রানা আব্বাস, ঢাকা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা এই মুহূর্তে দুটি আয়োজন নিয়ে খুবই ব্যস্ত। ১ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। আর কাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতীক্ষিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। কোনো কোনো কাউন্সিলরের ভাষায় কাল ‘হাত তোলা বা হ্যাঁ বলার দিন!’ এই এজিএমে আমন্ত্রিত বিসিবির ১৬৬ কাউন্সিলর।
বদলে গেছে এজিএমের সংজ্ঞা!
বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১২.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রতি অর্থবছর সমাপ্তির অন্যূন ১২০ দিনের মধ্যে পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও নির্বাচিত স্থানে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হইবে।’
গঠনতন্ত্রের এই ধারাটা গত তিন বছরে তো বটেই, গত ১৪ বছরেও ঠিকঠাক মানা হয়নি। ২০০৬-০৭ থেকে শুরু করে ২০১৯-২০—এই ১৪ অর্থবছরে বিসিবির বার্ষিক সভাই হয়েছে মাত্র তিনবার। সর্বশেষ এজিএম হয়েছে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর। তার আগেরটি ২০১২ সালের ১ মার্চ। তার আগের এজিএম হয়েছে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর। গঠনতন্ত্র মেনে যে সভাটি হওয়ার কথা প্রতিবছর, সেটিই হচ্ছে ‘কালেভদ্রে’! এ নিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে অভিন্ন উত্তর মিলল, ‘এজিএম নিয়ে আগ্রহ নেই; এটা নিয়মিত হলেই কী, আর না হলেই-বা কী।’
বার্ষিক সভা অনিয়মিত হওয়া নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমরা প্রথম বছর করতে পারিনি নির্দিষ্ট কিছু কারণে। গত দুই বছর হয়নি কোভিডের কারণে। তবে প্রতিবছরেরটা প্রতিবছর করে ফেললে সুবিধা হয়। বিসিবি কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটা একটা ক্রীড়া সংস্থা, যাদের অনেক প্রতিশ্রুতি থাকে, বিভিন্ন ইভেন্ট থাকে। সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য করে নিয়মিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিবছরেই করে ফেলার পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু পরে দেরি হয়ে যায়।’
২০২১ এজিএমের আলোচ্যসূচি
বিসিবির বার্ষিক সভা মানেই সভাপতির সভাপতিত্বে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তার প্রতিবেদন উপস্থাপনা, পর্যালোচনা ও অনুমোদন। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যেহেতু বার্ষিক সভা নিয়মিত হয় না; প্রধান নির্বাহী ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত গত তিন অর্থবছরের (২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০) বোর্ডের যাবতীয় কার্যক্রম, হিসাব, নিরীক্ষা তুলে ধরবেন।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী তাঁর প্রতিবেদনে তুলে ধরবেন বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদে বাংলাদেশ দলসহ বিসিবির বিভিন্ন দলের সাফল্য। বিশেষ করে ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শিরোপা জয়। তাঁদের আর্থিক রিজার্ভের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি, বিপণন কার্যক্রম, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্রিকেটারদের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ নিজেদের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী। তিনি তুলে ধরবেন বিসিবির অনুদান, ডিজিটাল রিসোর্স, সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রম।
প্রধান অর্থ কর্মকর্তা তুলে ধরবেন গত তিন অর্থবছরে বোর্ডের আয়-ব্যয়, এফডিআর ও পুঞ্জীভূত তহবিলের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ। তোলা হবে নিমবাসের পাশাপাশি গত এক দশকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), বিভিন্ন স্পনসর ও অন্যান্য খাত থেকে বিসিবির অনাদায়ি পাওনা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও।
‘কথা বলার পরিবেশ আছে?’
এজিএমকে বলা হয় কাউন্সিলরদের কথা বলার বিরাট মঞ্চ। দেশের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে বোর্ডকে নিজেদের প্রত্যাশা-পরামর্শ-মতামত জানানোর বড় প্ল্যাটফর্ম। এজিএমকে বলা হয় পরিচালনা পরিষদের ভুল-ত্রুটি, অনিয়ম-অসংগতি ধরিয়ে দেওয়ার বড় জায়গা। কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল বেশির ভাগই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বার্ষিক সাধারণ সভা নিয়ে। এ সভা যেন হাত তোলার সভা! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক কাউন্সিলর যেমন বললেন, ‘এটা কোনো এজিএমই নয়। সব পাস!’ ঢাকার বাইরের আরেকজন কাউন্সিলর বললেন, ‘কথা বলার পরিবেশ আছে? কেউ কোনো কথা বলবে না। বোর্ড চলছে আমলাতান্ত্রিক ধাঁচে। কাউন্সিলরদের কথা শোনার খুব একটা দরকারও তাদের নেই! শুনছি উপহার হিসেবে এক লাখ টাকার চেক, ল্যাপটপসহ কিছু উপহার দেওয়া হবে। এটাই কাউন্সিলরদের প্রাপ্তি।’
যেখানে কাউন্সিলরদের বেশি অসন্তুষ্টি
একটা সময় বোর্ডের কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদে ক্রমেই কমেছে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ। বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১৬(জ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরিচালনা পরিষদ ২১টি স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটি গঠন করতে পারে। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৬(খ) ও ১৬(গ) অনুযায়ী ওয়ার্কিং কমিটি, টুর্নামেন্ট কমিটি, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটি ও সিসিডিএম বাদে সব স্থায়ী কমিটি সর্বোচ্চ সাত সদস্যের হবে। একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন সদস্যসচিব ও চারজন সদস্য থাকবেন। সদস্যসচিব ও সদস্য মনোনীত হবেন কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, বেশির ভাগ স্থায়ী কমিটিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। কিছু কিছু কমিটি আছে শুধু চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান দিয়ে চলছে। আবার কোনো কমিটিতে শুধু চেয়ারম্যানই আছেন। বিসিবির কাউন্সিলর হওয়া এক সাবেক ক্রিকেটার বলছেন, ‘কমিটি আছে অথচ সদস্য নেই। কমিটির সংজ্ঞাটাই তো হচ্ছে না।’ আরেক কাউন্সিলর বলছেন, ‘বিসিবিকে গ্রাস করেছে আমলাতন্ত্র। বেশির ভাগ কমিটির কার্যক্রম ম্যানেজার দিয়েই চলছে।’
কাউন্সিলরদের এই ধরনের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি মনে করিয়ে দিলেন, দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে ১৫-২০ বছর আগে বিসিবি চেয়েছিল পেশাদারি যুগে পা রাখতে।
সে ভাবনা থেকেই করপোরেট কাঠামোর পথচলা শুরু। একটা সময় বিসিবির যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকদের দিয়ে, সেটিই এখন পরিচালিত হচ্ছে বোর্ডের অভিজ্ঞ, আত্মবিশ্বাসী, পেশাদার জনবল দিয়ে। এটিকে পেশাদারি যুগের পদাপর্ণে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিরাট বাঁকবদল হিসেবে দেখছেন নিজাম উদ্দিন, ‘বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি আছে। তবে কমিটির কাজের ধরনে বদল এসেছে। আগে কমিটি নিজেই কাজ করত। এখন কমিটির পরামর্শ নিয়ে পরিচালনা পরিষদ পেশাদার দল দিয়ে কাজ করায়। স্বেচ্ছা সেবা থেকে পেশাদার দলে পরিণত হওয়া—এই পরিবর্তনকে প্রশংসা করতেই হবে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা এই মুহূর্তে দুটি আয়োজন নিয়ে খুবই ব্যস্ত। ১ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। আর কাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতীক্ষিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। কোনো কোনো কাউন্সিলরের ভাষায় কাল ‘হাত তোলা বা হ্যাঁ বলার দিন!’ এই এজিএমে আমন্ত্রিত বিসিবির ১৬৬ কাউন্সিলর।
বদলে গেছে এজিএমের সংজ্ঞা!
বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১২.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রতি অর্থবছর সমাপ্তির অন্যূন ১২০ দিনের মধ্যে পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও নির্বাচিত স্থানে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হইবে।’
গঠনতন্ত্রের এই ধারাটা গত তিন বছরে তো বটেই, গত ১৪ বছরেও ঠিকঠাক মানা হয়নি। ২০০৬-০৭ থেকে শুরু করে ২০১৯-২০—এই ১৪ অর্থবছরে বিসিবির বার্ষিক সভাই হয়েছে মাত্র তিনবার। সর্বশেষ এজিএম হয়েছে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর। তার আগেরটি ২০১২ সালের ১ মার্চ। তার আগের এজিএম হয়েছে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর। গঠনতন্ত্র মেনে যে সভাটি হওয়ার কথা প্রতিবছর, সেটিই হচ্ছে ‘কালেভদ্রে’! এ নিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে অভিন্ন উত্তর মিলল, ‘এজিএম নিয়ে আগ্রহ নেই; এটা নিয়মিত হলেই কী, আর না হলেই-বা কী।’
বার্ষিক সভা অনিয়মিত হওয়া নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমরা প্রথম বছর করতে পারিনি নির্দিষ্ট কিছু কারণে। গত দুই বছর হয়নি কোভিডের কারণে। তবে প্রতিবছরেরটা প্রতিবছর করে ফেললে সুবিধা হয়। বিসিবি কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটা একটা ক্রীড়া সংস্থা, যাদের অনেক প্রতিশ্রুতি থাকে, বিভিন্ন ইভেন্ট থাকে। সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য করে নিয়মিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিবছরেই করে ফেলার পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু পরে দেরি হয়ে যায়।’
২০২১ এজিএমের আলোচ্যসূচি
বিসিবির বার্ষিক সভা মানেই সভাপতির সভাপতিত্বে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তার প্রতিবেদন উপস্থাপনা, পর্যালোচনা ও অনুমোদন। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যেহেতু বার্ষিক সভা নিয়মিত হয় না; প্রধান নির্বাহী ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত গত তিন অর্থবছরের (২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০) বোর্ডের যাবতীয় কার্যক্রম, হিসাব, নিরীক্ষা তুলে ধরবেন।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী তাঁর প্রতিবেদনে তুলে ধরবেন বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদে বাংলাদেশ দলসহ বিসিবির বিভিন্ন দলের সাফল্য। বিশেষ করে ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শিরোপা জয়। তাঁদের আর্থিক রিজার্ভের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি, বিপণন কার্যক্রম, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্রিকেটারদের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ নিজেদের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী। তিনি তুলে ধরবেন বিসিবির অনুদান, ডিজিটাল রিসোর্স, সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রম।
প্রধান অর্থ কর্মকর্তা তুলে ধরবেন গত তিন অর্থবছরে বোর্ডের আয়-ব্যয়, এফডিআর ও পুঞ্জীভূত তহবিলের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ। তোলা হবে নিমবাসের পাশাপাশি গত এক দশকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), বিভিন্ন স্পনসর ও অন্যান্য খাত থেকে বিসিবির অনাদায়ি পাওনা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও।
‘কথা বলার পরিবেশ আছে?’
এজিএমকে বলা হয় কাউন্সিলরদের কথা বলার বিরাট মঞ্চ। দেশের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে বোর্ডকে নিজেদের প্রত্যাশা-পরামর্শ-মতামত জানানোর বড় প্ল্যাটফর্ম। এজিএমকে বলা হয় পরিচালনা পরিষদের ভুল-ত্রুটি, অনিয়ম-অসংগতি ধরিয়ে দেওয়ার বড় জায়গা। কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল বেশির ভাগই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বার্ষিক সাধারণ সভা নিয়ে। এ সভা যেন হাত তোলার সভা! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক কাউন্সিলর যেমন বললেন, ‘এটা কোনো এজিএমই নয়। সব পাস!’ ঢাকার বাইরের আরেকজন কাউন্সিলর বললেন, ‘কথা বলার পরিবেশ আছে? কেউ কোনো কথা বলবে না। বোর্ড চলছে আমলাতান্ত্রিক ধাঁচে। কাউন্সিলরদের কথা শোনার খুব একটা দরকারও তাদের নেই! শুনছি উপহার হিসেবে এক লাখ টাকার চেক, ল্যাপটপসহ কিছু উপহার দেওয়া হবে। এটাই কাউন্সিলরদের প্রাপ্তি।’
যেখানে কাউন্সিলরদের বেশি অসন্তুষ্টি
একটা সময় বোর্ডের কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদে ক্রমেই কমেছে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ। বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১৬(জ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরিচালনা পরিষদ ২১টি স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটি গঠন করতে পারে। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৬(খ) ও ১৬(গ) অনুযায়ী ওয়ার্কিং কমিটি, টুর্নামেন্ট কমিটি, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটি ও সিসিডিএম বাদে সব স্থায়ী কমিটি সর্বোচ্চ সাত সদস্যের হবে। একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন সদস্যসচিব ও চারজন সদস্য থাকবেন। সদস্যসচিব ও সদস্য মনোনীত হবেন কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, বেশির ভাগ স্থায়ী কমিটিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। কিছু কিছু কমিটি আছে শুধু চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান দিয়ে চলছে। আবার কোনো কমিটিতে শুধু চেয়ারম্যানই আছেন। বিসিবির কাউন্সিলর হওয়া এক সাবেক ক্রিকেটার বলছেন, ‘কমিটি আছে অথচ সদস্য নেই। কমিটির সংজ্ঞাটাই তো হচ্ছে না।’ আরেক কাউন্সিলর বলছেন, ‘বিসিবিকে গ্রাস করেছে আমলাতন্ত্র। বেশির ভাগ কমিটির কার্যক্রম ম্যানেজার দিয়েই চলছে।’
কাউন্সিলরদের এই ধরনের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি মনে করিয়ে দিলেন, দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে ১৫-২০ বছর আগে বিসিবি চেয়েছিল পেশাদারি যুগে পা রাখতে।
সে ভাবনা থেকেই করপোরেট কাঠামোর পথচলা শুরু। একটা সময় বিসিবির যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকদের দিয়ে, সেটিই এখন পরিচালিত হচ্ছে বোর্ডের অভিজ্ঞ, আত্মবিশ্বাসী, পেশাদার জনবল দিয়ে। এটিকে পেশাদারি যুগের পদাপর্ণে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিরাট বাঁকবদল হিসেবে দেখছেন নিজাম উদ্দিন, ‘বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি আছে। তবে কমিটির কাজের ধরনে বদল এসেছে। আগে কমিটি নিজেই কাজ করত। এখন কমিটির পরামর্শ নিয়ে পরিচালনা পরিষদ পেশাদার দল দিয়ে কাজ করায়। স্বেচ্ছা সেবা থেকে পেশাদার দলে পরিণত হওয়া—এই পরিবর্তনকে প্রশংসা করতেই হবে।’
কাতার বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশকে নিজেদের বেশ আপন মনে করেই যেন চলছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনায় তারা যে অভিভূত, সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজ দেশের সঙ্গে আর্জেন্টাইনরা বাংলাদেশের পতাকাও উড়ায়।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। চোটের কারণে ১৫ সদস্যের দলে সুযোগ হয়নি অভিজ্ঞ জেসন হোল্ডারের। তবু নিজেদের মাঠে বিপজ্জনক পেস আক্রমণ নিয়েই বাংলাদেশকে মোকাবিলা করবে স্বাগতিকেরা।
৩ ঘণ্টা আগেফিফার প্রথম প্রীতি ম্যাচ মালদ্বীপের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফিরতি দেখা হচ্ছে দল দুটির। জিততে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। দলের মাঝমাঠের তারকা সোহেল রানার কণ্ঠে জয়েরই সুর, ‘প্রথম ম্যাচটা আমরা ভালো খেলেও জিততে পারিনি। অনেকগুলো আক্রমণ করেছি, কিন্তু গোল পাইনি। এই ম্য
৩ ঘণ্টা আগেনভেম্বর চলে যাচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কোনো প্রস্তুতি নেই। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নাকি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এখন টেনিস কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক কমিটির লক্ষ্য শুধু নির্বাচন আয়োজন। টুর্নামেন্ট আয়োজনের মতো ‘বড়’ সিদ্ধান্ত তা
৪ ঘণ্টা আগে