তাসনীম হাসান, ঢাকা
লেগ স্পিনারদের নিয়ে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের দারুণ একটা পর্যবেক্ষণ আছে, ‘লেগ স্পিনার বহু ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয় ভাঙবে, আবার সবচেয়ে মূল্যবান উপহারটা সেই দেবে।’
‘মূল্যবান উপহার’ দেবে বলেই তো এখন প্রত্যেক দলই একাদশে একজন লেগ স্পিনার রাখার চেষ্টা করে। এই চেষ্টা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) করছে, কিন্তু ফল সহজে মিলছে না! ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যেক দলকে লেগ স্পিনার খেলানো বাধ্যতামূলক করার পরও সেটি মানা হয় না। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব-জুবায়ের হোসেন লিখনরা পাননি নিয়মিত খেলার সুযোগ। যদিও সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন বিপ্লব। বাবা হারানোর দুঃসংবাদ না থাকলে বিপ্লব হয়তো থাকতেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলেও।
বিপ্লবের অনুপস্থিতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ কি অনুভব করবে না? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ দুটি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা দিতে হয়েছে ক্যারিবীয় লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশের সামনে। ক্যারিবিয়ান এই স্পিনার ৮ ম্যাচে পেয়েছেন ১৯ উইকেট। কদিন আগে লেগ স্পিনে যেভাবে কাবু হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা, একজন লেগ স্পিনারের উপস্থিতি নিশ্চিত ধার বাড়াত বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে।
অস্ট্রেলিয়া দলে অবশ্য লেগ স্পিনারের সংকট নেই। তাদের আছে অ্যাডাম জাম্পা। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাতে কিন্তু এই জাম্পাই হয়েছিলেন ম্যাচসেরা (২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে)। নিজেদের সর্বশেষ উইন্ডিজ সিরিজেও দারুণ ছন্দে ছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার। এবার সাকিবদেরও কঠিন পরীক্ষা নিতে চাইবেন তিনি।
বর্তমান টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০ দলের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ একাদশেই নিয়মিত লেগ স্পিনার দেখা যায় না। বাকি সব দলই প্রায় প্রতি ম্যাচেই লেগ স্পিনার খেলাচ্ছে। সেটির ফলও পাচ্ছে তারা। এটি বোঝা যাবে বর্তমান টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের দিকে একবার তাকালে। র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম চার বোলারই লেগ স্পিনার। আর শীর্ষ দশের ছয়জনই লেগ স্পিনার।
অথচ গত ১৬ মাস বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি একাদশেই ছিল না কোনো স্বীকৃত লেগ স্পিনার। র্যাঙ্কিং-ট্যাঙ্কিং তো পরের ব্যাপার! গত দুই বছরে সবেধন নীলমণি বিপ্লব সুযোগই পেয়েছেন সাত ম্যাচ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে লেগ স্পিনারদের জয়জয়কার দেখে দেশের অভিজ্ঞ স্পিন কোচ ওয়াহিদুল গণি আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘প্রায় সব দেশই এখন লেগ স্পিনার খেলাচ্ছে। লেগ স্পিনাররা আক্রমণাত্মক বোলার হয়, তারা উইকেট এনে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একজন লেগ স্পিনার খেলাতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হতো।’
প্রায় একই কথা বললেন অলক কাপালিও। টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম হ্যাটট্রিক করা এই লেগ স্পিনার বললেন, ‘আমাদের স্পিন আক্রমণ ভালো। তবে একজন লেগ স্পিনার থাকলে আরও ভালো হতো। যেহেতু তারা (অস্ট্রেলিয়া) লেগ স্পিনারের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে সেভাবে সফল হতে পারেনি। কিন্তু আমাদের সেভাবে লেগ স্পিনার আসছেও না। এলেও সুযোগ কম পায়। লেগ স্পিনারদের ওপর আমাদের কেন যেন আস্থাও কম।’
আস্থার অভাবটা আসে ক্রিকেট সংস্কৃতি থেকে। দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে লেগ স্পিনাররা যে সব সময়ই দ্বিতীয়ও নয়, তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক! টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তাই লেগ স্পিনারদের দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও বাংলাদেশ এখানে শুধুই ‘দর্শক’!
লেগ স্পিনারদের নিয়ে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের দারুণ একটা পর্যবেক্ষণ আছে, ‘লেগ স্পিনার বহু ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয় ভাঙবে, আবার সবচেয়ে মূল্যবান উপহারটা সেই দেবে।’
‘মূল্যবান উপহার’ দেবে বলেই তো এখন প্রত্যেক দলই একাদশে একজন লেগ স্পিনার রাখার চেষ্টা করে। এই চেষ্টা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) করছে, কিন্তু ফল সহজে মিলছে না! ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যেক দলকে লেগ স্পিনার খেলানো বাধ্যতামূলক করার পরও সেটি মানা হয় না। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব-জুবায়ের হোসেন লিখনরা পাননি নিয়মিত খেলার সুযোগ। যদিও সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন বিপ্লব। বাবা হারানোর দুঃসংবাদ না থাকলে বিপ্লব হয়তো থাকতেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলেও।
বিপ্লবের অনুপস্থিতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ কি অনুভব করবে না? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ দুটি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা দিতে হয়েছে ক্যারিবীয় লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশের সামনে। ক্যারিবিয়ান এই স্পিনার ৮ ম্যাচে পেয়েছেন ১৯ উইকেট। কদিন আগে লেগ স্পিনে যেভাবে কাবু হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা, একজন লেগ স্পিনারের উপস্থিতি নিশ্চিত ধার বাড়াত বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে।
অস্ট্রেলিয়া দলে অবশ্য লেগ স্পিনারের সংকট নেই। তাদের আছে অ্যাডাম জাম্পা। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাতে কিন্তু এই জাম্পাই হয়েছিলেন ম্যাচসেরা (২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে)। নিজেদের সর্বশেষ উইন্ডিজ সিরিজেও দারুণ ছন্দে ছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার। এবার সাকিবদেরও কঠিন পরীক্ষা নিতে চাইবেন তিনি।
বর্তমান টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০ দলের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ একাদশেই নিয়মিত লেগ স্পিনার দেখা যায় না। বাকি সব দলই প্রায় প্রতি ম্যাচেই লেগ স্পিনার খেলাচ্ছে। সেটির ফলও পাচ্ছে তারা। এটি বোঝা যাবে বর্তমান টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের দিকে একবার তাকালে। র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম চার বোলারই লেগ স্পিনার। আর শীর্ষ দশের ছয়জনই লেগ স্পিনার।
অথচ গত ১৬ মাস বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি একাদশেই ছিল না কোনো স্বীকৃত লেগ স্পিনার। র্যাঙ্কিং-ট্যাঙ্কিং তো পরের ব্যাপার! গত দুই বছরে সবেধন নীলমণি বিপ্লব সুযোগই পেয়েছেন সাত ম্যাচ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে লেগ স্পিনারদের জয়জয়কার দেখে দেশের অভিজ্ঞ স্পিন কোচ ওয়াহিদুল গণি আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘প্রায় সব দেশই এখন লেগ স্পিনার খেলাচ্ছে। লেগ স্পিনাররা আক্রমণাত্মক বোলার হয়, তারা উইকেট এনে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একজন লেগ স্পিনার খেলাতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হতো।’
প্রায় একই কথা বললেন অলক কাপালিও। টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম হ্যাটট্রিক করা এই লেগ স্পিনার বললেন, ‘আমাদের স্পিন আক্রমণ ভালো। তবে একজন লেগ স্পিনার থাকলে আরও ভালো হতো। যেহেতু তারা (অস্ট্রেলিয়া) লেগ স্পিনারের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে সেভাবে সফল হতে পারেনি। কিন্তু আমাদের সেভাবে লেগ স্পিনার আসছেও না। এলেও সুযোগ কম পায়। লেগ স্পিনারদের ওপর আমাদের কেন যেন আস্থাও কম।’
আস্থার অভাবটা আসে ক্রিকেট সংস্কৃতি থেকে। দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে লেগ স্পিনাররা যে সব সময়ই দ্বিতীয়ও নয়, তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক! টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তাই লেগ স্পিনারদের দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও বাংলাদেশ এখানে শুধুই ‘দর্শক’!
সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে অ্যান্টিগায় প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ দল। সফরকারী বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার যেন এখনো ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। ফুটবল দলের সদস্যসহ কোচিং স্টাফ-সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে ৩২ জনকে ফ্রিজ উপহার দিয়েছে তারা। আজ বিকেলে মতিঝিলের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
১২ ঘণ্টা আগেসরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকদের বেশির ভাগই আড়ালে চলে যান। সভাপতির পদ ছাড়েন নাজমুল হাসান পাপন। পদ হারান আরও ১০ পরিচালক। কয়েকজন করেছেন পদত্যাগ।
১২ ঘণ্টা আগে