ইসলামাবাদে নাসিম শাহ-মীর হামজাদের তোপেরমুখে প্রথম ইনিংসে ১২২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর গতকাল দ্বিতীয় দিন বোলাররা অসাধারণ কিছু করতে পারেন কি না, এই ছিল তাকিয়ে থাকা। কিন্তু উমর আমিন-সৌদ শাকিলদের রানের ফুলঝুরি ছোটানোর দিনে বাংলাদেশের বোলারদেরও অসহায় কাতারে দাঁড় করালেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। 

আমিনের দেড় শ ছাড়ানো ইনিংসের পর শাকিলের ফিফটি, পাকিস্তান ‘এ’ দল দ্বিতীয় দিন শেষে রান তুলেছে ৩৬৭। ইসলামাবাদ ক্লাব গ্রাউন্ডে গতকাল সারা দিন কঠিন পরীক্ষার দিয়ে হাসান মাহমুদ-তানজিম হাসান সাকিবেরা নিতে পেরেছেন কেবল ৪ উইকেট। ইতিমধ্যে পাকিস্তান ‘এ’ দল ২৪৫ রানের লিড পেয়েছে। 

২ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল পাকিস্তান ‘এ’ দল। দ্বিতীয় দিন দলীয় ২১ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ১১ রানে বাঁহাতি ওপেনার সায়েম আইয়ুবকে ফেরান তানজিম সাকিব। দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হুরাইরা ও আমিন গড়েন ৯৬ রানের দারুণ এক জুটি। ৩৯ রানে হুরাইরাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার নাঈম হাসান। 

তৃতীয় উইকেটে শাকিলকে নিয়ে ৯৫ রানের আরেকটি জুটি গড়েন আমিন। এর মধ্যে আমিন তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ৩২তম সেঞ্চুরি। ১৪ বছর আগে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলেছেন ৬ বছর আগে। কিন্তু সম্প্রতি পাকিস্তানের ঘরোয়া চার দিনের টুর্নামেন্ট ‘প্রেসিডেন্টস ট্রফিতে’ এই ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটারের ব্যাটে ছিল রানের ফোয়ারা। ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন আবারও দলে ফেরার। 

 ১৭৭ রানে আমিনকে ফেরান স্পিনার হাসান মুরাদ। ইনিংসে ছিল ২৩টি চার ও ৩টি ছক্কা। তার আগে অধিনায়ক শাকিলকেও ৭৭ রানে আউট করেছিলেন যুব বিশ্বকাপজয়ী মুরাদ। দিন শেষে কামরান গুলাম ২০ ও সাদ খান ৩১ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে মুরাদ নিয়েছেন ২ উইকেট।