শন পোলকের সাক্ষাৎকার
রানা আব্বাস, ঢাকা
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন শন পোলক। চার দিন আগে সাক্ষাৎকারের অনুরোধ করতেই প্রোটিয়া কিংবদন্তির কাছ থেকে বার্তা এল, কথা বলবেন মিরপুর টেস্ট শেষ হলে। কাল দুপুরে ধারাভাষ্যকক্ষের পাশে একই সঙ্গে চার সাংবাদিককে সময় দিলেন পোলক। সেখানে ছিলেন আজকের পত্রিকার রানা আব্বাস
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য হয়েছে কোথায়?
শন পোলক: আমার মনে হয়, প্রথম দিনের উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকানদের জন্য সত্যি ভালো ছিল। ওটা পেসার ও স্পিনারদের সহায়তা করেছে। তাতে বাংলাদেশকে ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তারা। প্রথম ইনিংসে একটা ভালো লিড পেতে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দক্ষতা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে। যদি নির্মোহভাবে দেখেন, বাংলাদেশের ব্যাটিং প্রেক্ষাপটে প্রথম ইনিংসে সাদমান যেভাবে আউট হলো, ওপেনার হিসেবে সে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছে। পরের দিন মুমিনুল উইকেটে এল, রাবাদার বিপক্ষে যে শট সে খেলেছে—জানি না তারা কী ভেবে খেলছে। যখন উইকেটে যাবেন, আপনাকে দায়িত্ব নিতে হবে। চেষ্টা থাকবে একই ভুল বারবার না করা। সব সময় দেখি বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনাময়। একটা টেস্ট খেলুড়ে দেশের কাছ থেকে মানুষ আসলে আরও ধারাবাহিকতা আশা করে। আমরা তাদের দারুণ কিছু পারফরম্যান্স কিন্তু দেখেছি। তারা নিউজিল্যান্ডে জিতেছে, পাকিস্তানে জিতেছে। তাদের মধ্যে শুধু একটাই মিসিং—ধারাবাহিকতা। দেশের মাঠে আপনাকে আরও বেশি ধারাবাহিক হতে হবে।
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টে যে ৩৩ উইকেট পড়েছে, তার ১৬টিই নিয়েছেন পেসাররা। তাহলে বাংলাদেশের একজন পেসার নিয়ে খেলার কৌশল কি ঠিক ছিল?
পোলক: দ্বিতীয় পেসার তারা নিতে পারত মনে হয়। আমি মনে করি না, দুজন অফ স্পিনার এখানে কার্যকর, যেহেতু তাইজুল (ইসলাম) দুর্দান্ত বোলিং করেছে। দুজন অফ স্পিনার কার্যকর না হওয়ায় তারা আরেকজন পেসার নিতে পারত। একজন পেসার নিয়ে খেলাটা সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। আমার মনে হয় চট্টগ্রামে খেলার আগে তারা এটা নিয়ে ভাববে। সেখানে দুজন পেসার তারা নিতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের একটা মুখস্থ কৌশল, মিরপুরে এশিয়ার বাইরের দলের সঙ্গে ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে জেতার চেষ্টা। ঘরের মাঠের সুবিধা সবাই নেয়। তবে যেহেতু কৌশলটা খুব পরিচিত হয়ে গেছে, এখানে কি তারা ভিন্ন কিছু করতে পারে?
পোলক: না, আপনাকে আপনার শক্তির ওপরই ভরসা করতে হবে। আপনি জানেন কী ধরনের উইকেট আপনার জন্য বেশি সহায়ক হবে। বিশ্বের অন্য দলগুলোকে দেখেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া তাদের পেস শক্তি বুঝেই একাদশ সাজায়। ভারত তাদের স্পিন শক্তিতে ভরসা করে। বাংলাদেশ দলের স্পিন বিভাগে আমি একজন লেগ স্পিনারকে দেখতে চেয়েছিলাম, কী যেন নাম? বিশ্বকাপে খেলতে দেখেছিলাম (রিশাদ হোসেনের নাম বলা হলো)। হ্যাঁ, তাকে দারুণ মনে হয়েছে। যদি তাকে তৈরি করতে পারেন, আপনার হাতে যদি একজন তাইজুল, মেহেদী হাসান মিরাজ থাকে, আর দুজন ভালো ফাস্ট বোলার থাকলে দারুণ একটা সমন্বয় হয়ে যায়। পুরো বিশ্বেই দেখুন, ধারাবাহিক ভালো খেলা দল ঘন ঘন সমন্বয় পরিবর্তন করে না। দক্ষিণ আফ্রিকাকেই দেখুন, দু-একজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছে। ধারাবাহিক হতে হলে বিভিন্ন কন্ডিশনে প্রায় একই খেলোয়াড় খেলাতে হয়।
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টের বাইরে যদি একটা ক্ল্যাসিক প্রশ্ন করি, আপনার চোখে এই সময়ের সেরা অলরাউন্ডার কে?
পোলক: (একটু ভেবে), কঠিন প্রশ্ন। যদি (রবিচন্দ্রন) অশ্বিনের রেকর্ড দেখেন। সে একজন স্পিনার বলে এই না যে তাকে অলরাউন্ডার হিসেবে ধরা যাবে না। বেন স্টোকসের কথা বলতে পারেন। অনেক অলরাউন্ডারই আছে। যে সংখ্যায় এখন টি-টোয়েন্টি খেলতে হয়, সে ক্ষেত্রে সে (স্টোকস) কিছুটা আড়ালে চলে যায়। কেউ যদি কয়েক ওভার বোলিং করে আর বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি মারে, তাহলে সেও অলরাউন্ডার হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, জেনুইন অলরাউন্ডার বলতে এর চেয়ে বেশি বোঝায়। স্টোকস—নিজের সেরা বোলিং আর ব্যাটিংয়ের দিনে টেস্ট জেতাবে। বোলিংয়ে অবশ্যই অশ্বিন অনেক ভালো। এমনকি ব্যাটিংয়েও সে কয়েকটা সেঞ্চুরি পেয়েছে। আমার মনে হয় এরাই এ তালিকায় থাকবে। (একটু থেমে) আমার মনে হয় এই টেস্টে সাকিবের না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা। সে ভালো ব্যাটিং করতে পারে। তার বাঁ হাতের ঘূর্ণিও বেশ কার্যকরী। জানি না নেপথ্যে কী আছে (সাকিবের না থাকার বিষয়ে)। আমি আসলে এসব জানতেও আগ্রহী নই।’
প্রশ্ন: একজন কিংবদন্তিতুল্য অলরাউন্ডার হিসেবে আপনি অলরাউন্ডার সাকিবকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
পোলক: তার পারফরম্যান্সের ব্যাপারে আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। আপনাদের মতো তাকে তো অত দেখিনি। তবে সব সময়ই তার প্রশংসা করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় সবশেষ সফরে সে আসেনি। সে সিরিজটা (২০২২) সে মিস করেছে। এখানে তাকে খেলতে দেখতে চেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য, সেটা হয়নি। তবে ব্যাটিংয়ে বিভিন্ন পজিশনে খেলেছে। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে বারবার। ব্যাটিং-বোলিংয়ে অবশ্যই তার দারুণ অবদান রয়েছে। আমার চোখে সে অসাধারণ।
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন শন পোলক। চার দিন আগে সাক্ষাৎকারের অনুরোধ করতেই প্রোটিয়া কিংবদন্তির কাছ থেকে বার্তা এল, কথা বলবেন মিরপুর টেস্ট শেষ হলে। কাল দুপুরে ধারাভাষ্যকক্ষের পাশে একই সঙ্গে চার সাংবাদিককে সময় দিলেন পোলক। সেখানে ছিলেন আজকের পত্রিকার রানা আব্বাস
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য হয়েছে কোথায়?
শন পোলক: আমার মনে হয়, প্রথম দিনের উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকানদের জন্য সত্যি ভালো ছিল। ওটা পেসার ও স্পিনারদের সহায়তা করেছে। তাতে বাংলাদেশকে ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তারা। প্রথম ইনিংসে একটা ভালো লিড পেতে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দক্ষতা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে। যদি নির্মোহভাবে দেখেন, বাংলাদেশের ব্যাটিং প্রেক্ষাপটে প্রথম ইনিংসে সাদমান যেভাবে আউট হলো, ওপেনার হিসেবে সে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছে। পরের দিন মুমিনুল উইকেটে এল, রাবাদার বিপক্ষে যে শট সে খেলেছে—জানি না তারা কী ভেবে খেলছে। যখন উইকেটে যাবেন, আপনাকে দায়িত্ব নিতে হবে। চেষ্টা থাকবে একই ভুল বারবার না করা। সব সময় দেখি বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনাময়। একটা টেস্ট খেলুড়ে দেশের কাছ থেকে মানুষ আসলে আরও ধারাবাহিকতা আশা করে। আমরা তাদের দারুণ কিছু পারফরম্যান্স কিন্তু দেখেছি। তারা নিউজিল্যান্ডে জিতেছে, পাকিস্তানে জিতেছে। তাদের মধ্যে শুধু একটাই মিসিং—ধারাবাহিকতা। দেশের মাঠে আপনাকে আরও বেশি ধারাবাহিক হতে হবে।
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টে যে ৩৩ উইকেট পড়েছে, তার ১৬টিই নিয়েছেন পেসাররা। তাহলে বাংলাদেশের একজন পেসার নিয়ে খেলার কৌশল কি ঠিক ছিল?
পোলক: দ্বিতীয় পেসার তারা নিতে পারত মনে হয়। আমি মনে করি না, দুজন অফ স্পিনার এখানে কার্যকর, যেহেতু তাইজুল (ইসলাম) দুর্দান্ত বোলিং করেছে। দুজন অফ স্পিনার কার্যকর না হওয়ায় তারা আরেকজন পেসার নিতে পারত। একজন পেসার নিয়ে খেলাটা সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। আমার মনে হয় চট্টগ্রামে খেলার আগে তারা এটা নিয়ে ভাববে। সেখানে দুজন পেসার তারা নিতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের একটা মুখস্থ কৌশল, মিরপুরে এশিয়ার বাইরের দলের সঙ্গে ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে জেতার চেষ্টা। ঘরের মাঠের সুবিধা সবাই নেয়। তবে যেহেতু কৌশলটা খুব পরিচিত হয়ে গেছে, এখানে কি তারা ভিন্ন কিছু করতে পারে?
পোলক: না, আপনাকে আপনার শক্তির ওপরই ভরসা করতে হবে। আপনি জানেন কী ধরনের উইকেট আপনার জন্য বেশি সহায়ক হবে। বিশ্বের অন্য দলগুলোকে দেখেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া তাদের পেস শক্তি বুঝেই একাদশ সাজায়। ভারত তাদের স্পিন শক্তিতে ভরসা করে। বাংলাদেশ দলের স্পিন বিভাগে আমি একজন লেগ স্পিনারকে দেখতে চেয়েছিলাম, কী যেন নাম? বিশ্বকাপে খেলতে দেখেছিলাম (রিশাদ হোসেনের নাম বলা হলো)। হ্যাঁ, তাকে দারুণ মনে হয়েছে। যদি তাকে তৈরি করতে পারেন, আপনার হাতে যদি একজন তাইজুল, মেহেদী হাসান মিরাজ থাকে, আর দুজন ভালো ফাস্ট বোলার থাকলে দারুণ একটা সমন্বয় হয়ে যায়। পুরো বিশ্বেই দেখুন, ধারাবাহিক ভালো খেলা দল ঘন ঘন সমন্বয় পরিবর্তন করে না। দক্ষিণ আফ্রিকাকেই দেখুন, দু-একজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছে। ধারাবাহিক হতে হলে বিভিন্ন কন্ডিশনে প্রায় একই খেলোয়াড় খেলাতে হয়।
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টের বাইরে যদি একটা ক্ল্যাসিক প্রশ্ন করি, আপনার চোখে এই সময়ের সেরা অলরাউন্ডার কে?
পোলক: (একটু ভেবে), কঠিন প্রশ্ন। যদি (রবিচন্দ্রন) অশ্বিনের রেকর্ড দেখেন। সে একজন স্পিনার বলে এই না যে তাকে অলরাউন্ডার হিসেবে ধরা যাবে না। বেন স্টোকসের কথা বলতে পারেন। অনেক অলরাউন্ডারই আছে। যে সংখ্যায় এখন টি-টোয়েন্টি খেলতে হয়, সে ক্ষেত্রে সে (স্টোকস) কিছুটা আড়ালে চলে যায়। কেউ যদি কয়েক ওভার বোলিং করে আর বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি মারে, তাহলে সেও অলরাউন্ডার হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, জেনুইন অলরাউন্ডার বলতে এর চেয়ে বেশি বোঝায়। স্টোকস—নিজের সেরা বোলিং আর ব্যাটিংয়ের দিনে টেস্ট জেতাবে। বোলিংয়ে অবশ্যই অশ্বিন অনেক ভালো। এমনকি ব্যাটিংয়েও সে কয়েকটা সেঞ্চুরি পেয়েছে। আমার মনে হয় এরাই এ তালিকায় থাকবে। (একটু থেমে) আমার মনে হয় এই টেস্টে সাকিবের না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা। সে ভালো ব্যাটিং করতে পারে। তার বাঁ হাতের ঘূর্ণিও বেশ কার্যকরী। জানি না নেপথ্যে কী আছে (সাকিবের না থাকার বিষয়ে)। আমি আসলে এসব জানতেও আগ্রহী নই।’
প্রশ্ন: একজন কিংবদন্তিতুল্য অলরাউন্ডার হিসেবে আপনি অলরাউন্ডার সাকিবকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
পোলক: তার পারফরম্যান্সের ব্যাপারে আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। আপনাদের মতো তাকে তো অত দেখিনি। তবে সব সময়ই তার প্রশংসা করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় সবশেষ সফরে সে আসেনি। সে সিরিজটা (২০২২) সে মিস করেছে। এখানে তাকে খেলতে দেখতে চেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য, সেটা হয়নি। তবে ব্যাটিংয়ে বিভিন্ন পজিশনে খেলেছে। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে বারবার। ব্যাটিং-বোলিংয়ে অবশ্যই তার দারুণ অবদান রয়েছে। আমার চোখে সে অসাধারণ।
হঠাৎই খেই হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ চার ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে আলবিসেলেস্তেরা। যেখানে সবশেষ হারটি এসেছে গতকাল আসুনসিওনের দেলচাকো স্টেডিয়ামে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। হারের পর আর্জেন্টিনার দুশ্চিন্তাও বেড়েছে।
৩২ মিনিট আগে২৭ নভেম্বর থেকে গায়ানায় শুরু হবে গ্লোবাল সুপার লিগ টি-টোয়েন্টি। এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য জার্সি উন্মোচন করেছে রংপুর রাইডার্স। আজ সকালে বিসিবির মিডিয়া কনফারেন্স সেন্টারে এ জার্সি উন্মোচন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেকাতার বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশকে নিজেদের বেশ আপন মনে করেই যেন চলছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনায় তারা যে অভিভূত, সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজ দেশের সঙ্গে আর্জেন্টাইনরা বাংলাদেশের পতাকাও উড়ায়।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। চোটের কারণে ১৫ সদস্যের দলে সুযোগ হয়নি অভিজ্ঞ জেসন হোল্ডারের। তবু নিজেদের মাঠে বিপজ্জনক পেস আক্রমণ নিয়েই বাংলাদেশকে মোকাবিলা করবে স্বাগতিকেরা।
৪ ঘণ্টা আগে