়েছেন শুধু সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজ। চোট কাটিয়ে আফগান সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছিলেন তাসকিন। পাঁজরের চোটে চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলা হয়নি তাঁর।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ ভাবনায় রেখে তাঁকে বিশ্রামে রাখার ভাবনা থাকলে শেষ পর্যন্ত সরে আসে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। ওই টেস্টে দারুণ বোলিং করে তাসকিন জানিয়ে দেন, তিনি আসলে কতটা প্রস্তুত। বাংলাদেশ দলের জন্য স্বস্তির ব্যাপার, চোট কাটিয়ে ফিরলেও ছন্দ হারাননি তাসকিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর তাসকিন সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখিয়েছেন ফিটনেসে। তাসকিনের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে গত কয়েক বছরে অন্য মাত্রাই যোগ করেছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, তাসকিনের এই আলোয় কিছুটা মলিনই দেখাচ্ছে মোস্তাফিজকে।
দেশের এক ক্রিকেটপ্রেমী চিত্রনির্মাতা গতকাল মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বিশ্বের সব ব্যাটারই এখন মোস্তাফিজকে টার্গেট করে চার-ছয় মারতে। অথচ একসময় অনেকেই তার বলকে ভয়/সমীহ করত।’ তাঁর সেই পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এইটা নিয়ে একটা নাটক বানান।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ব্যঙ্গ-রসিকতার সুযোগ তো মোস্তাফিজের পারফরম্যান্সই করে দিচ্ছে।
বোলিংয়ে চেনা মোস্তাফিজকে ধারাবাহিক পাওয়া যাচ্ছে না। এক ম্যাচে ভালো করছেন তো টানা কয়েক ম্যাচে নিষ্প্রভ। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কী বোলিং, কী ফিল্ডিং—মোস্তাফিজ যেন ভুল করেই যাচ্ছেন।
বোলিংয়ে নিজের শেষ ওভারে তা-ও ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন মোস্তাফিজ। প্রথমে দুই ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান। উইকেট পেয়েছেন একটি। তৃতীয় ওভারে আরও ৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। যখন অন্য প্রান্ত থেকে বোলাররা আফগান ব্যাটারদের চেপে ধরেছেন, মোস্তাফিজের এলেবেলে বোলিংয়ে সেটা আলগা হয়ে যাচ্ছে। ফিল্ডিংয়ে ওভার থ্রো, মিস ফিল্ডিং—বাঁহাতি পেসারের এই পারফরম্যান্স চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য। টেস্টে তাঁকে দেখা যায় না অনেক দিন হলো। সাদা বলের দুই সংস্করণেও এখন মোস্তাফিজকে দলের ‘অটোমেটিক চয়েস’ বলা কঠিন হয়ে পড়ছে।
মোস্তাফিজের সামনের পথটাও মসৃণ বলা যাচ্ছে না। বিকল্প হওয়ার পথে অনেকটা এগিয়েছেন আরেক বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। যদিও গতকাল তাঁকে একাদশে রাখা হয়নি। মোস্তাফিজ যখন দিনে দিনে নিজের সেরাটা হারাচ্ছেন, সেখানে তাসকিন আহমেদ যেন প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। তিন সংস্করণে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের নেতা তিনি।
২০২১ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনের পর অন্য এক তাসকিনকে দেখা যাচ্ছে।
বোলিংয়ে চোখে পড়ার মতো উন্নতি তো করেছেনই, যোগ হয়েছে ফিল্ডিং ও ব্যাটিং। মাঠে তাসকিনের লড়াকু স্পৃহা মুগ্ধ করবে যে কারও। গতকালও সিরিজ-নির্ধারণী দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দলের জয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন। মেঘলা আবহাওয়া, উইকেটে কিছুটা ঘাস—রহমানউল্লাহ গুরবাজ-হজরতউল্লাহ জাজাইদের সামনে ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ের রুদ্রমূর্তি দেখান তাসকিন। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তাঁর শিকার ৩ উইকেট।
এর মধ্যে গুরবাজের প্রথম উইকেটের পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের ‘ফিফটি’ পূর্ণ করেছেন তাসকিন। তাঁর আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ফিফটি ছুঁয়েছেন শুধু সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজ। চোট কাটিয়ে আফগান সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছিলেন তাসকিন। পাঁজরের চোটে চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলা হয়নি তাঁর।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ ভাবনায় রেখে তাঁকে বিশ্রামে রাখার ভাবনা থাকলে শেষ পর্যন্ত সরে আসে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। ওই টেস্টে দারুণ বোলিং করে তাসকিন জানিয়ে দেন, তিনি আসলে কতটা প্রস্তুত। বাংলাদেশ দলের জন্য স্বস্তির ব্যাপার, চোট কাটিয়ে ফিরলেও ছন্দ হারাননি তাসকিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর তাসকিন সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখিয়েছেন ফিটনেসে। তাসকিনের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে গত কয়েক বছরে অন্য মাত্রাই যোগ করেছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, তাসকিনের এই আলোয় কিছুটা মলিনই দেখাচ্ছে মোস্তাফিজকে।
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
৫ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
৬ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
৬ ঘণ্টা আগে