ক্রীড়া ডেস্ক
কাভার পয়েন্টে এইডেন মার্করামের ক্যাচটা ঠান্ডা মাথায় হাতে নিলেন বাবর আজম। জয়ের জন্য তখনো দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ২১ রান, উইকেটে শেষ স্বীকৃত ব্যাটার জেরাল্ড কোয়েৎজে, যিনি মূলত বোলিং অলরাউন্ডার। তাঁকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ালেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তানের ডুবতে থাকা সম্ভাবনায় আশার জোয়ার।
ভারতে বিশ্বকাপ জমছে না, এ নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না। অবশেষে এবারের আসরের জমজমাট ম্যাচ এলো বিশ্বকাপের দুই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দলের হাত ধরে। দক্ষিণ আফ্রিকা, যারা সুবিধাজনক অবস্থাতে থেকেও ‘চোক’ করে অভ্যস্ত, পাকিস্তান যারা হারা ম্যাচেও লড়াই করে ফিরতে পারে। কী হবে, কী হবে এমন দোলাচলে থাকা ম্যাচটা শেষে জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে প্রোটিয়াদের জয় ১ উইকেটে।
অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, চেন্নাইয়ের এম. চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে হেসে খেলেই জিতবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ২০৬ রানে ডেভিড মিলার (২৯) ফিরে গেলেও তখনো হাতে পাঁচ উইকেট ছিল প্রোটিয়াদের। জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০১ বলে ৬৫ রান। সবচেয়ে বড় কথা, উইকেটে তখনো দক্ষিণ আফ্রিকার আশার আলো হয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে ছিলেন এইডেন মার্করাম।
পাকিস্তান ম্যাচে ফিরল সেখান থেকেই। ২০ রান করা মার্কো ইয়েনসেনকে ফেরালেন হারিস রউফ। তারপরও ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেই ঝুঁকে। কারণ উইকেটে তখনো আছেন মার্করাম। সেই মার্করামকে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ বানালেন উসামা মীর। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আশা। মার্করাম ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংস খেলে যখন ফিরলেন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২৫০। জিততে লাগবে ২১। পরের ওভারে কোয়েৎজে ফেরায় জয়ের আশা শুরু করল পাকিস্তান। রোমাঞ্চের শুরু সেখান থেকেই।
টেলএন্ডার ব্যাটার হলেও লুনগি এনগিদি আর কেশব মহারাজ দুজনেই টুকটাক ব্যাটিং জানেন। উইকেটে টুকটুক করে ১০ রান তুললেন দুজনে। ৪৬তম ওভারে ২৬০ রানের মাথায় নিজের বলে এনগিদির (৪) দারুণ এক ক্যাচ ধরলেন হারিস রউফ। শেষ উইকেটে ১১ রানের দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার। সেই ওভারের শেষ বলে তাব্রেইজ শামসির জন্য রিভিউ নিয়েছিলেন রউফ। বল লেগ স্ট্যাম্পে লাগলেও আম্পায়ারস কলে বেঁচে যান শামসি।
তিন পেসার-শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিমের স্পেল শেষ হয়ে যাওয়ায় স্পিনার আনা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের। ৪৮ তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জিততে দরকার ছিল ৫ রান। দারুণ ছন্দে থাকা উসামাকে না এনে বাবর বল দিলেন ৬ ওভারে ৩৫ রান খরচ করা নওয়াজকে। নওয়াজের দুই বলে ৫ রান তুলে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পঞ্চম জয় এনে দিলেন মহারাজ (৭) ও শামসি (৪)।
২৭১ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হলেও ৬৭ রানে দুই ওপেনারকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার কুইন্টইন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা ভালো শুরু করেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৪ বলে ২৪ করে ফেরেন ডি কক। ২৭ বলে ২৮ রানে ফিরেছেন বাভুমা।
ইনিংস বড় করতে পারেননি রাসি ফন ডার ডুসেন ও ক্লাসেনও। ২১ রান করা ফন ডুসেনকে ফেরান শাদাব খানের কনকাসন বদলি উসামা মীর। বাভুমা ও ক্লাসেনকে ফেরান এই ম্যাচে হাসান আলীর বদলি খেলতে নামা মোহাম্মদ ওয়াসিম।
৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন শাহিন আফ্রিদি। ২টি করে উইকেট নিয়ে রউফ, উসামা ও ওয়াসিম পাকিস্তানকে ম্যাচে রাখলেও শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারেননি দলকে।
চেন্নাইয়ে ম্যাচ জিতে সেমির পথে এক পা দিয়ে রাখবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ ম্যাচে প্রোটিয়াদের পয়েন্ট ১০। আর হারে ৪ পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তানের শেষ চারের সম্ভাবনা টিকে থাকল কেবল কাগজে কলমে। শেষ তিন ম্যাচে জিততে তো হবেই, পাকিস্তানকে চেয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের দিকেও।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তান যখন দুই ওপেনারকে হারাল তখন তাদের রান ৩৮। অভিজ্ঞ বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ধাক্কাটা সামলে রান তুললেন আরও ৪৮। ২৭ বলে ৩১ করে ফিরলেন রিজওয়ান, ২১ করে ফিরে গেলেন ইফতিখার আহমেদও। ফিফটি তুলে ইনিংসকে বড় করতে পারেননি অধিনায়ক বাবর আজমও, ৬৫ বলে ফিরেছেন ৫০ করে। ফেরার আগে অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটে ২ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
১৪১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর পাল্টা আক্রমণে গেলেন দুই ব্যাটার সৌদ শাকিল ও শাদাব খান। ৭১ বলে ৮৪ রান এল দ্রুত। ৩৬ বলে ৪৩ রানে শাদাব ফিরতেই ধসে পাকিস্তান। ৫২ করে সৌদ শাকিল ফেরার পর ২০ বল আগেই অলআউট পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ইনিংসকে বড় হতে দেননি তাব্রেইজ শামসি ও মার্কো ইয়েনসেন। চায়নাম্যান শামসি ৬০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৪৩ রানে ৩ উইকেট শিকার ইয়েনসেনের।
কাভার পয়েন্টে এইডেন মার্করামের ক্যাচটা ঠান্ডা মাথায় হাতে নিলেন বাবর আজম। জয়ের জন্য তখনো দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ২১ রান, উইকেটে শেষ স্বীকৃত ব্যাটার জেরাল্ড কোয়েৎজে, যিনি মূলত বোলিং অলরাউন্ডার। তাঁকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ালেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তানের ডুবতে থাকা সম্ভাবনায় আশার জোয়ার।
ভারতে বিশ্বকাপ জমছে না, এ নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না। অবশেষে এবারের আসরের জমজমাট ম্যাচ এলো বিশ্বকাপের দুই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দলের হাত ধরে। দক্ষিণ আফ্রিকা, যারা সুবিধাজনক অবস্থাতে থেকেও ‘চোক’ করে অভ্যস্ত, পাকিস্তান যারা হারা ম্যাচেও লড়াই করে ফিরতে পারে। কী হবে, কী হবে এমন দোলাচলে থাকা ম্যাচটা শেষে জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে প্রোটিয়াদের জয় ১ উইকেটে।
অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, চেন্নাইয়ের এম. চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে হেসে খেলেই জিতবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ২০৬ রানে ডেভিড মিলার (২৯) ফিরে গেলেও তখনো হাতে পাঁচ উইকেট ছিল প্রোটিয়াদের। জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০১ বলে ৬৫ রান। সবচেয়ে বড় কথা, উইকেটে তখনো দক্ষিণ আফ্রিকার আশার আলো হয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে ছিলেন এইডেন মার্করাম।
পাকিস্তান ম্যাচে ফিরল সেখান থেকেই। ২০ রান করা মার্কো ইয়েনসেনকে ফেরালেন হারিস রউফ। তারপরও ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেই ঝুঁকে। কারণ উইকেটে তখনো আছেন মার্করাম। সেই মার্করামকে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ বানালেন উসামা মীর। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আশা। মার্করাম ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংস খেলে যখন ফিরলেন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২৫০। জিততে লাগবে ২১। পরের ওভারে কোয়েৎজে ফেরায় জয়ের আশা শুরু করল পাকিস্তান। রোমাঞ্চের শুরু সেখান থেকেই।
টেলএন্ডার ব্যাটার হলেও লুনগি এনগিদি আর কেশব মহারাজ দুজনেই টুকটাক ব্যাটিং জানেন। উইকেটে টুকটুক করে ১০ রান তুললেন দুজনে। ৪৬তম ওভারে ২৬০ রানের মাথায় নিজের বলে এনগিদির (৪) দারুণ এক ক্যাচ ধরলেন হারিস রউফ। শেষ উইকেটে ১১ রানের দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার। সেই ওভারের শেষ বলে তাব্রেইজ শামসির জন্য রিভিউ নিয়েছিলেন রউফ। বল লেগ স্ট্যাম্পে লাগলেও আম্পায়ারস কলে বেঁচে যান শামসি।
তিন পেসার-শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিমের স্পেল শেষ হয়ে যাওয়ায় স্পিনার আনা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের। ৪৮ তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জিততে দরকার ছিল ৫ রান। দারুণ ছন্দে থাকা উসামাকে না এনে বাবর বল দিলেন ৬ ওভারে ৩৫ রান খরচ করা নওয়াজকে। নওয়াজের দুই বলে ৫ রান তুলে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পঞ্চম জয় এনে দিলেন মহারাজ (৭) ও শামসি (৪)।
২৭১ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হলেও ৬৭ রানে দুই ওপেনারকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার কুইন্টইন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা ভালো শুরু করেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৪ বলে ২৪ করে ফেরেন ডি কক। ২৭ বলে ২৮ রানে ফিরেছেন বাভুমা।
ইনিংস বড় করতে পারেননি রাসি ফন ডার ডুসেন ও ক্লাসেনও। ২১ রান করা ফন ডুসেনকে ফেরান শাদাব খানের কনকাসন বদলি উসামা মীর। বাভুমা ও ক্লাসেনকে ফেরান এই ম্যাচে হাসান আলীর বদলি খেলতে নামা মোহাম্মদ ওয়াসিম।
৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন শাহিন আফ্রিদি। ২টি করে উইকেট নিয়ে রউফ, উসামা ও ওয়াসিম পাকিস্তানকে ম্যাচে রাখলেও শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারেননি দলকে।
চেন্নাইয়ে ম্যাচ জিতে সেমির পথে এক পা দিয়ে রাখবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ ম্যাচে প্রোটিয়াদের পয়েন্ট ১০। আর হারে ৪ পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তানের শেষ চারের সম্ভাবনা টিকে থাকল কেবল কাগজে কলমে। শেষ তিন ম্যাচে জিততে তো হবেই, পাকিস্তানকে চেয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের দিকেও।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তান যখন দুই ওপেনারকে হারাল তখন তাদের রান ৩৮। অভিজ্ঞ বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ধাক্কাটা সামলে রান তুললেন আরও ৪৮। ২৭ বলে ৩১ করে ফিরলেন রিজওয়ান, ২১ করে ফিরে গেলেন ইফতিখার আহমেদও। ফিফটি তুলে ইনিংসকে বড় করতে পারেননি অধিনায়ক বাবর আজমও, ৬৫ বলে ফিরেছেন ৫০ করে। ফেরার আগে অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটে ২ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
১৪১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর পাল্টা আক্রমণে গেলেন দুই ব্যাটার সৌদ শাকিল ও শাদাব খান। ৭১ বলে ৮৪ রান এল দ্রুত। ৩৬ বলে ৪৩ রানে শাদাব ফিরতেই ধসে পাকিস্তান। ৫২ করে সৌদ শাকিল ফেরার পর ২০ বল আগেই অলআউট পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ইনিংসকে বড় হতে দেননি তাব্রেইজ শামসি ও মার্কো ইয়েনসেন। চায়নাম্যান শামসি ৬০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৪৩ রানে ৩ উইকেট শিকার ইয়েনসেনের।
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
১১ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
১২ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
১৩ ঘণ্টা আগে