বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের ‘ঘূর্ণিযুদ্ধে’ আজ কে জিতবে

রানা আব্বাস, চেন্নাই থেকে 
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯: ২০

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচের আগের দিন চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুপস্থিত বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ‘ঐচ্ছিক অনুশীলন’ বলে ছিলেন না মোস্তাফিজুর রহমান আর লিটন দাসও। তিন ক্রিকেটারের মতো স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথও কি বিশ্রামে?

পরে দলীয় সূত্রে জানা গেল, চেন্নাইয়ে হেরাথ চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন চেকআপ করাতে। চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিরে তিনি আর মাঠে আসেননি, হোটেলে বিশ্রামে ছিলেন। বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার জানালেন, গুরুতর কিছু নয়, এটা তাঁর নিয়মিত চেকআপ। আজ তাঁর মাঠেই থাকার কথা। চেন্নাইয়ের উইকেট প্রথাগতভাবে স্পিনারদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় বলেই দলের স্পিন পরামর্শকের উইকেট দেখাটা কাল খুব জরুরি ছিল। হেরাথের দুর্ভাগ্য, তাঁর আর মাঠে আসা হয়নি। 

তবে কাল সবচেয়ে বেশি তৎপর দেখা গেল শ্রীধরন শ্রীরামের। চেন্নাই তাঁর শহর। এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা বলেই শ্রীরামকে নিয়ে উইকেট দেখলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দলের প্রতিনিধি হয়ে

সংবাদ সম্মেলনে আসা নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন দলের কনসালট্যান্ট শ্রীরাম কীভাবে তাঁদের সহায়তা করছেন, ‘হ্যাঁ, তিনি অনেক সহায়তা করছেন। ধর্মশালায় আমরা যে দুটো ম্যাচ খেললাম, ম্যাচের আগে উইকেট সম্পর্কে তিনি ধারণা দিয়েছেন প্রতিটি ব্যাটার-বোলারকে। এখানে (চেন্নাইয়ে) আসার আগে এখানকার উইকেট কেমন হবে সে সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছেন। অনেক সহায়তা পাচ্ছি তাঁর কাছ থেকে। আশা করব, সামনের যে ম্যাচগুলো আছে, সেখানেও এভাবে তিনি সহায়তা করবেন।’ 

পরিসংখ্যান-রেকর্ড যতই বলুক, বিশ্বকাপের ম্যাচে চেন্নাইয়ের উইকেট কতটা ঘূর্ণিসহায়ক থাকে, সেটিই দেখার। তবে এ মাঠেই হওয়া সবশেষ ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে স্পিনারদের দাপট দেখা গেছে। সে হিসেবে আজকের লড়াইটা ‘স্পিনারদের যুদ্ধ’ ধরা হচ্ছে। বাংলাদেশ দলে সাকিব-মিরাজের মতো স্পিনাররা আছেন, কিউই দলে আছেন মিচেল স্যান্টনারের মতো বাঁহাতি স্পিনার। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা স্যান্টনারের খুব ভালো করে চেনা এই উইকেট। ২ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে গতকালও যিনি শীর্ষ উইকেটশিকারি ছিলেন। একাদশে স্পিন আক্রমণ অপরিবর্তিত রেখেই মাঠে নামার সম্ভাবনা বাংলাদেশের। 

বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপে ফিরছেন কেন উইলিয়ামসন। চোট কাটিয়ে ফেরা নিউজিল্যান্ডের নিয়মিত অধিনায়ক গতকাল সম্ভাব্য ঘূর্ণিযুদ্ধ নিয়ে বললেন, ‘হ্যাঁ, কাল (আজ) বড় চ্যালেঞ্জ, প্রতিটি ম্যাচে যা থাকে। যেকোনো দল যেকোনো দলকে হারাতে পারে—এটা জেনেই আমরা টুর্নামেন্টে এসেছে। কন্ডিশন সব সময়ই বদলাচ্ছে। আপনাকে এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যু যেতে হচ্ছে। জানি এখানে স্পিন ধরে। দুই দলেই ভালো মানের স্পিনার আছে। কোনো সন্দেহ নেই তারা কাল (আজ) বড় ভূমিকা রাখবে।’ 

দুই দল যখন নিজেদের মাঠে খেলে, তখন পরিসংখ্যান তাদের পক্ষেই কথা বলে। বাংলাদেশ যেমন গত ১০ বছরে নিজেদের মাঠে ওয়ানডেতে ধারাবাহিক হারিয়েছে কিউইদের। যদিও বিশ্বকাপের আগে সবশেষ সিরিজটা হেরেছে কিউইদের কাছে। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে অবশ্য এই সিরিজের খুব একটা তাৎপর্য কিংবা খুব বেশি গুরুত্ব ছিল না বাংলাদেশের কাছে। তবে বিশ্বকাপে কখনো নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এই অচলায়তন ভাঙতে আর বিশ্বকাপ অভিযান মসৃণ রাখতে চেন্নাইয়ে কিউইদের বিপক্ষে সাকিবদের আজ নতুন গল্প লিখতেই হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত