রিফাত আনজুম
ঢাকা: পৃথিবীর সময়কাল যেন দুই ভাগে ভাগ হয়েছে। করোনার আগে ও করোনার পরে। কোভিড–১৯ নামের অদৃশ্য অণুজীবের অনুপ্রবেশের আগে জীবনের রং ছিল একরকম, এখন আরেকরকম। উৎসবও উদ্যাপন হয় না আগের মতো। সবার মতো ক্রিকেটারদের ঈদও কাটে ঘরবন্দী হয়ে।
করোনাসংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে গতবার অনেকটা ঘরের ভেতরই ঈদ কেটেছিল খেলোয়াড়দের। এবারও ব্যতিক্রম নয়। তবে নতুন করে যোগ হয়েছে অনেক নিয়ম। গত বছর করোনা পরিস্থিতি এবারের তুলনায় কিছুটা ভালো থাকলেও মনে অনেক আতঙ্ক ছিল সবার। সচেতনতাও তাই বেশি ছিল। লকডাউনে ক্রিকেটাররা ঈদ উদ্যাপন করেছেন ঘরে বসেই। খেলোয়াড়দের প্রতি বিসিবির কোনো বিশেষ নির্দেশনা ছিল না। তবে এবারের বিষয়টা ভিন্ন। করোনা পরিস্থিতি আবারও অবনতি, সামনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ—বিদেশসফর থেকে মাত্রই দেশে ফেরা ক্রিকেটারদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বিসিবি।
ভারত থেকে আইপিএল খেলে আসা সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে যেমন ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পরও কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হতে পারছেন না তাঁরা। মোস্তাফিজের সঙ্গে অবশ্য তাঁর স্ত্রী আছেন। তবু এভাবে ঘরবন্দী ঈদ করতে তাঁর ভালো লাগে! ফোনে বাঁহাতি পেসার বলছিলেন, ‘জেলে কি আর ঈদ করতে ভালো লাগে? এভাবে আটকা থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। এভাবে ঘরবন্দী থাকা সত্যি কষ্টদায়ক।’
সাধারণ মানুষ যেখানে বাইরে বের হয়ে কোনো উপায়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপনের সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে ক্রিকেটারদের কোথাও যাওয়ার সুযোগই নেই। শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার পর হোম কোয়ারেন্টিন শেষে সরকার তাঁদের অনুশীলন করার অনুমতি ঠিকই দিয়েছে, তবে সেখানেও শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসা থেকে মাঠ এবং মাঠে থেকে বাসা—এর বাইরে তাঁরা কোথাও যেতে পারবেন না। চলাচল করতে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঘরের মাঠে ২৩ মে শুরু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দলে করোনা হানা দিলেই সিরিজ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হবে বিসিবিকে। ক্রিকেটারদের বাড়তি সতর্ক থাকা এ কারণেই। আইপিএলে কঠোর জৈব সুরক্ষাবলয় তৈরি করেও ক্রিকেটারদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ক্রিকেটারদের তাই ঈদ উদ্যাপনটা করতে হচ্ছে অনেক ভেবেচিন্তে। ক্রিকেটাররাও এটি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কাল বলছিলেন, ‘ঈদে আগে থেকেই কোথাও বের হওয়া হয় না। নামাজ পড়ে সারা দিন বাসাতেই থাকা হয়। সন্ধ্যায় বাইরে একটু আড্ডা দিতে যাওয়া হয়। সামনে যেহেতু সিরিজ আছে, সাবধান থাকাই ভালো।’
শেখ মেহেদী হাসান চলে গেছেন খুলনায়। সেখান থেকে তিনি জানালেন, ঈদ উদ্যাপন এখন আর আগের মতো নেই। সারা দিন বাসাতেই থাকা হয়। এবারের ঈদ নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘ঈদ তো এখন আর আগের মতো নেই। ছোটবেলার ঈদ আর এখনকার ঈদ অনেক পার্থক্য। ঈদের নামাজ পড়ে বাসাতেই থাকি। বাইরে যাওয়া তেমন হয় না। এবার সিরিজের কারণে বাড়তি সতর্কতা থাকতে হবে, এটাই মূল বিষয়।’
মোহাম্মদ মিঠুন–তাইজুল ইসলামও অভিন্ন কথাই বলেছেন—দুয়ারে শ্রীলঙ্কা সিরিজ, সাবধানি ঈদই করতে হচ্ছে তাঁদের।
ঢাকা: পৃথিবীর সময়কাল যেন দুই ভাগে ভাগ হয়েছে। করোনার আগে ও করোনার পরে। কোভিড–১৯ নামের অদৃশ্য অণুজীবের অনুপ্রবেশের আগে জীবনের রং ছিল একরকম, এখন আরেকরকম। উৎসবও উদ্যাপন হয় না আগের মতো। সবার মতো ক্রিকেটারদের ঈদও কাটে ঘরবন্দী হয়ে।
করোনাসংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে গতবার অনেকটা ঘরের ভেতরই ঈদ কেটেছিল খেলোয়াড়দের। এবারও ব্যতিক্রম নয়। তবে নতুন করে যোগ হয়েছে অনেক নিয়ম। গত বছর করোনা পরিস্থিতি এবারের তুলনায় কিছুটা ভালো থাকলেও মনে অনেক আতঙ্ক ছিল সবার। সচেতনতাও তাই বেশি ছিল। লকডাউনে ক্রিকেটাররা ঈদ উদ্যাপন করেছেন ঘরে বসেই। খেলোয়াড়দের প্রতি বিসিবির কোনো বিশেষ নির্দেশনা ছিল না। তবে এবারের বিষয়টা ভিন্ন। করোনা পরিস্থিতি আবারও অবনতি, সামনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ—বিদেশসফর থেকে মাত্রই দেশে ফেরা ক্রিকেটারদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বিসিবি।
ভারত থেকে আইপিএল খেলে আসা সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে যেমন ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পরও কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হতে পারছেন না তাঁরা। মোস্তাফিজের সঙ্গে অবশ্য তাঁর স্ত্রী আছেন। তবু এভাবে ঘরবন্দী ঈদ করতে তাঁর ভালো লাগে! ফোনে বাঁহাতি পেসার বলছিলেন, ‘জেলে কি আর ঈদ করতে ভালো লাগে? এভাবে আটকা থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। এভাবে ঘরবন্দী থাকা সত্যি কষ্টদায়ক।’
সাধারণ মানুষ যেখানে বাইরে বের হয়ে কোনো উপায়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপনের সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে ক্রিকেটারদের কোথাও যাওয়ার সুযোগই নেই। শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার পর হোম কোয়ারেন্টিন শেষে সরকার তাঁদের অনুশীলন করার অনুমতি ঠিকই দিয়েছে, তবে সেখানেও শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসা থেকে মাঠ এবং মাঠে থেকে বাসা—এর বাইরে তাঁরা কোথাও যেতে পারবেন না। চলাচল করতে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঘরের মাঠে ২৩ মে শুরু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দলে করোনা হানা দিলেই সিরিজ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হবে বিসিবিকে। ক্রিকেটারদের বাড়তি সতর্ক থাকা এ কারণেই। আইপিএলে কঠোর জৈব সুরক্ষাবলয় তৈরি করেও ক্রিকেটারদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ক্রিকেটারদের তাই ঈদ উদ্যাপনটা করতে হচ্ছে অনেক ভেবেচিন্তে। ক্রিকেটাররাও এটি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কাল বলছিলেন, ‘ঈদে আগে থেকেই কোথাও বের হওয়া হয় না। নামাজ পড়ে সারা দিন বাসাতেই থাকা হয়। সন্ধ্যায় বাইরে একটু আড্ডা দিতে যাওয়া হয়। সামনে যেহেতু সিরিজ আছে, সাবধান থাকাই ভালো।’
শেখ মেহেদী হাসান চলে গেছেন খুলনায়। সেখান থেকে তিনি জানালেন, ঈদ উদ্যাপন এখন আর আগের মতো নেই। সারা দিন বাসাতেই থাকা হয়। এবারের ঈদ নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘ঈদ তো এখন আর আগের মতো নেই। ছোটবেলার ঈদ আর এখনকার ঈদ অনেক পার্থক্য। ঈদের নামাজ পড়ে বাসাতেই থাকি। বাইরে যাওয়া তেমন হয় না। এবার সিরিজের কারণে বাড়তি সতর্কতা থাকতে হবে, এটাই মূল বিষয়।’
মোহাম্মদ মিঠুন–তাইজুল ইসলামও অভিন্ন কথাই বলেছেন—দুয়ারে শ্রীলঙ্কা সিরিজ, সাবধানি ঈদই করতে হচ্ছে তাঁদের।
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
৯ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
৯ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
১০ ঘণ্টা আগে