ক্রীড়া ডেস্ক
জিততে হলে কীভাবে রান তাড়া করতে হবে, সেই সমীকরণ লেখা ছিল আফগান ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে যাওয়ার পথে একটি বোর্ডে। ১০ ওভারে ৫০, ২০ ওভারে ১০০; এভাবে ৪৮ ওভারে ম্যাচ জেতার সমীকরণ সাজিয়ে রেখেছিলেন আফগান কোচরা। এক মাস আগে হিসাবের গরমিলে যে ভুল হয়েছিল, এবারও যেন সেই ভুল না হয়, তাই একটু বাড়তি সতর্কতা আফগানদের।
গত মাসে এশিয়া কাপে স্মরণীয় এক লড়াই উপহার দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান। সমীকরণের জটিল মারপ্যাঁচ না বুঝে সুপার ফোরে ওঠা হয়নি আফগানদের, হাস্যকরভাবে হেরেছিল ম্যাচটাও। মাত্রই কিছুদিন আগের সেই জমজমাট ম্যাচটার অভিজ্ঞতা জ্বলজ্বলে থাকায় মনে হচ্ছিল, বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান লড়াইটা বেশ জমজমাটই হবে।
কিন্তু কিসের কি! জমজমাট লড়াইয়ের বদলে আফগানিস্তানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে কোণঠাসা শ্রীলঙ্কার বোলিং। তিনটি ৫০ পেরোনো জুটিতে আফগানিস্তানকে বিশ্বকাপে তৃতীয় জয় এল আফগানিস্তানের। ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের পর আফগানদের শিকার ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা। বোর্ডে লেখা সমীকরণ মেনে ৪৮ ওভারের আগেই জিতেছে দলটা। ২৮ বল হাতে রেখেই পুনেতে লঙ্কানদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বিশ্বকাপে একের পর এক চমক উপহার দেওয়া দলটা।
চমক শুধু জয়ে নয়, আফগানিস্তান চমকে দেখিয়েছে পয়েন্ট টেবিলেও। ছয় ম্যাচে ৬ পয়েন্টে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে টপকে পাঁচে উঠে এসেছে হাশমতউল্লাহ শহিদির দল। আফগানরা পরের ম্যাচ খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। শেষ দুই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে জিতলে সেমিফাইনালেও খেলতে পারে আগের বিশ্বকাপে মাত্র একটিতে জয় পাওয়া আফগানিস্তান।
২৪২ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বোল্ড করেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। আফগান ব্যাটাররা উল্টো চ্যালেঞ্জে ফেলে দিলেন লঙ্কান বোলারদের। রহমানউল্লাহ ছাড়া সবাই রান পেলেন। রান তোলায় তাড়াহুড়ো করেননি আবার কাঁধে চেপেও বসতে দেননি রানের চাপ।
দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেকে শ্রীলঙ্কার চাপ ঢিলে করে দিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। ৭৩ রানের এই জুটি ভাঙেন সেই মাদুশাঙ্কা। ৩৯ রানে ফিরলেন ইব্রাহিম জাদরান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাশমতউল্লাহ ৫৮ রান তোলেন রহমত শাহ। কাসুন রাজিথার বলে ফেরার আগে করে গেছেন ৭৪ বলে ৬২। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন হাশমতউল্লাহ।
তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ। ৭৪ বলে খেলেছেন অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস। তবে বড় চমক দেখিয়েছেন আজমতউল্লাহ। এই বিশ্বকাপেই লোয়ার অর্ডার থেকে পাঁচে উঠে আসা ব্যাটার ৬৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন আজমতউল্লাহ। ৩ ছক্কার সঙ্গে ৬ চারের মার তাঁর ব্যাটে।
প্রথমে বোলিং করা আফগানিস্তানকে জয়ের পথটা সহজ করে দিয়েছেন ম্যাচসেরা ফজলহক ফারুকি। আগের ম্যাচে একাদশের বাইরে ছিলেন এই পেসার। একাদশে জায়গা পেয়েই শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিলেন আফগান পেসার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৩৪ রানে নিলেন ৪ উইকেট। আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চনমনে শ্রীলঙ্কা অলআউট হলো ২৪১ রানে। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ৪৬, কুশল মেন্ডিসের ৩৯ ও সাদিরা সামারাবিক্রমার ৩৬ রানের পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি লঙ্কান অন্য ব্যাটাররা।
জিততে হলে কীভাবে রান তাড়া করতে হবে, সেই সমীকরণ লেখা ছিল আফগান ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে যাওয়ার পথে একটি বোর্ডে। ১০ ওভারে ৫০, ২০ ওভারে ১০০; এভাবে ৪৮ ওভারে ম্যাচ জেতার সমীকরণ সাজিয়ে রেখেছিলেন আফগান কোচরা। এক মাস আগে হিসাবের গরমিলে যে ভুল হয়েছিল, এবারও যেন সেই ভুল না হয়, তাই একটু বাড়তি সতর্কতা আফগানদের।
গত মাসে এশিয়া কাপে স্মরণীয় এক লড়াই উপহার দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান। সমীকরণের জটিল মারপ্যাঁচ না বুঝে সুপার ফোরে ওঠা হয়নি আফগানদের, হাস্যকরভাবে হেরেছিল ম্যাচটাও। মাত্রই কিছুদিন আগের সেই জমজমাট ম্যাচটার অভিজ্ঞতা জ্বলজ্বলে থাকায় মনে হচ্ছিল, বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান লড়াইটা বেশ জমজমাটই হবে।
কিন্তু কিসের কি! জমজমাট লড়াইয়ের বদলে আফগানিস্তানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে কোণঠাসা শ্রীলঙ্কার বোলিং। তিনটি ৫০ পেরোনো জুটিতে আফগানিস্তানকে বিশ্বকাপে তৃতীয় জয় এল আফগানিস্তানের। ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের পর আফগানদের শিকার ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা। বোর্ডে লেখা সমীকরণ মেনে ৪৮ ওভারের আগেই জিতেছে দলটা। ২৮ বল হাতে রেখেই পুনেতে লঙ্কানদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বিশ্বকাপে একের পর এক চমক উপহার দেওয়া দলটা।
চমক শুধু জয়ে নয়, আফগানিস্তান চমকে দেখিয়েছে পয়েন্ট টেবিলেও। ছয় ম্যাচে ৬ পয়েন্টে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে টপকে পাঁচে উঠে এসেছে হাশমতউল্লাহ শহিদির দল। আফগানরা পরের ম্যাচ খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। শেষ দুই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে জিতলে সেমিফাইনালেও খেলতে পারে আগের বিশ্বকাপে মাত্র একটিতে জয় পাওয়া আফগানিস্তান।
২৪২ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বোল্ড করেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। আফগান ব্যাটাররা উল্টো চ্যালেঞ্জে ফেলে দিলেন লঙ্কান বোলারদের। রহমানউল্লাহ ছাড়া সবাই রান পেলেন। রান তোলায় তাড়াহুড়ো করেননি আবার কাঁধে চেপেও বসতে দেননি রানের চাপ।
দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেকে শ্রীলঙ্কার চাপ ঢিলে করে দিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। ৭৩ রানের এই জুটি ভাঙেন সেই মাদুশাঙ্কা। ৩৯ রানে ফিরলেন ইব্রাহিম জাদরান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাশমতউল্লাহ ৫৮ রান তোলেন রহমত শাহ। কাসুন রাজিথার বলে ফেরার আগে করে গেছেন ৭৪ বলে ৬২। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন হাশমতউল্লাহ।
তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ। ৭৪ বলে খেলেছেন অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস। তবে বড় চমক দেখিয়েছেন আজমতউল্লাহ। এই বিশ্বকাপেই লোয়ার অর্ডার থেকে পাঁচে উঠে আসা ব্যাটার ৬৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন আজমতউল্লাহ। ৩ ছক্কার সঙ্গে ৬ চারের মার তাঁর ব্যাটে।
প্রথমে বোলিং করা আফগানিস্তানকে জয়ের পথটা সহজ করে দিয়েছেন ম্যাচসেরা ফজলহক ফারুকি। আগের ম্যাচে একাদশের বাইরে ছিলেন এই পেসার। একাদশে জায়গা পেয়েই শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিলেন আফগান পেসার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৩৪ রানে নিলেন ৪ উইকেট। আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চনমনে শ্রীলঙ্কা অলআউট হলো ২৪১ রানে। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ৪৬, কুশল মেন্ডিসের ৩৯ ও সাদিরা সামারাবিক্রমার ৩৬ রানের পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি লঙ্কান অন্য ব্যাটাররা।
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
৭ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
৭ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
৮ ঘণ্টা আগে