ক্রীড়া ডেস্ক
সেঞ্চুরির পর শূন্যে উড়ে উদ্যাপন, মুষ্টিবদ্ধ হাত ছোড়া—অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে এখানে কার কথা বলা হচ্ছে। তিনি হচ্ছেন ডেভিড অ্যান্ড্রু ওয়ার্নার। টেস্টে আর দেখা যাবে না ওয়ার্নারের সেই চিরচেনা উদ্যাপন। হবে কী করে? ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে তিনি যে তাঁর শেষ ইনিংস খেলে ফেলেছেন।
২০০৯-এর ১১ জানুয়ারি মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ার্নারের পথচলা শুরু। ওয়ানডেতেও অভিষেক হয়েছে ২০০৯ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্টে ওয়ার্নারের অভিষেক হয়েছে একটু দেরিতেই। ২০১১-এর ডিসেম্বরে ব্রিসবেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় ওয়ার্নারের। অভিষেক টেস্টে করেন ১৫ রান, যার মধ্যে প্রথম ইনিংসে করেন ৩ রান। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে অভিষেক রাঙাতে না পারলেও নিজের ক্যারিশমা দেখিয়েছেন দ্রুতই। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচেই। হোবার্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ১২৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
দেখতে দেখতে টেস্টে ১৩ বছর পার করে ফেলেন ওয়ার্নার। মাঝের সময়টাতে পাড়ি দিয়েছেন অনেক চড়াই-উতরাই। ২০১৪ সালে হারিয়েছেন প্রিয় সতীর্থ ফিল হিউজকে। এরপর ২০১৮-এর কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে স্যান্ডপেপার গেট কেলেঙ্কারিতে ওয়ার্নার জড়িয়ে পড়েন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে চলে যায় এক বছরের মতো সময়। অ্যাশেজেও তেমন জ্বলে উঠতে পারছিলেন না। স্টুয়ার্ট ব্রড তাঁকে (ওয়ার্নার) আউট করতেন বলেকয়ে। তবু ওয়ার্নার দমে যাননি। ১১২ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৪৪.৫৯ গড়ে তিনি করেন ৮৭৮৬ রান। করেছেন ২৬ সেঞ্চুরি। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ওয়ার্নার। রানের সংখ্যায় ক্রিকেটের রাজকীয় পেছনে ফেলেন ম্যাথু হেইডেন, মার্ক ওয়াহ, মাইকেল ক্লার্কের মতো কিংবদন্তিদের।
টেস্টে ওয়ার্নারের শেষের শুরু হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থে এবার সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে। শেষটা করেছেন সিডনিতে তাঁর অন্যতম প্রিয় প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৭৩.৯০ গড়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে খেলেছেন, যা তাঁর কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বোচ্চ গড়। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে তাঁর সর্বোচ্চ ৩৩৫ রানের ইনিংসটাও এসেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এশিয়ার দলটির বিপক্ষে তিনি টেস্টে ৬টি সেঞ্চুরি করেন। শেষটাও আজ করেছেন ফিফটি দিয়ে। গত বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, অ্যাশেজ ড্র, পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই—ওয়ার্নারের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ কয়েক মাসের সারমর্ম যে এটাই। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট শেষে ওয়ার্নার বলেন, ‘এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার চেয়েও বিশেষ কিছু। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, অ্যাশেজ ড্র, এরপর বিশ্বকাপ। এখানে এসে ৩-০ ব্যবধানে জয় অসাধারণ অর্জন। দুর্দান্ত অনেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকাটা গর্বের মনে করি। নেটে ও জিমে তারা অনেক পরিশ্রম করে। ফিজিও, স্টাফরাও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে। তারা অসাধারণ। তাদের আর কখনো নেটে মোকাবিলা করা হবে না।’
সিডনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ‘গার্ড অব অনার’ পেয়েছেন ওয়ার্নার। ৫৭ রান করা অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন সাজিদ খান। উইকেট নেওয়ার পর সাজিদ তাঁকে (ওয়ার্নার) স্যালুট দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি) যেন হয়ে পড়ে ‘ওয়ার্নারময়’। সতীর্থ, ভক্ত-সমর্থক, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। মনে হচ্ছিল যেন কেউই বিদায় দিতে চাইছেন না ওয়ার্নারকে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার বলেন, ‘আমাদের জগতৎটা বিনোদনের। এখানে থাকতে পেরে বেশ খুশি। দেখাতে চেয়েছি আমি কী করতে পারি। টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু করি। এখানে এসে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। শট খেলে রান করার চেষ্টা করি, যাতে করে দলের জয়ে অবদান রাখা যায়। এটাই আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
সেঞ্চুরির পর শূন্যে উড়ে উদ্যাপন, মুষ্টিবদ্ধ হাত ছোড়া—অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে এখানে কার কথা বলা হচ্ছে। তিনি হচ্ছেন ডেভিড অ্যান্ড্রু ওয়ার্নার। টেস্টে আর দেখা যাবে না ওয়ার্নারের সেই চিরচেনা উদ্যাপন। হবে কী করে? ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে তিনি যে তাঁর শেষ ইনিংস খেলে ফেলেছেন।
২০০৯-এর ১১ জানুয়ারি মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ার্নারের পথচলা শুরু। ওয়ানডেতেও অভিষেক হয়েছে ২০০৯ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্টে ওয়ার্নারের অভিষেক হয়েছে একটু দেরিতেই। ২০১১-এর ডিসেম্বরে ব্রিসবেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় ওয়ার্নারের। অভিষেক টেস্টে করেন ১৫ রান, যার মধ্যে প্রথম ইনিংসে করেন ৩ রান। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে অভিষেক রাঙাতে না পারলেও নিজের ক্যারিশমা দেখিয়েছেন দ্রুতই। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচেই। হোবার্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ১২৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
দেখতে দেখতে টেস্টে ১৩ বছর পার করে ফেলেন ওয়ার্নার। মাঝের সময়টাতে পাড়ি দিয়েছেন অনেক চড়াই-উতরাই। ২০১৪ সালে হারিয়েছেন প্রিয় সতীর্থ ফিল হিউজকে। এরপর ২০১৮-এর কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে স্যান্ডপেপার গেট কেলেঙ্কারিতে ওয়ার্নার জড়িয়ে পড়েন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে চলে যায় এক বছরের মতো সময়। অ্যাশেজেও তেমন জ্বলে উঠতে পারছিলেন না। স্টুয়ার্ট ব্রড তাঁকে (ওয়ার্নার) আউট করতেন বলেকয়ে। তবু ওয়ার্নার দমে যাননি। ১১২ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৪৪.৫৯ গড়ে তিনি করেন ৮৭৮৬ রান। করেছেন ২৬ সেঞ্চুরি। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ওয়ার্নার। রানের সংখ্যায় ক্রিকেটের রাজকীয় পেছনে ফেলেন ম্যাথু হেইডেন, মার্ক ওয়াহ, মাইকেল ক্লার্কের মতো কিংবদন্তিদের।
টেস্টে ওয়ার্নারের শেষের শুরু হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থে এবার সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে। শেষটা করেছেন সিডনিতে তাঁর অন্যতম প্রিয় প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৭৩.৯০ গড়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে খেলেছেন, যা তাঁর কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বোচ্চ গড়। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে তাঁর সর্বোচ্চ ৩৩৫ রানের ইনিংসটাও এসেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এশিয়ার দলটির বিপক্ষে তিনি টেস্টে ৬টি সেঞ্চুরি করেন। শেষটাও আজ করেছেন ফিফটি দিয়ে। গত বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, অ্যাশেজ ড্র, পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই—ওয়ার্নারের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ কয়েক মাসের সারমর্ম যে এটাই। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট শেষে ওয়ার্নার বলেন, ‘এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার চেয়েও বিশেষ কিছু। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, অ্যাশেজ ড্র, এরপর বিশ্বকাপ। এখানে এসে ৩-০ ব্যবধানে জয় অসাধারণ অর্জন। দুর্দান্ত অনেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকাটা গর্বের মনে করি। নেটে ও জিমে তারা অনেক পরিশ্রম করে। ফিজিও, স্টাফরাও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে। তারা অসাধারণ। তাদের আর কখনো নেটে মোকাবিলা করা হবে না।’
সিডনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ‘গার্ড অব অনার’ পেয়েছেন ওয়ার্নার। ৫৭ রান করা অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন সাজিদ খান। উইকেট নেওয়ার পর সাজিদ তাঁকে (ওয়ার্নার) স্যালুট দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি) যেন হয়ে পড়ে ‘ওয়ার্নারময়’। সতীর্থ, ভক্ত-সমর্থক, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। মনে হচ্ছিল যেন কেউই বিদায় দিতে চাইছেন না ওয়ার্নারকে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার বলেন, ‘আমাদের জগতৎটা বিনোদনের। এখানে থাকতে পেরে বেশ খুশি। দেখাতে চেয়েছি আমি কী করতে পারি। টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু করি। এখানে এসে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। শট খেলে রান করার চেষ্টা করি, যাতে করে দলের জয়ে অবদান রাখা যায়। এটাই আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
অর্থের ঝনঝনানি, জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন—কী থাকে না আইপিএলে! ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটার। তবে রিশাদ হোসেন আইপিএল নিয়ে বেশি একটা ভাবছেন না।
২ মিনিট আগেফ্রান্স ও ইতালি—দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। সে হিসেবে উয়েফা নেশনস লিগে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াইটা নিছক নিয়মরক্ষার। কিন্তু ফরাসি ডিফেন্ডার লুকাস দিনিয়ে মনে করেন না সেটি। তাঁর কাছে এটি ফ্রান্সের প্রতিশোধের ম্যাচ।
১ ঘণ্টা আগেঝামেলা যেন পিছুই ছাড়ছে না আর্জেন্টিনার। মাঠের পারফরম্যান্সে সাম্প্রতিক অবস্থা তো ভালো নয়ই। এমনকি ফুটবলারদের চোটও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে আলবিসেলেস্তেদের।। জরুরি পরিস্থিতিতে দলে নেওয়া হয়েছে দিয়েগো সিমিওনের ছেলে গিলিয়ানো সিমিওনেকে।
১ ঘণ্টা আগেনিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ২০১২ সালে। দীর্ঘ ১ যুগের ডেডলক ভাঙার কাছাকাছি এখন শ্রীলঙ্কা। পাল্লেকেলেতে আজ বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় শুরু হবে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে। আজ জিতলেই লঙ্কানরা এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। রাতে ফুটবলে উয়েফা নে
২ ঘণ্টা আগে