নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের সভা নিয়ে সব সময় বিশেষ আগ্রহ থাকে সংবাদমাধ্যমের। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া সংস্থার নীতিনির্ধারকদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সভা নিয়ে আগ্রহ-কৌতূহল থাকাটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু আজকের সভাটি বোধ হয় গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কৌতূহলজাগানিয়া, একই সঙ্গে যথেষ্ট স্পর্শকাতরও। এই সভা দিয়ে একটি যুগের পালাবদল ঘটে যেতে পারে। আলোচিত, আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা সভাটাই কিনা হতে যাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডের বাইরে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে।
বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ১১টায় সচিবালয়ে হবে বিসিবির জরুরি বোর্ড সভা। সচিবালয়ে বোর্ড সভা আয়োজন করতে বিসিবি অনুরোধ করেছে বলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই মূলত বিসিবি কার্যালয়ের পরিবর্তে সচিবালয়ে এই বোর্ড সভা ডাকা হয়েছে। কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ সভা চলার সময় কেউ নিতে পারবেন না। বিসিবি ছবি এবং অডিও ক্লিপ রেকর্ড করে সেটা প্রকাশ করবে। এমনকি সভার পর কোনো সংবাদ সম্মেলনও হবে না। সভায় কী কী ঘটেছে, তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
বোর্ড সভা বেশির ভাগ সময়ে বিসিবি কার্যালয়ে হলেও বিশেষ কারণে রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে কখনো কখনো হয়েছে। একবার সিলেটেও হয়েছিল। তবে এবারের বিসিবির বোর্ড সভা মন্ত্রণালয়ে হওয়ায় জল্পনা-কল্পনা আরও বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বস্তিতে নেই সভায় যোগ দিতে যাওয়া পরিচালকেরা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিসিবির সভাপতিসহ প্রভাবশালী পরিচালকদের বেশির ভাগই বিসিবিতে আসছেন না। আওয়ামী ঘরানার রাজনৈতিক পরিচয়ধারী পরিচালকেরা রয়েছেন আত্মগোপনে। বিসিবির গঠনতন্ত্রে পরিষ্কার উল্লেখ আছে প্রতি দুই মাস বা ৬০ দিনে পরিচালনা পরিষদের সভা আহ্বানের। গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা বলেই শুধু নয়, বর্তমান পরিচালনা পরিষদ পুনর্গঠনের লক্ষ্যেই মূলত আজ এ সভার আয়োজন। জোর গুঞ্জন, এই সভায় নাজমুল হাসান পাপন ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন। তা-ই নয়, আজ নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তও তিনি জানিয়ে দিতে পারেন।
বোর্ড সভার আলোচনা বা সিদ্ধান্ত পরিধি সম্পর্কে বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটি কাজ করলেও এবার সেই কমিটি হয়নি। বোর্ড সভার আলোচ্য বিষয় বা অ্যাজেন্ডাও তাই পরিষ্কার নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই বোর্ড সভায় বর্তমান বোর্ড সভাপতি তাঁর পরিচালনা পরিষদের পদত্যাগের আহ্বান জানাবেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছেন, বিসিবিতে আইসিসির নির্দেশনা মেনে সিস্টেমের সংস্কার করতে চান তাঁরা। সেটির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুসকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তিনি তা করেছেনও।
এনএসসি মনোনীত আরেক পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকে পদত্যাগ করতে বলা হলেও তিনি এখন পর্যন্ত করেননি। তাঁকে আজকের সভায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। এমনকি তাঁকে পরিচালকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ গ্রুপেই বোর্ড সভায় অংশ নিতে পরিচালকদের খুদে বার্তায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। সপ্তাহখানেক আগে ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার বার্তাও তিনি এই গ্রুপে জানিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে, কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান নির্বাহী। বোর্ড সভা শেষে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যেসব পরিচালক আজকের সভায় যোগ দিচ্ছেন, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, খুব একটা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে তাঁরা নেই। এমনকি পদত্যাগের মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছেন কেউ কেউ। কাল এক পরিচালক ফোনে যেমন বললেন, ‘যদি সরকার চায় পদত্যাগ করতে, করব। আর থাকতে বললে থাকব। আর এই সভায় না গেলেও তো সমস্যা।’ আরেক পরিচালক অবশ্য এভাবে মন্ত্রণালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভা আয়োজনকে ‘অস্বাভাবিক ও অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেছেন।
জালাল-ববি এনএসসি মনোনীত বলে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা যতটা সহজ, বাকি পরিচালকদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সহজ নয়। কারণ, তিন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়ে আসা বাকি ২৩ পরিচালকের কারও শূন্য স্থানে নতুন কাউকে স্থলাভিষিক্ত করতে হলে নতুন কাউন্সিলর করতে হবে। নির্বাচনের আয়োজন করে পছন্দের কাউন্সিলরকে জিতিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছোট ছোট বিভাগের পরিচালককে পরিবর্তন করতে পারে সরকার। আপাতত জালালের জায়গায় সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার চিন্তায় এগোনো হচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের সভা নিয়ে সব সময় বিশেষ আগ্রহ থাকে সংবাদমাধ্যমের। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া সংস্থার নীতিনির্ধারকদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সভা নিয়ে আগ্রহ-কৌতূহল থাকাটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু আজকের সভাটি বোধ হয় গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কৌতূহলজাগানিয়া, একই সঙ্গে যথেষ্ট স্পর্শকাতরও। এই সভা দিয়ে একটি যুগের পালাবদল ঘটে যেতে পারে। আলোচিত, আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা সভাটাই কিনা হতে যাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডের বাইরে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে।
বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ১১টায় সচিবালয়ে হবে বিসিবির জরুরি বোর্ড সভা। সচিবালয়ে বোর্ড সভা আয়োজন করতে বিসিবি অনুরোধ করেছে বলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই মূলত বিসিবি কার্যালয়ের পরিবর্তে সচিবালয়ে এই বোর্ড সভা ডাকা হয়েছে। কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ সভা চলার সময় কেউ নিতে পারবেন না। বিসিবি ছবি এবং অডিও ক্লিপ রেকর্ড করে সেটা প্রকাশ করবে। এমনকি সভার পর কোনো সংবাদ সম্মেলনও হবে না। সভায় কী কী ঘটেছে, তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
বোর্ড সভা বেশির ভাগ সময়ে বিসিবি কার্যালয়ে হলেও বিশেষ কারণে রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে কখনো কখনো হয়েছে। একবার সিলেটেও হয়েছিল। তবে এবারের বিসিবির বোর্ড সভা মন্ত্রণালয়ে হওয়ায় জল্পনা-কল্পনা আরও বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বস্তিতে নেই সভায় যোগ দিতে যাওয়া পরিচালকেরা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিসিবির সভাপতিসহ প্রভাবশালী পরিচালকদের বেশির ভাগই বিসিবিতে আসছেন না। আওয়ামী ঘরানার রাজনৈতিক পরিচয়ধারী পরিচালকেরা রয়েছেন আত্মগোপনে। বিসিবির গঠনতন্ত্রে পরিষ্কার উল্লেখ আছে প্রতি দুই মাস বা ৬০ দিনে পরিচালনা পরিষদের সভা আহ্বানের। গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা বলেই শুধু নয়, বর্তমান পরিচালনা পরিষদ পুনর্গঠনের লক্ষ্যেই মূলত আজ এ সভার আয়োজন। জোর গুঞ্জন, এই সভায় নাজমুল হাসান পাপন ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন। তা-ই নয়, আজ নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তও তিনি জানিয়ে দিতে পারেন।
বোর্ড সভার আলোচনা বা সিদ্ধান্ত পরিধি সম্পর্কে বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটি কাজ করলেও এবার সেই কমিটি হয়নি। বোর্ড সভার আলোচ্য বিষয় বা অ্যাজেন্ডাও তাই পরিষ্কার নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই বোর্ড সভায় বর্তমান বোর্ড সভাপতি তাঁর পরিচালনা পরিষদের পদত্যাগের আহ্বান জানাবেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছেন, বিসিবিতে আইসিসির নির্দেশনা মেনে সিস্টেমের সংস্কার করতে চান তাঁরা। সেটির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুসকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তিনি তা করেছেনও।
এনএসসি মনোনীত আরেক পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকে পদত্যাগ করতে বলা হলেও তিনি এখন পর্যন্ত করেননি। তাঁকে আজকের সভায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। এমনকি তাঁকে পরিচালকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ গ্রুপেই বোর্ড সভায় অংশ নিতে পরিচালকদের খুদে বার্তায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। সপ্তাহখানেক আগে ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার বার্তাও তিনি এই গ্রুপে জানিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে, কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান নির্বাহী। বোর্ড সভা শেষে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যেসব পরিচালক আজকের সভায় যোগ দিচ্ছেন, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, খুব একটা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে তাঁরা নেই। এমনকি পদত্যাগের মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছেন কেউ কেউ। কাল এক পরিচালক ফোনে যেমন বললেন, ‘যদি সরকার চায় পদত্যাগ করতে, করব। আর থাকতে বললে থাকব। আর এই সভায় না গেলেও তো সমস্যা।’ আরেক পরিচালক অবশ্য এভাবে মন্ত্রণালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভা আয়োজনকে ‘অস্বাভাবিক ও অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেছেন।
জালাল-ববি এনএসসি মনোনীত বলে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা যতটা সহজ, বাকি পরিচালকদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সহজ নয়। কারণ, তিন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়ে আসা বাকি ২৩ পরিচালকের কারও শূন্য স্থানে নতুন কাউকে স্থলাভিষিক্ত করতে হলে নতুন কাউন্সিলর করতে হবে। নির্বাচনের আয়োজন করে পছন্দের কাউন্সিলরকে জিতিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছোট ছোট বিভাগের পরিচালককে পরিবর্তন করতে পারে সরকার। আপাতত জালালের জায়গায় সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার চিন্তায় এগোনো হচ্ছে।
সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে অ্যান্টিগায় প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ দল। সফরকারী বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার যেন এখনো ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। ফুটবল দলের সদস্যসহ কোচিং স্টাফ-সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে ৩২ জনকে ফ্রিজ উপহার দিয়েছে তারা। আজ বিকেলে মতিঝিলের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগেসরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকদের বেশির ভাগই আড়ালে চলে যান। সভাপতির পদ ছাড়েন নাজমুল হাসান পাপন। পদ হারান আরও ১০ পরিচালক। কয়েকজন করেছেন পদত্যাগ।
৮ ঘণ্টা আগে