ওমর ফারুক, সিলেট থেকে
আচ্ছা, সিলেটে ইংলিশ আলীর শ্বশুর বাড়ি কোথায়? যাঁরা চিনে থাকবেন, এমন প্রশ্নে তাঁরা হয়তো বলবেন সিলেটের পীর মহল্লায়। কিন্তু উত্তর ও পশ্চিম দুই ভাগে বিভক্ত পীর মহল্লার ঠিক কোথায় ছিলেন মঈন আলীর শ্বশুর এম হোসেন, সেটা অনেকেই জানেন না। স্বাধীনতার পর এম হোসেন ও তাঁর পরিবার ইংল্যান্ডে চলে যাওয়ায় নির্দিষ্ট করে কেউই ওই বাড়ির কথা মনে রাখার প্রয়োজন বোধ করেনি। তবে বিপিএল খেলতে মঈনের সিলেট ফেরার পর আবারও সবার মাঝে সেই প্রশ্নটা উঁকি দিয়েছে, তাঁর শ্বশুর বাড়ি অর্থাৎ এম হোসেনের বাড়িটা কোথায়?
এম হোসেন মারা গেছেন অনেক দিন হলো। তাঁর পরিবার এখন ইংল্যান্ডে থাকে। মঈন সিলেট এসে এখানকার ভাষা শেখা কিংবা ঘুরে দেখতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকদের কাছে। সেটা স্বাভাবিকও। জীবনে প্রথমবার যে সিলেট এসেছেন তিনি। মঈনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফিরোজা হোসেন ও দুই সন্তানও এসেছে, তবে করোনা সতর্কতায় বাবা এম হোসেনের সেই বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে না ফিরোজার।
মঈন আলীর জন্ম পাকিস্তানে হলেও ইংলিশ অলরাউন্ডারের সবকিছুই এখন ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা মঈন বিয়ে করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মেয়ে ফিরোজা হোসেনকে। তাঁদের এক যুগের এই সংসারে আবু বক্কর নামে এক পুত্র ও হাদিয়া নামে এক কন্যা সন্তান আছে।
তা মঈনের সিলেটে শ্বশুর বাড়িটা কোথায়? সেখানে এখন কে বা কারা থাকেন? এমন কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গতকাল সোমবার ঢুঁ মারা পীর মহল্লার দিকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছেই পীর মহল্লা। এই এলাকার ঠিক কোথায় মঈন আলীর শ্বশুরের বাড়িটা, সেটা চট করে চিহ্নিত করা কঠিন। স্থানীয়রাও মঈন আলীর শ্বশুর বাড়ির ঠিকানা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। বেশির ভাগের কাছেই মঈন আলী নামটা খুব একটা পরিচিত নয়৷ তাঁরা সিলেটের দুজন ক্রিকেটারের বাড়ির ঠিকানা জানেন, একজন বর্তমানে বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, আরেকজন সাবেক অধিনায়ক রাজীন সালেহ।
পীর মহল্লার বিভিন্ন গলি ধরে প্রায় ৩০ মিনিট খোঁজার পর একজন বাড়িটা খুঁজে বের করতে একটা সূত্র দিলেন ৷জানালেন, ওই বাড়িতে একজন লোকই থাকেন, যাঁর নাম গুলজার হোসেন। গুলজার মঈন আলীর স্ত্রীর বড় ভাই বলে জানেন তিনি।
অবশেষে পীর মহল্লার পশ্চিম বাজার এলাকার ৪০ নম্বর বাড়িটির খোঁজ মিলল, যেখানে এক সময় থাকতেন এম হোসেন। দোতলা এই বাড়িতে এখন শুধু গুলজারই থাকেন। একাই এ বাড়িতে দীর্ঘদিন আছেন। বেশ প্রচারবিমুখ একজন মানুষ গুলজার হোসেন। সাংবাদিক পরিচয় শুনে কিছুতেই কথা বলতে আগ্রহী নন তিনি। গল্পটা শুনতে অনেক আগ্রহ নিয়ে এসেছি বলার পর একটু যেন মুখের তালাটা খুললেন৷ জানালেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকে তাঁর বাবা ইংল্যান্ডে থাকতেন। একটা সময় মা ও ভাই-বোন সবাই সেখানে পাড়ি জমান। তিনি নিজেও গিয়েছিলেন৷ পরে আবার দেশে ফিরে এসেছেন।
বোনের সঙ্গে মঈনের বিয়ে নিয়ে গুলজার জানান, ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে খেলার সময় মঈন আলী ও তাঁর পরিবারের একটা সম্পর্ক হয়। পরে তাঁর বোনের সঙ্গে মঈনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে-পরে তাঁরা কখনো অবশ্য সিলেটের এই বাড়িতে আসেননি। গুলজার হোসেন যখনই ইংল্যান্ডে যান, তখনই মঈনের সঙ্গে তাঁর দেখা-সাক্ষাৎ হয়৷
দীর্ঘদিন পর বোন বাংলাদেশে এসেছেন। তবে করোনা সতর্কতায় দেখা করতে না পারার আফসোস ফুটে উঠেছে গুলজারের কণ্ঠে৷মঈন বাংলাদেশে আসার পরই তাঁর বোনও আসেন। বিপিএল দলের সঙ্গে হোটেলে আছেন। সময়-সুযোগের অভাবে দেখা হবে কিনা, সেটি বলা সম্ভব হচ্ছে না গুলজারের।
মঈন আলী সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আচ্ছা, সিলেটে ইংলিশ আলীর শ্বশুর বাড়ি কোথায়? যাঁরা চিনে থাকবেন, এমন প্রশ্নে তাঁরা হয়তো বলবেন সিলেটের পীর মহল্লায়। কিন্তু উত্তর ও পশ্চিম দুই ভাগে বিভক্ত পীর মহল্লার ঠিক কোথায় ছিলেন মঈন আলীর শ্বশুর এম হোসেন, সেটা অনেকেই জানেন না। স্বাধীনতার পর এম হোসেন ও তাঁর পরিবার ইংল্যান্ডে চলে যাওয়ায় নির্দিষ্ট করে কেউই ওই বাড়ির কথা মনে রাখার প্রয়োজন বোধ করেনি। তবে বিপিএল খেলতে মঈনের সিলেট ফেরার পর আবারও সবার মাঝে সেই প্রশ্নটা উঁকি দিয়েছে, তাঁর শ্বশুর বাড়ি অর্থাৎ এম হোসেনের বাড়িটা কোথায়?
এম হোসেন মারা গেছেন অনেক দিন হলো। তাঁর পরিবার এখন ইংল্যান্ডে থাকে। মঈন সিলেট এসে এখানকার ভাষা শেখা কিংবা ঘুরে দেখতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকদের কাছে। সেটা স্বাভাবিকও। জীবনে প্রথমবার যে সিলেট এসেছেন তিনি। মঈনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফিরোজা হোসেন ও দুই সন্তানও এসেছে, তবে করোনা সতর্কতায় বাবা এম হোসেনের সেই বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে না ফিরোজার।
মঈন আলীর জন্ম পাকিস্তানে হলেও ইংলিশ অলরাউন্ডারের সবকিছুই এখন ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা মঈন বিয়ে করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মেয়ে ফিরোজা হোসেনকে। তাঁদের এক যুগের এই সংসারে আবু বক্কর নামে এক পুত্র ও হাদিয়া নামে এক কন্যা সন্তান আছে।
তা মঈনের সিলেটে শ্বশুর বাড়িটা কোথায়? সেখানে এখন কে বা কারা থাকেন? এমন কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গতকাল সোমবার ঢুঁ মারা পীর মহল্লার দিকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছেই পীর মহল্লা। এই এলাকার ঠিক কোথায় মঈন আলীর শ্বশুরের বাড়িটা, সেটা চট করে চিহ্নিত করা কঠিন। স্থানীয়রাও মঈন আলীর শ্বশুর বাড়ির ঠিকানা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। বেশির ভাগের কাছেই মঈন আলী নামটা খুব একটা পরিচিত নয়৷ তাঁরা সিলেটের দুজন ক্রিকেটারের বাড়ির ঠিকানা জানেন, একজন বর্তমানে বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, আরেকজন সাবেক অধিনায়ক রাজীন সালেহ।
পীর মহল্লার বিভিন্ন গলি ধরে প্রায় ৩০ মিনিট খোঁজার পর একজন বাড়িটা খুঁজে বের করতে একটা সূত্র দিলেন ৷জানালেন, ওই বাড়িতে একজন লোকই থাকেন, যাঁর নাম গুলজার হোসেন। গুলজার মঈন আলীর স্ত্রীর বড় ভাই বলে জানেন তিনি।
অবশেষে পীর মহল্লার পশ্চিম বাজার এলাকার ৪০ নম্বর বাড়িটির খোঁজ মিলল, যেখানে এক সময় থাকতেন এম হোসেন। দোতলা এই বাড়িতে এখন শুধু গুলজারই থাকেন। একাই এ বাড়িতে দীর্ঘদিন আছেন। বেশ প্রচারবিমুখ একজন মানুষ গুলজার হোসেন। সাংবাদিক পরিচয় শুনে কিছুতেই কথা বলতে আগ্রহী নন তিনি। গল্পটা শুনতে অনেক আগ্রহ নিয়ে এসেছি বলার পর একটু যেন মুখের তালাটা খুললেন৷ জানালেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকে তাঁর বাবা ইংল্যান্ডে থাকতেন। একটা সময় মা ও ভাই-বোন সবাই সেখানে পাড়ি জমান। তিনি নিজেও গিয়েছিলেন৷ পরে আবার দেশে ফিরে এসেছেন।
বোনের সঙ্গে মঈনের বিয়ে নিয়ে গুলজার জানান, ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে খেলার সময় মঈন আলী ও তাঁর পরিবারের একটা সম্পর্ক হয়। পরে তাঁর বোনের সঙ্গে মঈনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে-পরে তাঁরা কখনো অবশ্য সিলেটের এই বাড়িতে আসেননি। গুলজার হোসেন যখনই ইংল্যান্ডে যান, তখনই মঈনের সঙ্গে তাঁর দেখা-সাক্ষাৎ হয়৷
দীর্ঘদিন পর বোন বাংলাদেশে এসেছেন। তবে করোনা সতর্কতায় দেখা করতে না পারার আফসোস ফুটে উঠেছে গুলজারের কণ্ঠে৷মঈন বাংলাদেশে আসার পরই তাঁর বোনও আসেন। বিপিএল দলের সঙ্গে হোটেলে আছেন। সময়-সুযোগের অভাবে দেখা হবে কিনা, সেটি বলা সম্ভব হচ্ছে না গুলজারের।
মঈন আলী সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
৬ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
৬ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
৭ ঘণ্টা আগে