নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
গত কয়েকটি বছর সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবনেও বেশ স্মরণীয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট প্রধান থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সর্বেসর্বা হয়েছেন সৌরভ। ছিলেন আইসিসি প্রধান হওয়ার দৌড়েও। শেষ কয়েক বছরে ভীষণ ব্যস্ত ও ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন ছিলেন ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক। ব্যস্ততার কারণে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। বিসিসিআই থেকে সরে আসার পর এখন নিজেকে দেওয়ার মতো সময় হয়েছে ভারতীয়দের প্রিয় ‘দাদা’এর। সেখান থেকেই সময় বের করে নয় বছর বাংলাদেশে এসেছেন। নতুন বাংলাদেশ দেখে অবাক হয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক।
‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কাপ’-এর দ্বিতীয় আসরের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন সৌরভ। ভারতীয় একটি ব্যাংকের দূতিয়ালি ও মেয়র কাপের উদ্বোধনের জন্য সৌরভ ঢাকায় অবতরণ করেন বিকেল সাড়ে ৩টার পর। ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ খানিকক্ষণ দেরি হয়ে গেছে, তাই হোটেল ওয়েস্টিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যও পাওয়া গেল অল্প সময়ের জন্য। অল্প সময়েই শোনালেন বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা আর অভিজ্ঞতার গল্প।
সৌরভ বাংলাদেশে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৮৯ সালে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলতে। এরপর বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলেছেন ঢাকার মাটিতে। তবে ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হওয়া বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টটা তাঁর জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলোর একটি। কারণ সেই টেস্টে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবেও অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সৌরভ বললেন সেই অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সব সময় জড়িয়ে থাকবে। কারণ ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ২০০১ সালে (আসলে ২০০০)। আর আমার প্রথম টেস্ট, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, তখনো নতুন স্টেডিয়াম হয়নি। পুরোনো স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ মনে হয় প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। তারপর যখন ড্রেসিং রুমে ঢুকি আমি, আমার মনে হলো, 'এ কী! আমি অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচ হেরে যাব! ' তারপর আমরা ফিরে এসে টেস্ট ম্যাচটা জিতি।’
‘আমার জীবনের বহু মূল্যবান মুহূর্তের সাক্ষী বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের মানুষ। এখনো মনে আছে, ইনডিপেনডেন্টস কাপের ফাইনালে আমরা ৩১৫ রান তাড়া করে জিতি। তখনকার দিনে ৩১৫ রান অনেক বড় ছিল। কিন্তু আমার মনে আছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এত সুন্দর আলো বা ফ্লাডলাইট ছিল না তখন। ফুটবলের বাতির আলোয় খেলা হয়েছে শেষ পর্যন্ত আর আমরা সেই ম্যাচটা সেখানে জিতি।’
ভারতের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাকতালীয়ভাবে তখন বিসিসিআইয়ের প্রধান ছিলেন সৌরভই। সেই টেস্টের কথাও স্মরণ করলেন তিনি, ‘যখন প্রথম পিংক টেস্ট হয়...এটাও কাকতালীয়। ভারতের বোর্ড প্রেসিডেন্ট সেটাই ছিল আমার প্রথম পিংক টেস্ট, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আপনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন গিয়েছেন, আমার আমন্ত্রণে। তাই বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রচুর মধুর সময় কেটেছে আমার।’
গত নয় বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন দেখে মুগ্ধতার কথা জানালেন সৌরভ। যুব সমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমি যতবার ঢাকায় আসি...এই শহরের মধ্য দিয়ে যখন আসি, প্রচুর পরিবর্তন দেখি...বহুদিন আগে ঢাকায় এসেছি, প্রায় ৮-৯ বছর হয়ে গেছে। এত বছর বাদে যখন আমি শহরে আসি, আমি দেখি রাস্তা কত চওড়া হয়েছে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার হয়েছে। গুলশান দিয়ে যখন এলাম, এটা হয়তো বাংলাদেশের অন্যতম ধনী জায়গা, এখানেও কত উন্নয়ন জয়েছে। এই উন্নয়ন কাদের জন্য? যুব সমাজের জন্য। এই উন্নয়নের সঙ্গে তোমরা এগোও। এই উন্নয়নে অংশ নাও, সেটা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমাজের কাছে অংশ নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এবারও ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল নিয়ে হবে মেয়র কাপের দ্বিতীয় আসর। শুরু হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিকুল হক ছাড়াও ছিলেন রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আতহার আলী খান, নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। ছিলেন কায়সার হামিদের মতো সাবেক ফুটবলারও।
বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এর পরের নয় বছরে অনেক পাল্টে গেছে পৃথিবী। পাল্টেছে বাংলাদেশ। হয়েছে এবং চলছে অনেক উন্নয়নকাজ।
গত কয়েকটি বছর সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবনেও বেশ স্মরণীয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট প্রধান থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সর্বেসর্বা হয়েছেন সৌরভ। ছিলেন আইসিসি প্রধান হওয়ার দৌড়েও। শেষ কয়েক বছরে ভীষণ ব্যস্ত ও ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন ছিলেন ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক। ব্যস্ততার কারণে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। বিসিসিআই থেকে সরে আসার পর এখন নিজেকে দেওয়ার মতো সময় হয়েছে ভারতীয়দের প্রিয় ‘দাদা’এর। সেখান থেকেই সময় বের করে নয় বছর বাংলাদেশে এসেছেন। নতুন বাংলাদেশ দেখে অবাক হয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক।
‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কাপ’-এর দ্বিতীয় আসরের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন সৌরভ। ভারতীয় একটি ব্যাংকের দূতিয়ালি ও মেয়র কাপের উদ্বোধনের জন্য সৌরভ ঢাকায় অবতরণ করেন বিকেল সাড়ে ৩টার পর। ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ খানিকক্ষণ দেরি হয়ে গেছে, তাই হোটেল ওয়েস্টিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যও পাওয়া গেল অল্প সময়ের জন্য। অল্প সময়েই শোনালেন বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা আর অভিজ্ঞতার গল্প।
সৌরভ বাংলাদেশে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৮৯ সালে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলতে। এরপর বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলেছেন ঢাকার মাটিতে। তবে ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হওয়া বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টটা তাঁর জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলোর একটি। কারণ সেই টেস্টে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবেও অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সৌরভ বললেন সেই অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সব সময় জড়িয়ে থাকবে। কারণ ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ২০০১ সালে (আসলে ২০০০)। আর আমার প্রথম টেস্ট, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, তখনো নতুন স্টেডিয়াম হয়নি। পুরোনো স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ মনে হয় প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। তারপর যখন ড্রেসিং রুমে ঢুকি আমি, আমার মনে হলো, 'এ কী! আমি অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচ হেরে যাব! ' তারপর আমরা ফিরে এসে টেস্ট ম্যাচটা জিতি।’
‘আমার জীবনের বহু মূল্যবান মুহূর্তের সাক্ষী বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের মানুষ। এখনো মনে আছে, ইনডিপেনডেন্টস কাপের ফাইনালে আমরা ৩১৫ রান তাড়া করে জিতি। তখনকার দিনে ৩১৫ রান অনেক বড় ছিল। কিন্তু আমার মনে আছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এত সুন্দর আলো বা ফ্লাডলাইট ছিল না তখন। ফুটবলের বাতির আলোয় খেলা হয়েছে শেষ পর্যন্ত আর আমরা সেই ম্যাচটা সেখানে জিতি।’
ভারতের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাকতালীয়ভাবে তখন বিসিসিআইয়ের প্রধান ছিলেন সৌরভই। সেই টেস্টের কথাও স্মরণ করলেন তিনি, ‘যখন প্রথম পিংক টেস্ট হয়...এটাও কাকতালীয়। ভারতের বোর্ড প্রেসিডেন্ট সেটাই ছিল আমার প্রথম পিংক টেস্ট, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আপনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন গিয়েছেন, আমার আমন্ত্রণে। তাই বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রচুর মধুর সময় কেটেছে আমার।’
গত নয় বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন দেখে মুগ্ধতার কথা জানালেন সৌরভ। যুব সমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমি যতবার ঢাকায় আসি...এই শহরের মধ্য দিয়ে যখন আসি, প্রচুর পরিবর্তন দেখি...বহুদিন আগে ঢাকায় এসেছি, প্রায় ৮-৯ বছর হয়ে গেছে। এত বছর বাদে যখন আমি শহরে আসি, আমি দেখি রাস্তা কত চওড়া হয়েছে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার হয়েছে। গুলশান দিয়ে যখন এলাম, এটা হয়তো বাংলাদেশের অন্যতম ধনী জায়গা, এখানেও কত উন্নয়ন জয়েছে। এই উন্নয়ন কাদের জন্য? যুব সমাজের জন্য। এই উন্নয়নের সঙ্গে তোমরা এগোও। এই উন্নয়নে অংশ নাও, সেটা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমাজের কাছে অংশ নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এবারও ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল নিয়ে হবে মেয়র কাপের দ্বিতীয় আসর। শুরু হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিকুল হক ছাড়াও ছিলেন রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আতহার আলী খান, নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। ছিলেন কায়সার হামিদের মতো সাবেক ফুটবলারও।
হতাশাজনক আফগানিস্তান সিরিজ ঝেরে ফেলে বাংলাদেশ দলের এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে মনোযোগ দেওয়ার পালা। সিরিজ সামনে রেখে এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের মনোরম পরিবেশে সময়টা খুব ভালো কাটছে বলে জানিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
৪৪ মিনিট আগেসময়টা ভালো যাচ্ছে না লিওনেল মেসির। আন্তর্জাতিক ফুটবল হোক বা ক্লাব ফুটবল, কোথাও সাফল্যের দেখা পাচ্ছেন না মেসি গত ১ মাস ধরে। এরই মধ্যে ব্রাজিলের এক রেফারিকে শাসিয়ে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই খুইয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমনকি চোটে জর্জর ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষভাগে বাধ্য হয়ে এনেছে পরিবর্তনও। এই ‘বিরুদ্ধ’ পরিস্থিতিতেই জ্বলে উঠল ক্যারিবীয়রা। ভেঙে দিল ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড।
২ ঘণ্টা আগে