সাকিব-মিরাজদের ঘূর্ণিজাদুকে ‘ভয়’ পাচ্ছেন উইলিয়ামসন 

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ২২: ৪৭

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ২০২৩ বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় ব্ল্যাকক্যাপসরা এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অন্যদিকে আফগানিস্তানতে উড়িয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ শুরু করেছে ঠিকই। কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে নেট রানরেট মাইনাসে চলে গেছে সাকিব আল হাসানের দলের। দুই রকম অবস্থায় রেখে আগামীকাল চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে সমীহ করছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

ধর্মশালায় বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তান অলআউট হয়ে যায় ১৫৬ রানে। একই মাঠে গত পরশু ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শুরুতে বাংলাদেশ ভড়কে গেলেও পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৩৬৪ রানের পাহাড় গড়া ইংল্যান্ডের ৯ উইকেট তুলতে পেরেছেন সাকিবরা। প্রতিপক্ষের ১৯ উইকেটের ১১টাই তুলেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। সাকিব, শেখ মেহেদি হাসান নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট আর ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের উইকেট অনেকটা স্পিন বান্ধব। এখন পর্যন্ত চেন্নাইয়ে বিশ্বকাপের ম্যাচ হয়েছে সাতটি। ৭ ম্যাচে স্পিনাররা নিয়েছেন ৩৫ উইকেট, ইকোনমি ৪.৫২ ও বোলিং গড় ২১.৫৪। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্পিনারদের দারুণ বোলিং তো রয়েছেই। আর স্পিন বান্ধব উইকেট পেলে কতটা ভয়ঙ্কর যে সাকিব-মিরাজরা হয়ে উঠতে পারেন তা তো সবারই জানা। উইলিয়ামসনও যেন তা-ই বোঝাতে চেয়েছেন। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক আজ বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা জানি যে আগামীকাল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এই টুর্নামেন্ট যেকোনো দল যে কাউকেই হারিয়ে দিতে পারে, সেটা জেনেই আমরা এখানে খেলতে এসেছি। এটাই কোনো একটা টুর্নামেন্টকে রোমাঞ্চকর করে তোলে। কন্ডিশন বদলাতে থাকে প্রতি মুহূর্তে। ভেন্যু থেকে ভেন্যুতে গেলে কন্ডিশন অনেক বদলায়। আর অবশ্যই মনে করি যে দুই দলেরই ভালো স্পিনার আছে। নিঃসন্দেহে তারাই ম্যাচে অনেক বেশি অবদান রাখবেন।’ 

ওয়ানডেতে ভারতের মাঠে এখন পর্যন্ত উইলিয়ামসন খেলেছেন ১১ ওয়ানডে। ১১ ম্যাচে ৩৩.১৬ গড় ও ৭২.২৩ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৩৯৮ রান। একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ১১৮ রানের ইনিংসটি ২০১৬ সালে খেলেছেন ভারতের বিপক্ষে। তাছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। সে হিসেবে ভারত তো তাঁর ‘দ্বিতীয় বাড়ি’। উইলিয়াম অবশ্য তা মনে করছেন না, ‘আমার মতে, শুধু ভারতই নয়্। যেকোনো দেশে, বিশেষ করে বৈশ্বিক ইভেন্টে আপনি যখন খেলবেন, সেখানে একই ভেন্যুতে অনেক ম্যাচ থাকে। খুব দ্রুতই পিচের পরিবর্তন হবে। তাই টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই আলাদা মনে হবে। আপনাকে খুব দ্রুতই মানিয়ে নিতে হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত