ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্ট ক্রিকেটের প্রথাগত ব্যাটিং কৌশলেই সফল জো রুট। বীরেন্দর শেবাগ–ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো ব্যাটিংয়ে নেমেই বোলারদের ওপর চড়াও হন না তিনি। অন্যরা যখন বলকে মেরে মেরে পুরোনো করেন তখন রুট ছেড়ে এবং ডিফেন্স করে টেম্পারমেন্ট নষ্ট করেন।
এই কৌশলে ব্যাটিং করেই টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন রুট। কিন্তু ইংল্যান্ডের নতুন কৌশল ‘বাজবল’ আসার পর নিজের ব্যাটিংয়ে তিনিও একটু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। বেন ডাকেট–বেন স্টোকসদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে নিজের সহজাত ব্যাটিং গুলিয়ে ফেলেছেন। সর্বশেষ তিন টেস্টে পাননি একটি ফিফটিও। সর্বোচ্চ ২৯। ফর্মের চেয়েও বড় বিষয় ছিল তাঁর আউটের ধরন। অযথা, রিভার্স সুইপ, সুইপ ও বলকে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার।
ভারত সফরে রুটের এভাবে আউট হওয়ার ধরন নিয়ে তাই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক দুই ব্যাটার মাইকেল ভন ও মাইকেল আথারটন। সঙ্গে উত্তরসূরিকে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছিলেন জোর করে যেন বাজবলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি না করে। নিজের সহজাত ব্যাটিংটাই যেন করেন রুট।
পূর্বসূরিদের সেই পরামর্শ কানে নিয়েছেন রুট। আজ রাঁচি টেস্টে নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে তাঁর এটি ৩১ তম সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে দশম। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাঁর চেয়ে আর কোনো ব্যাটারের বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি নেই। এত দিন ৯ সেঞ্চুরি নিয়ে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে শীর্ষে ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটার।
আজকের আগে এই সিরিজে রান না পাওয়ায় আজ এতটাই ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন যে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ধীর গতির সেঞ্চুরি করেছেন রুট। ২১৯ বলে আজ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের ধীর গতির সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়েছেন ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫৯ বলে। সেঞ্চুরির উদ্যাপনটাও তেমনি হলো। সেঞ্চুরির উদ্যাপন করলেন ড্রেসিংরুমে থাকা অধিনায়ক স্টোকসের সঙ্গে কনিষ্ঠা আঙুল দেখিয়ে। দুজনের কনিষ্ঠা দেখানোর অর্থ হলো—একের অপরের প্রতি বিশ্বাস। রুটের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের ওপর যে স্টোকসের বিশ্বাস ছিল সেটার বহিঃপ্রকাশ ছিল এই উদ্যাপনে।
সেঞ্চুরিকে শুধু নিজেই আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেলেন এমনটা অবশ্য নয়, দলকেও ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছেন রুট। প্রথম সেশনেই ৫ উইকেট হারিয়ে অল্প রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল ইংল্যান্ড। ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এ সময় শুরুতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা জ্যাক ক্রলি ৪২ ও জনি বেয়ারস্টো ৩৮ রান করে আউট হন। অভিষিক্ত আকাশ দীপের বোলিং তোপে এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে তারা। ইংল্যান্ডের শুরুর তিন ব্যাটারকেই আউট করেন দীপ।
সেখান থেকে বেন ফোকসকে নিয়ে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ান রুট। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে মিলে ১১৩ রানে জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন। ফিফটি থেকে ৩ রান দূরে ফোকস আউট হলে আবারও এক হয়ে পড়েন রুট। ১২৬ বলে ৪৭ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আউট হন ফোকস। ১৩ রান করা টম হার্টলিকেও দ্রুত ফেরান ভারতীয় পেসার। তবে রুট এক প্রান্ত ঠিকই ধরে রেখেছেন।
রুটের দৃঢ়তায় ইংল্যান্ড তাই প্রথম দিন অলআউট হয় নাই। প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩০২ রানের সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারীরা। অপরাজিত থেকে দিন শেষ করতে তাঁকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ওলি রবিনসন। অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছেদ ৫৭ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। পেসার রবিনসন অপরাজিত আছেন ৩১ রানে। আর ১০৬ রানে আগামীকাল দিন শুরু করবেন রুট। ২২৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯ চারে।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রথাগত ব্যাটিং কৌশলেই সফল জো রুট। বীরেন্দর শেবাগ–ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো ব্যাটিংয়ে নেমেই বোলারদের ওপর চড়াও হন না তিনি। অন্যরা যখন বলকে মেরে মেরে পুরোনো করেন তখন রুট ছেড়ে এবং ডিফেন্স করে টেম্পারমেন্ট নষ্ট করেন।
এই কৌশলে ব্যাটিং করেই টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন রুট। কিন্তু ইংল্যান্ডের নতুন কৌশল ‘বাজবল’ আসার পর নিজের ব্যাটিংয়ে তিনিও একটু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। বেন ডাকেট–বেন স্টোকসদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে নিজের সহজাত ব্যাটিং গুলিয়ে ফেলেছেন। সর্বশেষ তিন টেস্টে পাননি একটি ফিফটিও। সর্বোচ্চ ২৯। ফর্মের চেয়েও বড় বিষয় ছিল তাঁর আউটের ধরন। অযথা, রিভার্স সুইপ, সুইপ ও বলকে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার।
ভারত সফরে রুটের এভাবে আউট হওয়ার ধরন নিয়ে তাই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক দুই ব্যাটার মাইকেল ভন ও মাইকেল আথারটন। সঙ্গে উত্তরসূরিকে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছিলেন জোর করে যেন বাজবলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি না করে। নিজের সহজাত ব্যাটিংটাই যেন করেন রুট।
পূর্বসূরিদের সেই পরামর্শ কানে নিয়েছেন রুট। আজ রাঁচি টেস্টে নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে তাঁর এটি ৩১ তম সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে দশম। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাঁর চেয়ে আর কোনো ব্যাটারের বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি নেই। এত দিন ৯ সেঞ্চুরি নিয়ে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে শীর্ষে ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটার।
আজকের আগে এই সিরিজে রান না পাওয়ায় আজ এতটাই ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন যে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ধীর গতির সেঞ্চুরি করেছেন রুট। ২১৯ বলে আজ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের ধীর গতির সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়েছেন ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫৯ বলে। সেঞ্চুরির উদ্যাপনটাও তেমনি হলো। সেঞ্চুরির উদ্যাপন করলেন ড্রেসিংরুমে থাকা অধিনায়ক স্টোকসের সঙ্গে কনিষ্ঠা আঙুল দেখিয়ে। দুজনের কনিষ্ঠা দেখানোর অর্থ হলো—একের অপরের প্রতি বিশ্বাস। রুটের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের ওপর যে স্টোকসের বিশ্বাস ছিল সেটার বহিঃপ্রকাশ ছিল এই উদ্যাপনে।
সেঞ্চুরিকে শুধু নিজেই আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেলেন এমনটা অবশ্য নয়, দলকেও ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছেন রুট। প্রথম সেশনেই ৫ উইকেট হারিয়ে অল্প রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল ইংল্যান্ড। ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এ সময় শুরুতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা জ্যাক ক্রলি ৪২ ও জনি বেয়ারস্টো ৩৮ রান করে আউট হন। অভিষিক্ত আকাশ দীপের বোলিং তোপে এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে তারা। ইংল্যান্ডের শুরুর তিন ব্যাটারকেই আউট করেন দীপ।
সেখান থেকে বেন ফোকসকে নিয়ে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ান রুট। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে মিলে ১১৩ রানে জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন। ফিফটি থেকে ৩ রান দূরে ফোকস আউট হলে আবারও এক হয়ে পড়েন রুট। ১২৬ বলে ৪৭ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আউট হন ফোকস। ১৩ রান করা টম হার্টলিকেও দ্রুত ফেরান ভারতীয় পেসার। তবে রুট এক প্রান্ত ঠিকই ধরে রেখেছেন।
রুটের দৃঢ়তায় ইংল্যান্ড তাই প্রথম দিন অলআউট হয় নাই। প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩০২ রানের সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারীরা। অপরাজিত থেকে দিন শেষ করতে তাঁকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ওলি রবিনসন। অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছেদ ৫৭ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। পেসার রবিনসন অপরাজিত আছেন ৩১ রানে। আর ১০৬ রানে আগামীকাল দিন শুরু করবেন রুট। ২২৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯ চারে।
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
৮ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
৮ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
৯ ঘণ্টা আগে