রানা আব্বাস, মাসকাট থেকে
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দেখে একটু চমকে যেতে হলো। তীব্র গরমে তাঁর ত্বকের রং বেশ বদলে গেছে। অবশ্য গতকাল শনিবার অধিনায়কের প্রাণখোলা হাসি বলে দিচ্ছিল কঠিন কন্ডিশনে খেলতে এসে ত্বক পুড়লেও মনের আত্মবিশ্বাস তাঁদের টনটনেই আছে। মাসকাটের আবহাওয়ার দুটি রূপ– দিনের চাঁদিফাটা রোদ্দুরে অসহ্য গরম।
আবার রোদের তেজ কমতেই মেলে উপভোগ্য এক আবহাওয়া। গভীর রাতে কেমন শীত শীত অনুভূতি। পরিবেশেও দুই রকম ছবি—উপসাগরের তীরে কিছু সবুজের ছোঁয়া আর মূল ভূখণ্ডে বিস্তীর্ণ ধূসর ভূমি।
গত কিছু দিনের বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের সঙ্গে মাসকাটের এই দুই রকম আবহাওয়া-পরিবেশের বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ৪ অক্টোবর ওমানে এসেছিল চনমনে একটি দল। প্রায় পাঁচ দিনের দারুণ এক কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে আবুধাবিতে গিয়ে টানা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ হেরে বাংলাদেশকে যেন আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে। অবশ্য প্রস্তুতির ম্যাচ হারকে বড় করে দেখতে রাজি নয় বাংলাদেশ। তবে হার তো হারই, সে পাড়ার ম্যাচ হোক আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বাংলাদেশ দলকে শূন্য থেকে যদি শুরুই করতে হয়, সেটি করতে হচ্ছে একেবারে মূল মঞ্চে গিয়ে। যেখানে সবার সামনে একটাই সমীকরণ—হয় থাকো, না হয় বিদায় নাও!
বাংলাদেশ নিশ্চয়ই দ্রুত বিদায় নিতে আসেনি টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে। গত পাঁচ-ছয় বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেদের সমীহ জাগানো দলে পরিণত করেও খেলতে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড, সেখানে যদি পা হড়কান মাহমুদউল্লাহরা—সমালোচনার বিষমাখা তিরগুলো ছুটে আসবে তাঁদের দিকে।
মাসকাটে হতে যাওয়া প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও স্বাগতিক ওমান—শক্তিমত্তায় যারা যোজন যোজন পিছিয়ে। তবু খেলাটা ক্রিকেট। তারপর আবার সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের বলে এখানে কোনো দলকে আগে থেকে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। মাহমুদউল্লাহরা নিশ্চয়ই ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকং-অভিজ্ঞতা ভোলেননি! চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরেছিল ২ উইকেটে। আজ রোববার যে স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ শুরু করছে বিশ্বকাপ-অভিযান, সেখানেও পরিসংখ্যান কিন্তু পক্ষে নেই। ২০১২ সালে দ্য হেগে স্কটিশদের কাছে সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের কোচ শেন বার্গার ক্রিকইনফোকে তাই বলেছেন, ‘সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে দলগুলোর পার্থক্য খুব একটা থাকে না। যদি আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারি; তাহলে বাংলাদেশ, ওমান কিংবা পাপুয়া নিউগিনি—যেই হোক না কেন, আমরা হারাতে পারব।’
প্রথম রাউন্ডের ‘বি’ গ্রুপে থাকা একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে বাংলাদেশও হালকাভাবে নিচ্ছে না কোনো প্রতিপক্ষকে, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ সেটিই বললেন, ‘সর্বশেষ কয়েকটি সিরিজ আমরা যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছি, সেটা এখনো আমাদের মধ্যে আছে। যাদের বিপক্ষে খেলব, নিজেদের বিনয়ী থাকতে হবে। প্রতিপক্ষকে যতটুকু সম্মান করার দরকার, সেটা করব। এটা এমন একটা সংস্করণ, প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। একটাই চিন্তা, আমরা আমাদের সেরা খেলাটা যেন খেলতে পারি।’
টানা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশ দলকে উজ্জীবিত করবে দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের একসঙ্গে পাওয়াটা। আইপিএল খেলে গতকাল ভোরে দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ছিলেন সন্ধ্যার অনুশীলনেও। চোট থেকে সেরে উঠেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। নিজেই জানালেন আজকের ম্যাচে তিনি খেলছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের রেকর্ড-পরিসংখ্যান যথেষ্ট ভালো। মাঝেমধ্যে এক-আধটু হোঁচট খেলেও প্রতিবার এই পর্বটা সহজেই পেরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহরা। অবশ্য খেলোয়াড়েরা বলতে পারেন, স্বপ্নের সীমাটা যেখানে অনেক বড়, প্রথম রাউন্ড নিয়েই এত ভাবলে চলে!
ধূসর পাথুরে পাহাড়ের পাদদেশে মাসকাটের আল আমেরাত স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বাংলাদেশ দলের সমর্থন দিতে আসবেন হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি। তাঁদের হর্ষধ্বনি আর উল্লাসে নীরব শহর মাসকাট কদিন কেঁপে উঠতে পারে টি-টোয়েন্টি উৎসবে। আর এ উৎসব রঙিন করতে বাংলাদেশ দলকে খেলতে হবে দুর্দান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দেখে একটু চমকে যেতে হলো। তীব্র গরমে তাঁর ত্বকের রং বেশ বদলে গেছে। অবশ্য গতকাল শনিবার অধিনায়কের প্রাণখোলা হাসি বলে দিচ্ছিল কঠিন কন্ডিশনে খেলতে এসে ত্বক পুড়লেও মনের আত্মবিশ্বাস তাঁদের টনটনেই আছে। মাসকাটের আবহাওয়ার দুটি রূপ– দিনের চাঁদিফাটা রোদ্দুরে অসহ্য গরম।
আবার রোদের তেজ কমতেই মেলে উপভোগ্য এক আবহাওয়া। গভীর রাতে কেমন শীত শীত অনুভূতি। পরিবেশেও দুই রকম ছবি—উপসাগরের তীরে কিছু সবুজের ছোঁয়া আর মূল ভূখণ্ডে বিস্তীর্ণ ধূসর ভূমি।
গত কিছু দিনের বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের সঙ্গে মাসকাটের এই দুই রকম আবহাওয়া-পরিবেশের বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ৪ অক্টোবর ওমানে এসেছিল চনমনে একটি দল। প্রায় পাঁচ দিনের দারুণ এক কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে আবুধাবিতে গিয়ে টানা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ হেরে বাংলাদেশকে যেন আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে। অবশ্য প্রস্তুতির ম্যাচ হারকে বড় করে দেখতে রাজি নয় বাংলাদেশ। তবে হার তো হারই, সে পাড়ার ম্যাচ হোক আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বাংলাদেশ দলকে শূন্য থেকে যদি শুরুই করতে হয়, সেটি করতে হচ্ছে একেবারে মূল মঞ্চে গিয়ে। যেখানে সবার সামনে একটাই সমীকরণ—হয় থাকো, না হয় বিদায় নাও!
বাংলাদেশ নিশ্চয়ই দ্রুত বিদায় নিতে আসেনি টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে। গত পাঁচ-ছয় বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেদের সমীহ জাগানো দলে পরিণত করেও খেলতে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড, সেখানে যদি পা হড়কান মাহমুদউল্লাহরা—সমালোচনার বিষমাখা তিরগুলো ছুটে আসবে তাঁদের দিকে।
মাসকাটে হতে যাওয়া প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও স্বাগতিক ওমান—শক্তিমত্তায় যারা যোজন যোজন পিছিয়ে। তবু খেলাটা ক্রিকেট। তারপর আবার সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের বলে এখানে কোনো দলকে আগে থেকে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। মাহমুদউল্লাহরা নিশ্চয়ই ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকং-অভিজ্ঞতা ভোলেননি! চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরেছিল ২ উইকেটে। আজ রোববার যে স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ শুরু করছে বিশ্বকাপ-অভিযান, সেখানেও পরিসংখ্যান কিন্তু পক্ষে নেই। ২০১২ সালে দ্য হেগে স্কটিশদের কাছে সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের কোচ শেন বার্গার ক্রিকইনফোকে তাই বলেছেন, ‘সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে দলগুলোর পার্থক্য খুব একটা থাকে না। যদি আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারি; তাহলে বাংলাদেশ, ওমান কিংবা পাপুয়া নিউগিনি—যেই হোক না কেন, আমরা হারাতে পারব।’
প্রথম রাউন্ডের ‘বি’ গ্রুপে থাকা একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে বাংলাদেশও হালকাভাবে নিচ্ছে না কোনো প্রতিপক্ষকে, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ সেটিই বললেন, ‘সর্বশেষ কয়েকটি সিরিজ আমরা যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছি, সেটা এখনো আমাদের মধ্যে আছে। যাদের বিপক্ষে খেলব, নিজেদের বিনয়ী থাকতে হবে। প্রতিপক্ষকে যতটুকু সম্মান করার দরকার, সেটা করব। এটা এমন একটা সংস্করণ, প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। একটাই চিন্তা, আমরা আমাদের সেরা খেলাটা যেন খেলতে পারি।’
টানা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশ দলকে উজ্জীবিত করবে দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের একসঙ্গে পাওয়াটা। আইপিএল খেলে গতকাল ভোরে দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ছিলেন সন্ধ্যার অনুশীলনেও। চোট থেকে সেরে উঠেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। নিজেই জানালেন আজকের ম্যাচে তিনি খেলছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের রেকর্ড-পরিসংখ্যান যথেষ্ট ভালো। মাঝেমধ্যে এক-আধটু হোঁচট খেলেও প্রতিবার এই পর্বটা সহজেই পেরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহরা। অবশ্য খেলোয়াড়েরা বলতে পারেন, স্বপ্নের সীমাটা যেখানে অনেক বড়, প্রথম রাউন্ড নিয়েই এত ভাবলে চলে!
ধূসর পাথুরে পাহাড়ের পাদদেশে মাসকাটের আল আমেরাত স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বাংলাদেশ দলের সমর্থন দিতে আসবেন হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি। তাঁদের হর্ষধ্বনি আর উল্লাসে নীরব শহর মাসকাট কদিন কেঁপে উঠতে পারে টি-টোয়েন্টি উৎসবে। আর এ উৎসব রঙিন করতে বাংলাদেশ দলকে খেলতে হবে দুর্দান্ত।
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
১ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
২ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
২ ঘণ্টা আগে